বৈশ্বিক বাজারের পর বাংলাদেশে রেনো-১৩ সিরিজের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করেছে প্রযুক্তি ব্র্যান্ড অপো। নতুন সিরিজের স্মার্টফোনে থাকবে ফ্যাশন আর সর্বশেষ প্রযুক্তির মিশেল। বাটারফ্লাই শ্যাডো ও লুমিনাস লুপ– দুটি ডিজাইনের মাধ্যমে নান্দনিকতায় নতুন মানদণ্ড দৃশ্যমান হবে। প্রকৃতি থেকে ডিজাইন ও ফ্যাশন উপকরণের সমন্বয়ে ডিভাইসটি গ্রাহকের সামনে নতুন অভিজ্ঞতা স্থাপন করবে বলে নির্মাতারা জানান। পানির নিচে ফটোগ্রাফি ও ভিডিওগ্রাফির ফিচারে দেশের প্রথম স্মার্টফোন। সর্বাধুনিক মডেল দুটির মাধ্যমে পানিতেও ভালো মানের, মুগ্ধকর ছবি ও ভিডিও ধারণ করতে পারবেন গ্রাহক। এমনটা সম্ভব হয়েছে আইপি৬৯ রেটেড ওয়াটার অ্যান্ড ডাস্ট রেজিস্ট্যান্সের মাধ্যমে, যা কিনা ধুলাবালি ও পানি থেকে বিশেষ সুরক্ষা দেবে। পানির দুই মিটার তলদেশেও ৩০ মিনিট পর্যন্ত স্বচ্ছ ছবি ও ভিডিও ধারণের সুযোগ করে দেবে। পানির তলদেশে ফটো ও ভিডিওগ্রাফির ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত আলো ও রঙের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কার্যকর ভূমিকা রাখবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির অত্যাধুনিক ‘এআই কালার ক্যালিব্রেশন অ্যালগরিদম’, যা রং, ফোকাস ও কনট্রাস্টের সমন্বয়ে সহায়ক।
অপো সাউথ এশিয়ার মার্কেটিং ডিরেক্টর ইয়াং গু বলেন, ‘মেক ইয়োর মোমেন্ট’ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে বর্তমান সময়কে ধারণ ও ভালো লাগার মুহূর্ত সংরক্ষণে নতুন প্রজন্মকে ক্ষমতায়িত করছি। তরুণদের অসাধারণ সব গল্প তৈরিতে অনুপ্রাণিত করার কথা ভেবেই থার্টিন সিরিজের ডিজাইন করা। এআই প্রযুক্তি, প্রিমিয়াম বাটারফ্লাই ডিজাইন ও অসাধারণ পারফরম্যান্সের সমন্বয়ে সিরিজে সাহসিকতার সঙ্গে প্রতিটি মুহূর্ত উদযাপনে অনুপ্রাণিত করে।
সিরিজের ফাইভজি মডেলে রিফ্রেশ রেট ১২০ হার্টজ। ডিসেপ্ল ৬.
থার্টিন এফ মডেলে রিফ্রেশ রেট ১২০ হার্টজ। ডিসপ্লে ৬.৬৭ ইঞ্চি ওলেড। ব্যাটারি ৫৮০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার। ৪৫ ওয়াট সুপারভোগ চার্জিং।
৮ জিবি র্যাম (৮ জিবি এক্সটেন্ডেড) এবং ২৫৬ জিবি রম। মডেলে দুটি রঙের বৈচিত্র্যে থাকছে পাম পার্পল ও গ্রাফাইট গ্রে। মডেল দুটির এআই এডিটর স্যুট দিচ্ছে এআই ক্লিয়ারিটি এনহেন্সার, ফিচারটি ঝাপসা (ব্লারি) বা লো-রেজ্যুলেশনের ছবিকে হাই-কোয়ালিটি ভিজ্যুয়ালের রূপান্তরে সহায়তা করে।
প্রিয় সব মুহূর্তকে প্রাণবন্ত করার প্রয়োজনে শাটার প্রেস করার আগে ও পরে এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ১.৫ সেকেন্ডের ‘টাইম ক্যাপসুল’ রেকর্ড করে নেয় এবং এআই ডি-ব্লারিং, ইআইএস ও ভিজ্যুয়াল রিকগনিশন অ্যালগরিদম ব্যবহার করে সবকটি শট স্থিতিশীল করতে ও অপ্রয়োজনীয় নড়াচড়া দূর করতে সাহায্য করে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ড জ ইন
এছাড়াও পড়ুন:
মুক্তিযুদ্ধকে খাটো করার প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য নয়: বাংলাদেশ জাসদ
সংবিধানে মুক্তিযুদ্ধ ও ২০২৪ সালের গণ–অভ্যুত্থানকে সমান গুরুত্ব দেওয়ার চেষ্টার মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধকে খাটো করার প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য নয় বলে মনে করে বাংলাদেশ জাসদ। আজ শনিবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় নিজেদের এ অবস্থান তুলে ধরে দলটি।
আজ সকালে জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে বাংলাদেশ জাসদের সঙ্গে আলোচনা করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এতে দলটির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল অংশ নেয়। বৈঠকের শুরুতে নিজেদের প্রস্তাবনার সারসংক্ষেপ পাঠ করেন বাংলাদেশ জাসদের স্থায়ী কমিটির সদস্য মুশতাক হোসেন।
মুশতাক হোসেন বলেন, মুক্তিযুদ্ধকে খাটো করার প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য নয়। অবশ্যই চব্বিশের গণ–অভ্যুত্থান উল্লেখ করার ঐতিহাসিক তাৎপর্য রয়েছে। সেই সঙ্গে দীর্ঘ লড়াই শেষে নব্বইয়ের গণ–অভ্যুত্থানও তাৎপর্যপূর্ণ। এই গণ–অভ্যুত্থানকেও সংবিধানে মর্যাদার সঙ্গে উল্লেখ করা প্রয়োজন। সংবিধান থেকে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র ও ৭ মার্চের ভাষণ অপসারণ তাঁরা সমর্থন করেন না। দেশের নাম বাংলাতে পরিবর্তনকে তাঁরা অনাবশ্যক বলে মনে করেন।
আলোচনার শুরুতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, রাষ্ট্র সংস্কারের উদ্যোগ অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া হলেও এ দাবি প্রকৃতপক্ষে জনগণের।আলোচনার শুরুতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, রাষ্ট্র সংস্কারের উদ্যোগ অন্তর্বর্তী সরকার পক্ষ থেকে নেওয়া হলেও এ দাবি প্রকৃতপক্ষে জনগণের। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রাথমিক পর্যায়ের আলোচনা মে মাসের মাঝামাঝি শেষ করতে চায় কমিশন। এরপর দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা শুরু হবে। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ঐকমত্য কমিশন রাষ্ট্র সংস্কারের একটি সুনির্দিষ্ট পথ খুঁজে বের করতে পারবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজসহ কমিশনের সদস্যরা