Samakal:
2025-02-10@14:21:44 GMT

নতুন সিরিজে রেনো

Published: 9th, February 2025 GMT

নতুন সিরিজে রেনো

বৈশ্বিক বাজারের পর বাংলাদেশে রেনো-১৩ সিরিজের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করেছে প্রযুক্তি ব্র্যান্ড অপো। নতুন সিরিজের স্মার্টফোনে থাকবে ফ্যাশন আর সর্বশেষ প্রযুক্তির মিশেল। বাটারফ্লাই শ্যাডো ও লুমিনাস লুপ– দুটি ডিজাইনের মাধ্যমে নান্দনিকতায় নতুন মানদণ্ড দৃশ্যমান হবে। প্রকৃতি থেকে ডিজাইন ও ফ্যাশন উপকরণের সমন্বয়ে ডিভাইসটি গ্রাহকের সামনে নতুন অভিজ্ঞতা স্থাপন করবে বলে নির্মাতারা জানান। পানির নিচে ফটোগ্রাফি ও ভিডিওগ্রাফির ফিচারে দেশের প্রথম স্মার্টফোন। সর্বাধুনিক মডেল দুটির মাধ্যমে পানিতেও ভালো মানের, মুগ্ধকর ছবি ও ভিডিও ধারণ করতে পারবেন গ্রাহক। এমনটা সম্ভব হয়েছে আইপি৬৯ রেটেড ওয়াটার অ্যান্ড ডাস্ট রেজিস্ট্যান্সের মাধ্যমে, যা কিনা ধুলাবালি ও পানি থেকে বিশেষ সুরক্ষা দেবে। পানির দুই মিটার তলদেশেও ৩০ মিনিট পর্যন্ত স্বচ্ছ ছবি ও ভিডিও ধারণের সুযোগ করে দেবে। পানির তলদেশে ফটো ও ভিডিওগ্রাফির ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত আলো ও রঙের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কার্যকর ভূমিকা রাখবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির অত্যাধুনিক ‘এআই কালার ক্যালিব্রেশন অ্যালগরিদম’, যা রং, ফোকাস ও কনট্রাস্টের সমন্বয়ে সহায়ক।
অপো সাউথ এশিয়ার মার্কেটিং ডিরেক্টর ইয়াং গু বলেন, ‘মেক ইয়োর মোমেন্ট’ প্রতিপাদ্য সামনে রেখে বর্তমান সময়কে ধারণ ও ভালো লাগার মুহূর্ত সংরক্ষণে নতুন প্রজন্মকে ক্ষমতায়িত করছি। তরুণদের অসাধারণ সব গল্প তৈরিতে অনুপ্রাণিত করার কথা ভেবেই থার্টিন সিরিজের ডিজাইন করা। এআই প্রযুক্তি, প্রিমিয়াম বাটারফ্লাই ডিজাইন ও অসাধারণ পারফরম্যান্সের সমন্বয়ে সিরিজে সাহসিকতার সঙ্গে প্রতিটি মুহূর্ত উদযাপনে অনুপ্রাণিত করে।
সিরিজের ফাইভজি মডেলে রিফ্রেশ রেট ১২০ হার্টজ। ডিসেপ্ল ৬.

৫৯ ইঞ্চি। ব্যাটারি ৫৬০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার। ৮০ ওয়াট সুপারভোগ চার্জিং, ১২ জিবি র‌্যাম  (১২ জিবি এক্সটেন্ডেড) ও ২৫৬ জিবি রম। মডেলে দুটি রঙের বৈচিত্র্যে থাকছে পাম হোয়াইট ও লুমিনাস ব্লু।
থার্টিন এফ মডেলে রিফ্রেশ রেট ১২০ হার্টজ। ডিসপ্লে ৬.৬৭ ইঞ্চি ওলেড। ব্যাটারি ৫৮০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার। ৪৫ ওয়াট সুপারভোগ চার্জিং। 
৮ জিবি র‌্যাম (৮ জিবি এক্সটেন্ডেড) এবং ২৫৬ জিবি রম। মডেলে দুটি রঙের বৈচিত্র্যে থাকছে পাম পার্পল ও গ্রাফাইট গ্রে। মডেল দুটির এআই এডিটর স্যুট দিচ্ছে এআই ক্লিয়ারিটি এনহেন্সার, ফিচারটি ঝাপসা (ব্লারি) বা লো-রেজ্যুলেশনের ছবিকে হাই-কোয়ালিটি ভিজ্যুয়ালের রূপান্তরে সহায়তা করে। 
প্রিয় সব মুহূর্তকে প্রাণবন্ত করার প্রয়োজনে শাটার প্রেস করার আগে ও পরে এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে ১.৫ সেকেন্ডের ‘টাইম ক্যাপসুল’ রেকর্ড করে নেয় এবং এআই ডি-ব্লারিং, ইআইএস ও ভিজ্যুয়াল রিকগনিশন অ্যালগরিদম ব্যবহার করে সবকটি শট স্থিতিশীল করতে ও অপ্রয়োজনীয় নড়াচড়া দূর করতে সাহায্য করে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ড জ ইন

এছাড়াও পড়ুন:

এনআইডিতে বয়স ১১৬ বছর, ইনি কি হচ্ছেন বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক নারী?

মৌলভীবাজারে সন্ধান মিলেছে ১১৬ বয়সী রুখমিনিয়া পাশী নামে এক নারীর। জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী, তার বয়স এখন ১১৬ বছর ৪ মাস ১ দিন। তবে তার থেকে বেশি বয়স্ক নারীর নাম সিসটার ইনা ক্যানাবারো লুকাস। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের তথ্য অনুযায়ী, ব্রাজিলের এই নারীর বয়স ১১৬ বছর ২১০ দিন।  

জাতীয় পরিচয়পত্র সংক্ষেপে এনআইডি কার্ড হলো বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য একটি বাধ্যতামূলক নথি, যা বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হওয়া যেকোনো মানুষ পাওয়ার অধিকারী। তবে এই পরিচয়পত্রে অনেকসময় বড় ধরনের ভুল ধরা পড়ে। বয়স ও নামের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ভুল পাওয়া যায়। বিশেষ করে অনেক সময় জাতীয় পরিচয়পত্রে যার বয়স ৩০ তাকে ৬০ বছর বয়সী হিসেবে দেখানো হয়েছে। অনেকক্ষেত্রে মায়ের চেয়ে সন্তানের বয়স বেশি দেখা গেছে জাতীয় পরিচয়পত্রে। স্বজনদের দাবি, রুখমিনিয়ার বয়স জাতীয় পরিচয়পত্রে ঠিকই আছে।   

রুখমিনিয়ার বাড়ি মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার টেংরা ইউনিয়নের রাজনগর চা বাগানের রাউবাড়ি এলাকায়। 

রাউবাড়ি এলাকার বাসিন্দারা জানান, প্রায় ২০০ বছর আগে রুখমিনিয়া পাশীর পূর্ব পুরুষ ভারতের উত্তর প্রদেশের বিহার থেকে মৌলভীবাজার সদর ইউনিয়নের গিয়াসনগর চা বাগানে আসেন। তারা সেখানে চা শ্রমিক হিসেবে কাজ শুরু করেন। রুখমিনিয়ার বাবা হরিদেও সেখানেই থাকতেন। রাজনগর উপজেলার একটি চা বাগানের শ্রমিক ভগবান দাস পাশীর সঙ্গে রুখমিনিয়ার বিয়ে হয়। এরপর তারা রাজনগর চা বাগানের রাউবাড়ি এলাকায় বসবাস করতে শুরু করেন।

জাতীয় পরিচয়পত্রে দেখা যায়, রুখমিনিয়ার জন্ম তারিখ লেখা হয়েছে ৯ অক্টোবর ১৯০৮। স্বামীর নাম ভগবান পাশী। মায়ের নাম ধনেশ্বরী পাশী। ভোটার আইডি নম্বর ৫৮১৮০৭৩৪০৩৮৬৩। জাতীয় পরিচয়পত্রের হিসেবে তার বয়স এখন ১১৬ বছর ৪ মাস ১ দিন।

রুখমিনিয়া বাংলা ভাষায় ঠিকমতো কথা বলতে পারেন না। বয়সের ভাড়ে অনেকটা নুয়ে পড়েছেন। কানেও কম শোনেন। কথা হলে, তিনি নিজস্ব ভাষায় জানান, ব্রিটিশ আমলে চা চাষের জন্য তার বাপ-দাদারা এখানে আসেন। অল্প বয়সে বিয়ে হয়েছে তার। বিয়ের পর সোনাতুলা (রাজনগরের সাবেক নাম) চা বাগানে পাতা তোলার কাজ করেছেন। প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের খবরও শুনেছেন তিনি।

রুখমিনিয়ার ছেলে হেমন্ত পাশীর বয়স এখন ৬২ বছর। তিনি বলেন, ‍“আমার মার অনেক বয়স হয়েছে। তিনি এখন মোটামুটি সুস্থ আছেন। বার্ধক‍্যজনিত কারণে অনেক ভেঙে পড়েছেন। আমরা ঠিকমতো তার সেবা যত্ন করি। আমার মায়ের বয়স ১১৬ বছর এখন।”

রাজনগর উপজেলার টেংরা বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক উমেষ যাদব বলেন, “ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজে গিয়ে আমি প্রথমে কর্তন ফরম বের করি তার নাম কাটার জন্য। পরে দেখলাম বেঁচে আছেন তিনি। বয়স্ক এই নারীকে দেখে আমি অবাক হয়েছি। দেখেই অনুমান করা যায় রুখমিনিয়া অতি প্রবীণ একজন মানুষ। গিনেস বুকে তার নাম (রুখমিনিয়া পাশী) পাঠানো উচিত। এ জন্য সরকারের পাশাপাশি চা বাগান কর্তৃপক্ষও এগিয়ে আসতে পারেন।”

রাজনগর চা বাগানের রাউবাড়ি এলাকার ৭৫ বছর বয়সী কপিল পাশি বলেন, “আমরা ছোট থেকেই রুখমিনিয়াকে বয়স্ক নারী হিসেবে দেখছি। তার বয়স কম হলেও ১১২ বছর হবে। অনেক সময় জাতীয় পরিচয়পত্রে বয়স ও নাম ভুল থাকে। যাছাই করলে বিষয়টি জানা যাবে।”

একই এলাকার ৭০ বয়সী নারী শ্রীপাতি পাশি বলেন, “ব্রিটিশ আমলে রুখমিনিয়ার বিয়ে হয়েছে। শারীরিক গঠন ভালো থাকায় তিনি এখনো বেঁচে আছেন। তার দুই ছেলে ও এক মেয়ে আছে। তার অসংখ্য নাতি-নাতনীও আছে।”

টেংরা ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রাম দুলারী নুনিয়া বলেন, “রুখমিনিয়াকে দেখতে অনেক বয়স্ক মনে হয়। এলাকার সবাই তাকে সবচেয়ে বেশি বয়স্ক হিসেবেই জানেন।”

রাজনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আফরোজা হাবিব শাপলা বলেন, “আমরা তদন্ত করে বিষয়টি দেখব। তার (রুখমিনিয়া) কাছে ভোটার আইডি কার্ড ছাড়া আর কোনো ডকুমেন্ট (নথি) নেই। কোনো শিক্ষাগত সনদ না থাকায় বিষয়টি যাচাই বাচাই করে দেখতে হবে। যদি তার স্বজনরা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মাধ্যমে সঠিক বয়স নির্ণয় করেন, তাহলে আমরা যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি জানাব।”

ঢাকা/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ