Samakal:
2025-03-12@19:57:21 GMT

অস্ট্রেলিয়ার তিন বৃত্তি

Published: 9th, February 2025 GMT

অস্ট্রেলিয়ার তিন বৃত্তি

যারা বিদেশে পড়তে চান, তাদের জন্য অস্ট্রেলিয়া দারুণ এক গন্তব্য। অস্ট্রেলিয়ার চিকিৎসাসেবা ও সামাজিক নিরাপত্তা অনেক ভালো। বৈষম্যহীন পরিবেশ ও মেধাভিত্তিক কাজের সুযোগ পাওয়া যায়। অস্ট্রেলিয়া উন্নত জীবন ও পড়াশোনার নিশ্চয়তা দেয়। সর্বশেষ টাইমস হায়ার এডুকেশন ও কিউএস র‍্যাঙ্কিং অনুযায়ী অস্ট্রেলিয়ার বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় গ্লোবাল র‍্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ একশর মধ্যে আছে। উচ্চতর পড়াশোনার জন্য শিক্ষার্থীদের কাছে এ মুহূর্তে যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের পরই তৃতীয় জনপ্রিয় গন্তব্য অস্ট্রেলিয়া। উচ্চশিক্ষার গন্তব্য হিসেবে শুধু দক্ষিণ এশিয়ার শিক্ষার্থীদের কাছেই নয়, ইউরোপের অনেক দেশের শিক্ষার্থীর কাছেও অস্ট্রেলিয়া জনপ্রিয়। এসব বৃত্তিতে টিউশন ফি, বাসস্থানের জন্য অর্থ, স্বাস্থ্য বীমা, ভ্রমণ ভাতা ও মাসিক ভাতাও মেলে। স্নাতক, স্নাতকোত্তর এবং পিএইচডির জন্য আবেদন করতে পারবেন বিদেশি শিক্ষার্থীরা।
ফ্লিনন্ডার্স ইউনিভার্সিটির আরটিপি স্কলারশিপ

রিসার্চ ট্রেনিং প্রোগ্রাম (আরটিপি নামে পরিচিত) অস্ট্রেলিয়ান সরকারের একটি উদ্যোগ। প্রতিবছর স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি পর্যায়ে বিভিন্ন ডিগ্রির জন্য এ স্কলারশিপ দেওয়া হয়ে থাকে। সাধারণত মাস্টার্সের জন্য তিন বছর ও পিএইচডির জন্য ২ বছরের আরটিপি স্কলারশিপ দেওয়া হয়। এর আওতায় সম্পূর্ণ টিউশন ফি মওকুফ, থাকার খরচ, মাসিক হাতখরচ, গবেষণামূলক কাজের জন্য প্রয়োজনীয় খরচ-সব মিলিয়ে বছরে প্রায় ৩৩ হাজার অস্ট্রেলিয়ান ডলার দেওয়া হয়। 
বিস্তারিত তথ্যের জন্য–
https://www.

flinders.edu.au/scholarships/australian-government-research-training-program-scholarship-international

ডেকিন ইউনিভার্সিটি স্কলারশিপ

ডেকিন বিশ্ববিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু ১৯৭৪ সালে। দেশটির ভিক্টোরিয়া শহরে এই বিশ্ববিদ্যালয়টি স্বনামধন্য একটি বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়টি শিক্ষার মান নিশ্চিত করার পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়ান সরকার ও বিভিন্ন কোম্পানিতে পার্টনারশিপে কাজ করে। এতে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনার পাশাপাশি গবেষণা ও কাজের সুযোগ পান। ৪০০টি বৃত্তি দেবে এ বিশ্ববিদ্যালয়। উপবৃত্তি, সম্পূর্ণ টিউশন মুক্ত, চিকিৎসা তহবিল (অসুস্থ ছুটির বেতন দেওয়া), বিদেশি শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যসেবা ও বিমান ভাড়া মিলবে এ বৃত্তি পেলে। বৃত্তির বিস্তারিত তথ্যের জন্য–
https://www.deakin.edu.au/study/fees-and-scholarships/ scholarships/ find-a-scholarship/rtp-and-duprs
ইউনিভার্সিটি অব সিডনি ইন্টারন্যাশনাল স্কলারশিপ

ইন্টারন্যাশনাল শিক্ষার্থীদের জন্য ইউনিভার্সিটি অব সিডনি এই স্কলারশিপ দেয়। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর কোর্স করার জন্য স্কলারশিপ পেতে চাইলে প্রথমে যে কোনো কোর্সে এনরোল করতে হবে। সেজন্য একাডেমিক সাফল্য এবং গবেষণায় আগ্রহ থাকতে হবে। একটি শর্তহীন অফার লেটার থাকা আবশ্যক। এটি পেলে টিউশন ফি সম্পূর্ণ মওকুফ করা হয়।
বিস্তারিত তথ্যের জন্য– 
https://www.sydney.edu.au/

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ইউন ভ র স ট র জন য ট উশন

এছাড়াও পড়ুন:

পিএইচডি স্তরের এআই এজেন্ট কী, কতটা বাস্তবসম্মত

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির নতুন আলোচিত ধারণা ‘পিএইচডি স্তরের এআই এজেন্ট’। সাম্প্রতিক সময়ে প্রযুক্তি খাতের শীর্ষ নির্বাহী ও বিশ্লেষকদের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে। শক্তিশালী এই এআই মডেলগুলোর সক্ষমতা নিয়ে যেমন আগ্রহ তৈরি হয়েছে, তেমনি বাস্তব প্রয়োগ ও নির্ভরযোগ্যতা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।

সম্প্রতি দ্য ইনফরমেশনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওপেনএআই কয়েকটি বিশেষায়িত এআই এজেন্ট চালুর পরিকল্পনা করেছে। এর মধ্যে গবেষণা সহায়ক এজেন্টকে বলা হচ্ছে পিএইচডি স্তরের এআই এজেন্ট। এআই এজেন্টটি ব্যবহারের জন্য প্রতি মাসে খরচ করতে হবে ২০ হাজার মার্কিন ডলার বা ২৪ লাখ টাকা (প্রতি ডলারের বিনিময় মূল্য ১২০ টাকা ধরে)। ওপেনএআইয়ের দাবি, পিএইচডি স্তরের এআই এজেন্ট গবেষকদের মতো তথ্য বিশ্লেষণ করতে পারবে। জটিল গবেষণা পরিচালনায় সহায়তা করার পাশাপাশি বিশাল তথ্যভান্ডার থেকে গবেষণা প্রতিবেদন তৈরি করে দেবে।

ওপেনএআইয়ের দাবি, ওওয়ান ও ওথ্রি এআই মডেল গবেষকদের চিন্তার প্রক্রিয়া অনুকরণ করতে সক্ষম। এই মডেলগুলো ‘প্রাইভেট চেইন অব থট’ নামে একটি কৌশল ব্যবহার করে। এ কৌশলের মাধ্যমে গবেষকেরা সমস্যা সমাধানের সময় যে পদ্ধতিতে চিন্তা করেন, তা অনুকরণ করা হয়। প্রচলিত লার্জ ল্যাংগুয়েজ মডেল (এলএলএম) সাধারণত ব্যবহারকারীর প্রশ্নের সরাসরি উত্তর দেয়। কিন্তু ওপেনএআই এর নতুন মডেলগুলো ধাপে ধাপে অভ্যন্তরীণ বিশ্লেষণ করে যুক্তিসম্মত সমাধান দিয়ে থাকে। আর তাই এই এআই এজেন্ট চিকিৎসা গবেষণা বিশ্লেষণ, জলবায়ু মডেলিং এবং গবেষণার বিভিন্ন পর্যায়ে সহায়তা করতে পারবে।

ওপেনএআইয়ের তথ্যমতে, ওথ্রি মডেল এআরসি-এজিআই ভিজ্যুয়াল বিশ্লেষণ পরীক্ষায় ৮৭ দশমিক ৫ শতাংশ নম্বর পেয়েছে, যেখানে মানুষের গড় নম্বর ৮৫ শতাংশের বেশি হয়ে থাকে। তা ছাড়া এটি জিপিকিউএ ডায়মন্ড পরীক্ষায় ৮৭ দশমিক ৭ শতাংশ নম্বর পেয়েছে। স্নাতকোত্তর পর্যায়ের জীববিজ্ঞান, পদার্থবিজ্ঞান ও রসায়নের বিভিন্ন প্রশ্নের মাধ্যমে এ পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে।

সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কাজ ছাড়াই বেতন তোলেন বেরোবির ১১ কর্মকর্তা-কর্মচারী: দুদক
  • পিএইচডি স্তরের এআই এজেন্ট কী, কতটা বাস্তবসম্মত
  • রোমানিয়ায় বৃত্তি: মাসে স্নাতকে ৬৫, মাস্টার্সে ৭৫ ও পিএইচডিতে ৮৫ ইউরো পাবেন শিক্ষার্থী
  • ওয়ালটনের নতুন স্মার্টফোন ‘জেনন এক্স৯১’ বাজারে
  • আরব আমিরাতের খলিফা বিশ্ববিদ্যালয়ে বৃত্তি, প্রয়োজন ইংরেজি দক্ষতার সনদ