যুক্তরাষ্ট্রের কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটি
Published: 9th, February 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে প্রাচীন ও খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে একটি কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটি। ১৭৫৪ সালে ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় রাজা জর্জের হাত ধরে এই ইউনিভার্সিটির যাত্রা শুরু। এটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটিতে ২০টি স্কুল এবং অধিভুক্ত প্রতিষ্ঠানের আওতায় আন্ডারগ্র্যাজুয়েট, গ্র্যাজুয়েট ও প্রফেশনাল ডিগ্রি অর্জনের জন্য রয়েছে বিস্তৃত সুযোগ। স্কুলগুলোর মধ্যে কলাম্বিয়া বিজনেস স্কুল, কলাম্বিয়া ক্লাইমেট স্কুল, কলাম্বিয়া কলেজ, কলাম্বিয়া জার্নালিজম স্কুল, কলাম্বিয়া ল স্কুল, ডেন্টাল মেডিসিন, কলেজ অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অ্যাপ্লাইড সায়েন্স, স্কুল অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড পাবলিক অ্যাফেয়ার্স, স্কুল অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস, ভ্যাগেলোস কলেজ অব প্রফেশনাল স্টাডিজ বিশেষভাবে পরিচিত। কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে মেজর হিসেবে মানবিক, সামাজিক বিজ্ঞান, প্রাকৃতিক বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও সাংবাদিকতা উল্লেখযোগ্য। এ ছাড়া এই বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে কম্পিউটার বিজ্ঞান, অর্থনীতি, ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য, স্নায়ুবিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান, গণিত, ফলিত গণিত, জীববিদ্যা, জীববিজ্ঞান, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, পূর্ব এশিয়ান স্টাডিজ, শিল্প ইতিহাস, ক্রিয়েটিভ রাইটিং, বায়োইঞ্জিনিয়ারিং এবং বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং, পরিসংখ্যান, নৃবিজ্ঞান, রাসায়নিক প্রকৌশল, ভূতত্ত্ব, পৃথিবী বিজ্ঞান, অর্থনীতি, কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পারেটিভ লিটারেচার, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং, আমেরিকান বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অধ্যয়ন, জাতিগত অধ্যয়ন, পদার্থবিদ্যা, গণিত এবং কম্পিউটার বিজ্ঞান, রসায়ন, প্রকৌশল পদার্থবিদ্যা, ফলিত পদার্থবিদ্যা ছাড়াও আরও অনেক বিষয় রয়েছে। এ ছাড়া কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটিতে মানসম্মত একাডেমিক প্রোগ্রাম, উদ্ভাবনী গবেষণা এবং বিখ্যাত অনুষদের জন্য শিক্ষার্থীরা তাদের লক্ষ্যে যেমন সহজে পৌঁছাতে পারেন, তেমনি বিশ্ব নেতৃত্বেও জায়গা করে নিতে পারেন। এখানে রয়েছে ৫০০টিরও বেশি ছাত্র সংগঠন ও ক্লাব; যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বিশ্বের বৈচিত্র্যময় কমিউনিটির সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের নেটওয়ার্কের মাধ্যমে মেন্টরশিপ, ইন্টার্নশিপ বা চাকরিতে নিয়োগের সুবিধা পাওয়া যায়। সেন্টার ফর ক্যারিয়ার এডুকেশন শিক্ষার্থীদের প্রতিযোগিতামূলক চাকরির বাজারে প্রবেশ এবং তাদের কর্মজীবনের লক্ষ্য অর্জনে সহায়তার জন্য ক্যারিয়ার কাউন্সেলিং, কর্মশালা এবং জব ফেয়ার সার্ভিস দেয়। ক্যাম্পাসটি নিউইয়র্ক সিটিতে অবস্থিত হওয়ায় শিক্ষার্থীরা খণ্ডকালীন কাজের পাশাপাশি অফুরন্ত সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড ও বিনোদনের সুযোগ পান। এ ছাড়া বিশ্বমানের জাদুঘর, গ্যালারি, থিয়েটার, কনসার্ট উপভোগের সুযোগ রয়েছে। এ ছাড়া কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় ইন্টারন্যাশনাল শিক্ষার্থীদের জন্য ক্রেডিট ট্রান্সফারের সুবিধা দেয়।
বিস্তারিত জানতে–https://www.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ইউন ভ র স ট কল ম ব য র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
মাগুরার শিশুটির জীবন সংকটাপন্ন, এক দিনে চারবার ‘কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট’
মাগুরায় যৌন নির্যাতনের শিকার আট বছর বয়সী শিশুটির জীবন সংকটাপন্ন। বুধবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় চারবার ‘কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট’ (আকস্মিকভাবে হৃৎস্পন্দন বন্ধ হয়ে যাওয়া) হয়েছে। পাশাপাশি অন্যান্য শারীরিক জটিলতাও রয়েছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এক ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছে। শিশুটির সুস্থতার জন্য সেনাবাহিনী দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছে।
সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) শিশু বিভাগের শিশুরোগের চিকিৎসাসংক্রান্ত নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (পিআইসিইউ) শিশুটির চিকিৎসা চলছে। প্রতিদিন স্ট্যান্ডার্ড আইসিইউ প্রটোকল অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা এবং সে অনুযায়ী তাকে সর্বোচ্চ চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে।
সেনাবাহিনীর ফেসবুক পোস্টে বলা হয়েছে, শিশুটি আজ (বুধবার) চারবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের শিকার হয়েছে। সিপিআর (কার্ডিও পালমোনারি রিসাসিটেশন) দিয়ে তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল করা হয়েছে। তার রক্তে লবণের ভারসাম্যহীনতার কারণে ডায়ালাইসিস করা হচ্ছে। অন্যান্য জটিলতার পাশাপাশি শিশুটির রক্তচাপ ৬০/৪০ মিমি পারদ কিংবা তার চেয়ে নিম্নমুখী।
সিএমএইচের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত উচ্চপর্যায়ের চিকিৎসা পর্ষদ সর্বাধুনিক চিকিৎসাপদ্ধতির মাধ্যমে শিশুটির জীবন রক্ষার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
বোনের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়া আট বছরের এই শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছেন শিশুটির মা। শিশুটির ভগ্নিপতি, বোনের শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে গ্রেপ্তারের পর রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। শিশুর বোনের শ্বশুরকে সাত দিন, স্বামী, শাশুড়ি ও ভাশুর প্রত্যেকের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন মাগুরার আদালত।
গত বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার বোনের শাশুড়ি। পরে শিশুটির মা হাসপাতালে যান। ওই দিন দুপুরেই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে বৃহস্পতিবার রাতেই পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এরপর শুক্রবার রাতে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। সংকটাপন্ন শিশুটিকে শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিআইসিইউ থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।