ভিভাসফট এআই হ্যাকাথন মূলত জাতীয় পর্যায়ের একটি প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা। অংশগ্রহণকারীকে এখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে কোনো সমস্যার উদ্ভাবনী সমাধান বের করতে হয়। সম্প্রতি এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে শিক্ষার্থীদের দল ‘পরিধি’। পরিধির পরিধিটা বেশ বড়ই বলতে হয়। নানা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, সদ্য স্নাতকেরা আছেন দলে। সদস্যরা হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস (এমআইএস) বিভাগের তাহনিক আহমেদ রাইয়ান (দলনেতা), চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেকাট্রনিকস ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের আবদুর রহমান, একই বিভাগের সদ্য স্নাতক রায়হান ইসলাম ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের স্নাতক আবদুল্লাহ আল আসিফ। হ্যাকাথনে কেউ কাজ করেছেন জেনারেটিভ এআই দিয়ে এসআইইএম নিরাপত্তা বুদ্ধিমত্তা নিয়ে, আবার কেউবা রিমোট জবের জন্য ভার্চুয়াল ওয়ার্কস্পেস তৈরি করেছেন। এ ছাড়া এআই পাওয়ারড সিকিউরিটি মনিটরিং টুল তৈরি করেও দেখিয়েছেন কেউ।
চমকপ্রদ এসব উদ্ভাবনীয় আইডিয়াগুলোর মধ্যে সেরা সমাধান করে প্রথম স্থান অর্জন করেছে টিম ‘পরিধি’। তাদের আইডিয়া ছিল ‘ইবিপিএফ এবং এআই এজেন্টদের সাহায্যে সিস্টেমের নির্ভরযোগ্যতা বৃদ্ধি করা’। রানার্সআপ হয়েছে টিম ‘ডিফাইন কোডারস’। এআইর সাহায্যে দ্রুততম সময়ে কীভাবে নির্ভুলভাবে মার্কেট অ্যানালাইসিস করা যায় তার সমস্যা সমাধানের জন্য ‘মার্কেট ফ্লিক এআই’ আইডিয়া দিয়ে এক লাখ টাকা জিতে নেয় এ দলটি।
এ ছাড়া ‘পারসোনালাইজড টিচিং এসিসট্যান্ড ফর 
সমস্যা সমাধান করতে পারায় ‘অনারেবল মেনশন’ স্বীকৃতি পায় টিম ‘কোডমেন্টর’।
দেশি সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি ভিভাসফট লিমিটেডের আয়োজনে অনুষ্ঠিত ‘ভিভাসফট এআই হ্যাকাথন ২০২৫’ ৩৭৮টি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পান ১০টি টিমের ৩২ জন প্রতিযোগী। হ্যাকাথনের ফাইনালে বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন হগার্থ ওয়ার্ল্ডওয়াইডের (বাংলাদেশ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইমতিয়াজ ইলাহি, বিকাশ লিমিটেডের ভাইস প্রেসিডেন্ট (সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট) নাবিল আহমেদ লিপন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট (রিসার্চ এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং) শুভ্র সরকার এবং ভিভাসফট লিমিটেডের মেশিন লার্নিং কনসালট্যান্ট আমিনুল ইসলাম।
ভিভাসফট এআই হ্যাকাথনটি আয়োজন করা হয়েছে বাংলাদেশের তরুণ এআই প্রতিভাদের বিশ্বের দরবারে তুলে ধরার জন্য। তাদের দক্ষতা, সৃজনশীলতা এবং যুগান্তকারী ধারণাগুলো প্রদর্শন করাই এই প্রতিযোগিতার উদ্দেশ্য বলে জানান ভিভাসফট লিমিটেডের কো-ফাউন্ডার শাফকাত আসিফ। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রযুক্তি খাতকে বিশ্বমানের পর্যায়ে নিয়ে যেতে এবং উদ্ভাবনী শক্তিকে উৎসাহিত করতে ভিভাসফট লিমিটেড প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ’ভিভাসফট এআই হ্যাকাথন ২০২৫’ আমাদের সেই লক্ষ্য অর্জনের পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।’ এআই প্রফেশনালসদের কাছ থেকে সাড়া পেলে ভিভাসফট প্রতিবছর এ ধরনের এআই হ্যাকাথন আয়োজন করবে বলেও জানান তিনি। v
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ভ ভ সফট ল ম ট ড

এছাড়াও পড়ুন:

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হলেন অধ্যাপক নার্গিস বেগম

যশোর জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগম দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান মনোনীত হয়েছেন। বুধবার রাতে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। 

নার্গিস বেগম বিএনপির স্থায়ী কমিটির প্রয়াত সদস্য তরিকুল ইসলামের পত্নী ও বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের মা। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যশোর জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনীত করা হয়েছে। ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি দলকে সুসংবদ্ধ ও শক্তিশালী করতে সক্ষম হবে বলে দল আশা রাখে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২০ মে যশোর জেলা বিএনপির মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি ভেঙে ৫৩ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। আহ্বায়ক হন অধ্যাপক নার্গিস বেগম। দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে দলের দুর্দিনে দলকে আন্দোলন সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। সর্বশেষ গত ২২ ফেব্রুয়ারি যশোর জেলা বিএনপির সম্মেলনে সভাপতি প্রার্থী হওয়ার গুঞ্জন থাকলেও একেবারে শেষের দিকে জানিয়ে দেন তিনি প্রার্থী হচ্ছেন না। ফলে নেতাকর্মীরা ভেবে নেন বয়সজনিত কারণে রাজনীতি থেকে বিদায় নিচ্ছেন জেলার বর্ষিয়ান এই রাজনীতিবিদ। 

তবে নতুন চমক দেখিয়ে ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় উচ্ছ্বসিত নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, কঠিন সময়ে দলকে ধরে রাখার পুরস্কার হিসেবে দলের ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন অধ্যাপক নার্গিস বেগম।

রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান অধ্যাপক নার্গিস বেগম স্কুলজীবন থেকেই রাজনীতির সহচর্যে ছিলেন। ‘৬০-এর দশকে আইয়ুববিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যোগদানের মধ্য দিয়ে রাজনীতিতে তার আনুষ্ঠানিক প্রবেশ। বিএনপির জন্মলগ্ন থেকে সম্পৃক্ত হন দলটির সঙ্গে। শিক্ষকতাজীবনে আনুষ্ঠানিকভাবে দলের পদপদবী গ্রহণ না করলেও সক্রিয় ছিলেন বিএনপির নেতৃত্বে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ