বিএসসি ইন অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং
Published: 9th, February 2025 GMT
সময় এখন প্রযুক্তির। বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে প্রযুক্তির ওপর ভর করে। ফলে শিক্ষার্থীদের সামনে পেশাজীবনে যোগ হচ্ছে নতুন সব সম্ভাবনা। তরুণরা খুঁজে পাচ্ছেন আধুনিক দিকনির্দেশনা। বর্তমানে প্রযুক্তিনির্ভর অন্যতম একটি পড়ার বিষয় হলো বিএসসি ইন অ্যারোনটিক্যাল অ্যান্ড এভিয়েশন সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং; যা ইতোমধ্যে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত এবং জনপ্রিয়। এই সেক্টরে দিন দিন চাকরির বাজার প্রসারিত হচ্ছে। এভিয়েশন সেক্টরে বিপুল দক্ষ লোকের অভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে।
অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংকে বাংলায় বলা হয় বিমান প্রকৌশলবিদ্যা। দূরদূরান্তে যোগাযোগের দ্রুত ও অন্যতম মাধ্যম হলো বিমান। যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও গতিশীল করতে বিশ্বজুড়েই বাড়ছে বিমানের ব্যবহার। সুতরাং, এর ক্রমবর্ধমান চাহিদা জোগানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো বিমানের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য যোগ্য ইঞ্জিনিয়ার তৈরি, যার প্রয়োজনীয়তা বাড়ছে প্রতিনিয়ত। তাই এ পেশায় ক্যারিয়ার গড়ার সঙ্গে সামাজিক মর্যাদা, খ্যাতিও বেড়েছে কয়েক গুণ। বিমান তৈরি থেকে শুরু করে এর রক্ষণাবেক্ষণ, ওভারহলিং এবং বিভিন্ন এয়ারলাইন্স মেইনটেন্যান্স সংস্থায় দেশে-বিদেশে কাজ করার অফুরন্ত সুযোগ রয়েছে অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের।
অ্যারোনটিক্যাল অ্যান্ড এভিয়েশন সায়েন্স এবং ইঞ্জিনিয়ারিং এ ক্ষেত্রে ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ রয়েছে, কারণ এখানে প্রযুক্তি, বিজ্ঞান, এবং উদ্ভাবনের আন্তঃসম্পর্কিত প্রয়োগ ঘটানো হয়।
ক্যারিয়ার সম্ভাবনা
উন্নত প্রযুক্তির নকশা: অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়াররা বিমান এবং মহাকাশযানের নকশায় কাজ করেন। এতে বিমান চলাচল আরও এক্সিকিউটিভ এবং নিরাপদ করে তোলা হয়। গবেষণা ও উন্নয়ন: এই ক্যারিয়ারে গবেষণার মাধ্যমে নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনের সুযোগ রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, নতুন ধরনের ইঞ্জিন, বিমান পারফরম্যান্স এবং অটোনোমাস সিস্টেমের উন্নয়ন।
এসএসসি, এইচএসসি অথবা ও-লেভেল বা এ-লেভেল পাস করেই যে কোনো ছাত্রছাত্রী দেশে শুরু করতে পারেন এবিষয়ে পড়াশোনা।
বর্তমানে এই কোর্সটি করাচ্ছে ইউনাইটেড কলেজ অব এভিয়েশন সায়েন্স অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট
বিস্তারিত জানা যাবে– www.
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হলেন অধ্যাপক নার্গিস বেগম
যশোর জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগম দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান মনোনীত হয়েছেন। বুধবার রাতে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
নার্গিস বেগম বিএনপির স্থায়ী কমিটির প্রয়াত সদস্য তরিকুল ইসলামের পত্নী ও বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের মা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যশোর জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনীত করা হয়েছে। ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি দলকে সুসংবদ্ধ ও শক্তিশালী করতে সক্ষম হবে বলে দল আশা রাখে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২০ মে যশোর জেলা বিএনপির মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি ভেঙে ৫৩ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। আহ্বায়ক হন অধ্যাপক নার্গিস বেগম। দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে দলের দুর্দিনে দলকে আন্দোলন সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। সর্বশেষ গত ২২ ফেব্রুয়ারি যশোর জেলা বিএনপির সম্মেলনে সভাপতি প্রার্থী হওয়ার গুঞ্জন থাকলেও একেবারে শেষের দিকে জানিয়ে দেন তিনি প্রার্থী হচ্ছেন না। ফলে নেতাকর্মীরা ভেবে নেন বয়সজনিত কারণে রাজনীতি থেকে বিদায় নিচ্ছেন জেলার বর্ষিয়ান এই রাজনীতিবিদ।
তবে নতুন চমক দেখিয়ে ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় উচ্ছ্বসিত নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, কঠিন সময়ে দলকে ধরে রাখার পুরস্কার হিসেবে দলের ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন অধ্যাপক নার্গিস বেগম।
রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান অধ্যাপক নার্গিস বেগম স্কুলজীবন থেকেই রাজনীতির সহচর্যে ছিলেন। ‘৬০-এর দশকে আইয়ুববিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যোগদানের মধ্য দিয়ে রাজনীতিতে তার আনুষ্ঠানিক প্রবেশ। বিএনপির জন্মলগ্ন থেকে সম্পৃক্ত হন দলটির সঙ্গে। শিক্ষকতাজীবনে আনুষ্ঠানিকভাবে দলের পদপদবী গ্রহণ না করলেও সক্রিয় ছিলেন বিএনপির নেতৃত্বে।