ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে রাজশাহীর পাঁচটি সংসদীয় আসনে প্রাথমিক বাছাইভিত্তিক প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে জামায়াতে ইসলামী। তবে রাজশাহী-২ (সদর) আসনে দলটির প্রার্থী কে হচ্ছেন, তা তারা জানাননি।

যেসব আসনে প্রার্থী দেওযা হয়েছে, সেগুলো হলো: রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কমিটির নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মুজিবুর রহমান; রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনে নগরের কাশিয়াডাঙ্গা থানা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য ও হড়গ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ, রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনে ডা.

আবদুল বারী সরদার, রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনে জেলার সহকারী সেক্রেটারী নুরুজ্জামান লিটন এবং রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনে জেলার আরেক সহকারী সেক্রেটারী অধ্যাপক নাজমুল হক।

রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে রাজশাহী মহানগর জামায়াতে ইসলামীর প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক আশরাফুল আলম ইমন এসব তথ্য দিয়েছেন। তিনি বলেন, প্রার্থী ঠিক করার ব্যাপারে কেন্দ্রীয় নির্বাচনি বোর্ড কাজ করছে; কেন্দ্রীয় মনোনয়ন বোর্ডই রবিবার পাঁচটি আসনের প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে। রাজশাহী-২ আসনের প্রার্থীর কথা পরে জানিয়ে দেওয়া হবে।

প্রার্থী চূড়ান্ত নয়, অফিসিয়াল সিলেকশন: জামায়াত আমির
জামায়াত এখনো জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী ঘোষণা করেনি জানিয়ে দলটির আমির শফিকুর রহমান সিলেটে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিয়েছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, “জামায়াত এখনো অফিশিয়ালি প্রার্থী ঘোষণা করেনি, এটা প্রাথমিক সিলেকশন। ইলেকশন এখনো অনেক দূর। ইলেকশন কাছে এলে দল ফাইনাল সিদ্ধান্ত নেবে। তখন যাদের নমিনেশন দেওয়া হবে, তারাই হবেন প্রার্থী।”

তিনি বলেছেন, “মৌলিক সংস্কারের আগে নির্বাচন নয়। সংস্কারের আগে নির্বাচন হলে তা হবে নির্বাচনি জেনোসাইড। এটি আমরা চাই না; আমরা চাই সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরির হওয়ার পর নির্বাচন হোক।”

ঢাকা/কেয়া/রাসেল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ল কশন

এছাড়াও পড়ুন:

বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষায় পাস আরাফাত সানি

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সদ্য সমাপ্ত আসরে বাঁহাতি স্পিনার আরাফাত সানির বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন আম্পায়াররা। যদিও বিপিএল চলাকালীন তার খেলায় কোনো বাধা আসেনি এবং চিটাগং কিংসের হয়ে ফাইনালেও মাঠে নেমেছিলেন তিনি।

তবে সানির বোলিং ভবিষ্যৎ নিয়ে যে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল, সেটি কেটে গেছে। মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছেন তিনি। বিসিবির একটি সূত্র গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছে, তার বোলিংয়ে কোনো সমস্যা পাওয়া যায়নি, ফলে বোলিং চালিয়ে যেতে তার আর কোনো বাধা নেই।

গত ১ ফেব্রুয়ারি লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ২৪ রানে জয় পায় চিটাগং কিংস। সে ম্যাচে চার ওভারে ৪১ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন সানি। এরপরই তার বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন আম্পায়াররা।

পরবর্তীতে বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দেন তিনি এবং আজ সেই পরীক্ষার ফলাফল হাতে পান। বিসিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভবিষ্যতে যদি আবারও তার অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ ওঠে, তবে তাকে দেশের বাইরে নিরপেক্ষ ল্যাবে পরীক্ষা দিতে হবে। এবারের বিপিএলে ১১ ম্যাচে ৮.১৭ ইকোনমি রেটে মোট ১১ উইকেট শিকার করেছেন সানি।

উল্লেখ্য, এর আগেও সানির বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চলাকালে তার এবং পেসার তাসকিন আহমেদের বোলিং অ্যাকশন অবৈধ ঘোষণা করা হয়। পরে অ্যাকশন সংশোধন করে তারা দুজনই আবার প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরে আসেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ