গাজীপুরে হামলার ঘটনায় আহত একজন লাইফ সাপোর্টে
Published: 9th, February 2025 GMT
গাজীপুরে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সাবেক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলার ঘটনায় আহত ইয়াসিন আরাফাত সাগর (২৫) নামের এক যুবককে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়েছে। আজ রোববার দুপুরে তাঁকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়
ঢামেকের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেন, গাজীপুরে হামলার শিকার আটজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। দুজনকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে একজনকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসার জন্য পাঁচ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হবে। আগামীকাল থেকে বোর্ড তাদের সার্বিক চিকিৎসার ব্যবস্থা নেবে।
ঢামেকের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) কর্তব্যরত চিকিৎসক সৌমেন দে বলেন, তাঁদের তত্ত্বাবধানে কাশেম (১৭) ও ইয়াসিন আরাফাত সাগর (২৫) নামের দুজন রোগী রয়েছেন। এঁদের মধ্যে রোববার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে ইয়াসিন আরাফাতকে। তাঁকে এখন লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়েছে। কাশেমের মাথায় অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। তিনি আগের চেয়ে কিছুটা ভালো আছেন।
গত শুক্রবার রাতে সাবেক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হকের বাড়িতে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এতে ১৭ জন আহত হন। এর প্রতিবাদে গতকাল শনিবার গাজীপুরে দিনভর বিক্ষোভ ও সমাবেশ করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি। বিক্ষোভের মুখে দায়িত্বে অবহেলার কথা স্বীকার করে ক্ষমা চান মহানগর পুলিশ কমিশনার। প্রত্যাহার করা হয় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে। বিক্ষোভ শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে দুর্বৃত্তদের গুলিতে এক শিক্ষার্থী আহত হন।
শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। মামলায় ২৩৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ২০০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়েছেন ৩৪ জন।
আরও পড়ুনগাজীপুরে মোজাম্মেল হকের বাড়িতে হামলা, মাইকে ঘোষণা দিয়ে লোক ডেকে মারধরে আহত ১৫০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
দুপুরে হাত–পা বেঁধে হত্যার পর ডাকাতি
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় পল মজুমদার খোকন নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ডাকাতরা তার ছেলে পিয়াস মজুমদারকে হাত–পা বেঁধে হত্যার পর নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে গেছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার কুশলা ইউনিয়নের লাকিরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পল মজুমদার খোকন একজন দন্তচিকিৎসক ও তার স্ত্রী অনিতা বৈদ্য একজন নার্স। প্রতিদিনের মধ্যে আজ সকালে তারা কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে যান। দুপুরে পল মজুমদার বাড়িতে এসে তার ছেলে পিয়াস মজুমদারকে (২২) হাত–পা বাঁধা অবস্থায় খাটের ওপর দেখতে পেয়ে চিৎকার দেন। আশপাশের লোকজন ছুটে এসে পিয়াস মজুমদারকে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ডাকাতরা পিয়াস মজুমদারকে হত্যার পর নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন পল মজুমদার খোকনের প্রতিবেশী সলমন মজুমদার। তিনি বলেন, পল মজুমদারের চিৎকার শুনে তারা বাড়িতে গিয়ে পিয়াস মজুমদারকে হাত–পা বাঁধা অবস্থায় দেখে হাসপাতালে পাঠান। খোকন মজুমদারের ঘরের সব আসবাবপত্র ভাঙচুর ও এলোমেলো অবস্থায় পাওয়া গেছে।
কোটালীপাড়া থানার ওসি মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।