ঢালাও জামিনের সমালোচনায় ইসলামী আন্দোলন নেতা ফয়জুল করীম
Published: 9th, February 2025 GMT
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীম বলেছেন, আওয়ামী লীগের আমলে কোনো বিএনপি নেতার জামিন হয়নি। এখন আওয়ামী লীগ নেই, তাই সবার জামিন হয়ে যাচ্ছে। তার কারণটা কী?
আজ রোববার সন্ধ্যায় কক্সবাজারের সাগরদ্বীপ কুতুবদিয়া উপজেলা পরিষদের সামনে অনুষ্ঠিত এক গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সৈয়দ ফয়জুল করীম এ কথা বলেন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কুতুবদিয়া উপজেলা শাখার উদ্যোগে গণসমাবেশের আয়োজন করা হয়।
মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীম বলেন, ১৯৭১ সাল থেকে পরবর্তী ৫৪ বছরে যারা দেশ শাসন করেছে, তারা মানুষকে মর্যাদা দিতে পারেনি, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি। যারা যখন ক্ষমতায় ছিল, তাদের ইঙ্গিতে বিচার বিভাগ চলেছে।
জুলাই আন্দোলন প্রসঙ্গে মুফতি সৈয়দ ফয়জুল করীম বলেন, ‘জুলাই গণ-আন্দোলনে আমরা জীবনের মায়া ত্যাগ করে রাস্তায় ঝাঁপিয়ে পড়েছিলাম, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা আন্দোলন-সংগ্রাম করেছিলাম; কিন্তু এখনো ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়নি। ৫ আগস্টের পর আবারও শুরু হয়েছে চাঁদাবাজি-দখলবাজি, জুলুম-নির্যাতন ও বিচারবিহীন হত্যাকাণ্ডের মতো ঘটনা।’
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কুতুবদিয়া উপজেলা শাখার সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইদ্রিসের সভাপতিত্বে গণসমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কক্সবাজার জেলার সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ আলী, সাধারণ সম্পাদক এ আর এম ফরিদুল আলম, মহেশখালী উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন প্রমুখ।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
জেমকন গ্রুপের ৩৬ কোম্পানির শেয়ার অবরুদ্ধ
জেমকন গ্রুপের ৩৬ কোম্পানির ৪ কোটি ২৬ লাখ ৬ হাজার ৮৬৮টি শেয়ার অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। এসব শেয়ারের দাম ধরা হয়েছে ৬০ কোটি ৪৪ লাখ ৬৮ হাজার টাকা।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
দুদকের পক্ষে শেয়ার অবরুদ্ধের আবেদন করেন উপ-সহকারী পরিচালক রেজাউল করিম। আবেদনে বলা হয়েছে, অনুসন্ধানকালে দেখা গেছে যে, জেমকন গ্রুপের মালিকপক্ষ কাজী নাবিল আহমেদ, কাজী আনিস আহমেদ, কাজী ইনাম আহমেদ, মৃত কাজী শাহেদ আহমেদ ও তার স্ত্রী আমিনা আহমেদ এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা তাদের পরিবারের সদস্যরা বিভিন্ন কোম্পানির ৪ কোটি ২৬ লাখ ৬ হাজার ৮৬৮টি শেয়ারের মালিক। এসবের মোট মূল্য ৬০ কোটি ৪৪ লাখ ৬৮ হাজার টাকা। এই শেয়ারগুলো হস্তান্তরের চেষ্টা করা হচ্ছে। যদি তারা সফল হন, তাহলে অনুসন্ধান ও মামলা দায়ের করার চেষ্টা ব্যর্থ হবে। এজন্য মামলার তদন্ত এবং আদালতে চার্জশিট দাখিল করার পর সরকারের পক্ষ থেকে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার উদ্দেশ্যে শেয়ারগুলো অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন।
ঢাকা/মামুন/রফিক