Samakal:
2025-03-12@20:06:50 GMT

একটি বই একটি আন্দোলন

Published: 9th, February 2025 GMT

একটি বই একটি আন্দোলন

লেখক, প্রাবন্ধিক ও সাংবাদিক আবু সাঈদ খান বলেছেন, একটি বই একটি আন্দোলন। বই সমাজকে নতুন ভাবনা দেয়। যে জাতি বই পড়বে তারা সামনে এগোতে থাকবে। অন্যদিকে বই বিমুখ জাতির ভবিষ্যৎ অন্ধকার। আমাদের অনুষ্ঠানে, আনন্দে প্রিয়জনকে বই দেওয়ার রীতি আবার শুরু করতে হবে।

রোববার অমর একুশে বইমেলার নবম দিনে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান: নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ’ লেখক বলছি মঞ্চে দেশের সমাজ, সাহিত্য, শিল্প, রাজনীতি নিয়ে আলোচনাকালে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বাংলা একাডেমির কর্মকর্তা আসাদ আহমেদ।

সাংবাদিক আবু সাঈদ খান একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। তার জন্ম ১৯৫২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ফরিদপুরের বিভাগদীতে। সমাজ, সংস্কৃতি, রাজনীতি, মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে তার একাধিক বই প্রকাশিত হয়েছে। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- বিকল্প চিন্তা বিকল্প রাজনীতি, উপেক্ষিত মুক্তিযুদ্ধ উপেক্ষিত জনগণ, ভাষার লড়াই, মুক্তিযুদ্ধে ফরিদপুর, রাজনীতির কালাকাল, স্লোগানে স্লোগানে রাজনীতি, প্রশ্নবিদ্ধ রাজনীতি ও সমকালীন সমাজ ইত্যাদি। তিনি বর্তমানে সমকালের উপদেষ্টা সম্পাদক।

আবু সাঈদ খান বলেন, বইমেলা আমাদের ঐতিহ্য। বইমেলা যেন কেবল উৎসব না হয়, এটি যেন বইয়ের উৎসব হয়। আমরা যেন বই কিনি এবং প্রয়োজনীয় বই কিনি। যে বই আমাদের চোখ-কান খুলে দেবে, আলোর দিশা দেবে—এ বই যেন কিনি।

ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ, নব্বইয়ে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন, চব্বিশে জুলাই অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কোনো স্বৈরশাসক ক্ষমতা জোর করে ধরে রাখতে পারে না। হয়ত দুইবছর পারে, পাঁচ বছর পারে, কিংবা দশ-পনেরো বছর পারে। একসময় তাকে পরাজিত হতে হয়।’

তিনি বলেন, শেখ হাসিনাকেও পরাজিত হতে হয়েছে। তিনি পালিয়ে দেশ ত্যাগ করেছেন। জনগণই দেশের মালিক। জনগণই শক্তি। জনশক্তির কাছে স্বৈরশাসক পরাজিত হয়। এবার সেটা আবার প্রমাণিত হয়েছে।

চব্বিশের অভ্যুত্থান পরবর্তী দেশের পরিস্থিতি নিয়েও কথা বলেন আবু সাঈদ খান। তিনি বলেন, কিছু অনিয়ম-ব্যর্থতা আছে; সরকার সঠিক লক্ষ্যে এগোতে পারছে না। সরকারের কাছে মানুষের যে আশা ছিল সেটি পূরণ করতে পারছে না। এটার কারণ অনভিজ্ঞতা। দেশ পরিচালনা রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড। অরাজনৈতিকরা সবসময় সফল হয় না। তবে এ সরকার আন্দোলনের ফসল। তারা গণতন্ত্রের যাত্রাটা নিশ্চিত করতে না পারলে সেটা জাতির ব্যর্থতা। তাই আশা বুকে রাখতে চাই।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সমক ল বইম ল র জন ত

এছাড়াও পড়ুন:

ছাত্রদল সম্পাদকের বক্তব্যের নিন্দা ঢাবি শাখা শিবিরের

ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি এসএম ফরহাদকে নিয়ে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছিরের দেওয়া বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।

সোমবার (১০ মার্চ) ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি এসএম ফরহাদ ও সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন খাঁন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ নিন্দা জানানো হয়েছে। 

বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির সোমবার তাদের এক কর্মসূচিতে বক্তব্য প্রদানকালে বলেছেন, ‘একজন ধর্ষক বা নারী নিপীড়নকারীকে থানা থেকে ছাড়িয়ে নিয়েছিল ছাত্রশিবির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি।’ তার এই বক্তব্য সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যাচার। দেশব্যাপী ছাত্রকল্যাণমূলক কাজের জন্য শিক্ষার্থী সমাজের কাছে ছাত্রশিবিরের জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাওয়ায় তিনি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে মিথ্যাচারে লিপ্ত হয়েছেন। 

আরো পড়ুন:

ঢাবিকে ‘জুলাই বিপ্লবের রক্তাক্ত দলিল’ গ্রন্থ উপহার

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবি ছাত্র ফ্রন্টের

নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মূলত ঘটনার সময়ে পুলিশ প্রশাসনের আহ্বানে শাহবাগ থানায় সৃষ্ট পরিস্থিতি শান্ত করতে এবং সেখানে অবস্থানরত সংক্ষুব্ধ জনতার দাবি ও অবস্থান জানার জন্য সেখানে যান। তিনি সেখানে কাউকে থানা থেকে ছাড়িয়ে আনতে তদবির করেননি। বরং সেখানে উপস্থিত মবকে ‘অভিযুক্ত অর্ণবকে কোর্টে তোলা যাবে না, এখানেই মুক্তি দিতে হবে’ এ দাবি থেকে সরিয়ে এনে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে বোঝাতে সক্ষম হন।

শিবির নেতারা বলেন, এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী অস্থিতিশীল অবস্থা ও রাজনৈতিক সংকট তৈরি হওয়ার আশঙ্কা থেকে শাহবাগ থানায় ঢাবি শিবির সভাপতি এস এম ফরহাদ পুলিশ প্রশাসনের কার্যক্রমকে সহযোগিতা করেন এবং অভিযুক্তকে কোর্টে তুলতে সহযোগিতা করলেও ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক তার বিরুদ্ধে ‘থানা থেকে ছাড়িয়ে এনেছে’ বলে ঘৃণ্য মিথ্যাচারে লিপ্ত হয়েছেন।

সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত নিউজের বরাত দিয়ে ছাত্রদলের নানা অপকর্মে বর্ণনা করে তারা বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত ছাত্রদলের নানা অপকর্ম তথা ছাত্রদল কর্তৃক নারী হেনস্তা, ধর্ষণ চেষ্টা, চাঁদাবাজি, খুন, অন্তঃদলীয় কোন্দল ও বিশৃঙ্খলাকে ধামাচাপা দিতেই এসব মিথ্যাচার ও অপপ্রচারের আশ্রয় নিচ্ছেন। সংকটময় মুহূর্তে ছাত্রশিবিরের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধিরা কার্যকরি ভূমিকা রাখলেও সেদিন ছাত্রদলের নীরব ভূমিকা এবং পরবর্তীতে ধারাবাহিক মিথ্যাচার ও উসকানিমূলক প্রচারণা যথেষ্ট সন্দেহজনক।

শিবির নেতারা আরো বলেন, বৃহৎ সংগঠন হিসেবে ছাত্রদলের উচিত ছিল, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি এড়াতে শাহবাগ থানায় গিয়ে ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখা। গণঅভ্যুত্থানের সরকারকে সহযোগিতা করার বদলে রহস্যজনকভাবে নীরব থেকে এবং নেতৃস্থানীয় পর্যায়ে থেকে যেসব ছাত্রনেতা গণঅভ্যুত্থানের সরকারকে সহযোগিতা করেছে তাদের বিরুদ্ধে ঘৃণ্য মিথ্যাচার এবং অসুস্থ চিন্তা ও বক্তব্য ছাত্র রাজনীতির জন্য কোন শুভ লক্ষণ নয়। 

তারা আশা প্রকাশ করে বলেন, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির তার এই মিথ্যা বক্তব্য প্রত্যাহার করে নিবেন এবং আগামীতে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এসব বেফাঁস মন্তব্য প্রদান থেকে বিরত থাকবেন।

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সাংবাদিকদের বেতন বাড়াতে আরেকটি আন্দোলন করা উচিত: প্রেস সচিব
  • তিন দিন কর্মস্থলে আসছেন না এডিসি রাশেদ, ফোন বন্ধ
  • পুলিশের সেই এডিসি রাশেদ তিন দিন ধরে অফিসে আসছেন না
  • পুলিশের সেই এডিসি রাশেদ ‘আত্মগোপনে’
  • ‘কিংস পার্টি’ গঠনের তাত্ত্বিক বাস্তবতা
  • গণঅভ্যুত্থানে বিজয়ী শক্তি দেশ চালাচ্ছে: তথ্য উপদেষ্টা
  • সংবাদমাধ্যম কেন ‘চতুর্থ স্তম্ভ’ হতে পারছে না?
  • পররাষ্ট্রনীতির পুনর্বিন্যাস অনিবার্য
  • বিচার-সংস্কার দাবিতে দ্রুত রাজপথে নামার ঘোষণা এনসিপির 
  • ছাত্রদল সম্পাদকের বক্তব্যের নিন্দা ঢাবি শাখা শিবিরের