ডিপিএলে এবারও নেই বিদেশি ক্রিকেটার
Published: 9th, February 2025 GMT
ডেভিড মালানের পরিচয় তখন কাউন্টি ক্রিকেটার। দক্ষিণ আফ্রিকা ছেড়ে ইংল্যান্ডে পাড়ি জমিয়ে খেলেন মিডলেক্সে। ইংলিশ ক্রিকেটার হিসেবে ২০১৩-২০১৪ মৌসুমে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ খেলতে এলেন প্রাইম দোলেশ্বরে। পেস বোলিংয়ে দারুণ খেললেও স্পিনে ছিলেন দুর্বল। প্রিমিয়ার লিগের ওই আসর খেলে মালান শিখে যান স্পিন কিভাবে খেলতে হয়।
শুধু সেবারই নয়, মালান পরবর্তী আসরেও খেলেছিলেন প্রাইম দোলেশ্বরের হয়ে। উপমহাদেশের কন্ডিশনে নিজের খেলার উন্নতির জন্য ঢাকা লিগের প্রতি মালান কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন সব সময়ই।
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ নিয়ে কিছুদিন আগে ‘উদ্ভট’ মন্তব্য করেছিলেন ভারতীয় স্পিন অলরাউন্ডার পারভেজ রসুল, ‘‘আইপিএলের চেয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে প্রতিদ্বন্দ্বীতা বেশি।’’ মালানের ঢাকা লিগের প্রতি কৃতজ্ঞতা কিংবা পারভেজ রসুলের মন্তব্য এমনি এমনিই আসেনি। ঢাকা লিগের উত্তেজনা, রোমাঞ্চ, প্রতিদ্বন্দ্বীতা এতোটাই বেশি ছিল যে এই লিগের গুণগান করেছেন সব বিদেশি ক্রিকেটাররা।
আরো পড়ুন:
বিসিবির বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলনে ক্লাবগুলো, লিগ বয়কট
টিভিতে দেখা যাবে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ
লিগে বড় আমেজ থাকে বিদেশি ক্রিকেটারদের অংশগ্রহণ নিয়ে। একটা সময়ে তিনজন বিদেশি খেলোয়াড় খেলানোর সুযোগ পেত। আর শেষ কয়েক বছরে ঢাকার ক্লাব ক্রিকেটে একজন বিদেশি অংশগ্রহণের সুযোগ পেত।
প্রতিযোগিতার গত আসর থেকে বিদেশি ক্রিকেটারকে খেলানোর রীতি বাদ দিয়েছে সিসিডিএম। এবারও সেই একই সিদ্ধান্তে অটল আয়োজকরা। জানা গেছে, ক্লাবগুলোর চাওয়ার প্রেক্ষিতে বিদেশি ক্রিকেটার না খেলানোর সিদ্ধান্ত সিসিডিএমের। তাতে সব আলো থাকছে স্থানীয় ক্রিকেটারদের ওপর।
দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রতিযোগিতা ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ আগামী ৩ মার্চ মাঠে গড়াবে। প্রিমিয়ার লিগের ১২ ক্লাব নিয়ে তিন ভেন্যুতে হবে পঞ্চাশ ওভারের এই প্রতিযোগিতা। এজন্য দলবদল হবে আগামী ২২-২৩ ফেব্রুয়ারি। সিসিডিএমের সমন্বয়ক মহিউদ্দিন বিল্লাহ রাসেল রাইজিংবিডি ডটকমকে এ খবর নিশ্চিত করেছেন। জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা সেই সময়ে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলতে দেশের বাইরে থাকবেন। তারা এরই মধ্যে দলবদল করে ফেলেছেন বলে খবর। কেবল তাদের দলবদলের ফর্ম সিসিডিএমকে জমা দেবে ক্লাব কর্তৃপক্ষ।
তারকা ক্রিকেটাররা এরই মধ্যে নিজেদের দল গুছিয়ে নিয়েছেন। প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব ছেড়ে মোহামেডানে নাম লিখিয়েছেন তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম। মাহমুদউল্লাহ আগের থেকেই আছেন এই দলে। জাতীয় দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত খেলবেন আবাহনীর হয়ে। আবাহনী শেষ কয়েক বছর ধরেই জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের নিয়ে দল গড়েছে। দেশের ক্ষমতার পালাবদলে দলটি সেই অবস্থায় নেই। লিটন, তাসকিন, তানজিম সাকিব, তানভীর ইসলামরা এরই মধ্যে নতুন দল নিশ্চিত করেছেন।
ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জানুয়ারির শীতে ২৮ হাজার কোটি টাকার ‘গরম’ দলবদলের বাজারে
২৩৫ কোটি মার্কিন ডলার!
বাংলাদেশি মুদ্রায় ২৮ হাজার ৬৭০ কোটি ৮৮ লাখ টাকা প্রায়। এটা ছেলেদের ফুটবলে জানুয়ারির শীতকালীন দলবদলে আন্তর্জাতিক ট্রান্সফার বিশ্বব্যাপী ক্লাবগুলোর মোট খরচের অঙ্ক, যা গত বছরের তুলনায় ৫৮ শতাংশ বেশি। ১ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়ে ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত হওয়া দলবদলের এই খরচের তথ্য জানিয়েছে ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা।
আরও পড়ুন৭ গোলের ম্যাচে আর্জেন্টিনার জয়, জিতেছে ব্রাজিলও৪ ঘণ্টা আগেফিফার মাধ্যমে প্রক্রিয়া করা ভিন্ন ভিন্ন দেশের ক্লাবগুলোর মধ্যে খেলোয়াড় বিকিকিনির হিসাব এটি। জানুয়ারির এই উইন্ডোয় ৫৮৬৩টি আন্তর্জাতিক দলবদল সম্পন্ন হয়েছে। দলবদল সংখ্যায় এটি নতুন রেকর্ড। গত বছরের একই সময়ে হয়েছিল ৪৯৬৩টি আন্তর্জাতিক দলবদল। এবার দলবদল ৯০০টি বা ১৯ দশমিক ১ শতাংশ বেড়েছে।
ফিফার আন্তর্জাতিক ট্রান্সফার স্ন্যাপশটের হিসাব অনুযায়ী, এবার আন্তর্জাতিক দলবদলে বিশ্বব্যাপী ক্লাবগুলো যত খরচ করেছে, তা আগের চেয়ে ৪৭ দশমিক ১ শতাংশ বেশি—২০২৩ সালে আন্তর্জাতিক দলবদলে ১৫৭ কোটি ডলার খরচের রেকর্ড হয়েছিল।
গত মাসে আন্তর্জাতিক দলবদলে খরচের শীর্ষে ইংল্যান্ডের ক্লাবগুলো। খরচের পরিমাণ ৬২ কোটি ১৬ লাখ ডলার, যার মধ্যে চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটি একাই খরচ করেছে ২২ কোটি ৪০ লাখ ডলার। শীতকালীন এই দলবদলে ওমর মারমৌশ, নিকো গঞ্জালেস, আবদুকোদির খুশানভ, ভিতর রেইস ও জুমা বাহকে কিনেছে পেপ গার্দিওলার দল।
কলম্বিয়ান ফরোয়ার্ড জন ডুরান এই উইন্ডোর সবচেয়ে ব্যয়বহুল দলবদল। ৭ কোটি ৯৯ লাখ ৭০ হাজার ডলারে অ্যাস্টন ভিলা থেকে তাঁকে কিনেছে সৌদি প্রো লিগের দল আল নাসর। অ্যাড–অনস হিসেবে এই দলবদলের খরচের অঙ্কটা আরও বাড়বে।
আরও পড়ুন‘ফার্গি টাইম’ নয়, ইউনাইটেডে এবার ‘অফসাইড টাইম’৪ ঘণ্টা আগেযেসব দেশের ক্লাবগুলো সবচেয়ে বেশি খরচ করেছে, তার মধ্যে শীর্ষ পাঁচের বাকি চারটি দেশ হচ্ছে—জার্মানি (২৯ কোটি ৫৭ লাখ ডলার), ইতালি (২২ কোটি ৩৮ লাখ ডলার), ফ্রান্স (২০ কোটি ৯৭ লাখ ডলার) ও সৌদি আরব (২০ কোটি ২১ লাখ ডলার)। আর খেলোয়াড় বেচে আয়ের দিক থেকে সবার ওপরে ফ্রান্স। মোট ৩৭ কোটি ১০ লাখ ডলারের খেলোয়াড় বিক্রি করেছে ফরাসি ক্লাবগুলো। ২২ কোটি ৬২ লাখ ডলার আয় করে এরপরই আছে জার্মান ক্লাবগুলো। ১৮ কোটি ৫২ লাখ ডলার আয় করে তৃতীয় ইংল্যান্ডের ক্লাবগুলো। চারে পর্তুগাল (১৭ কোটি ৬৪ লাখ ডলার) ও পাঁচে ইতালির (১৬ কোটি ২০ লাখ ডলার) ক্লাবগুলো।
এবারের শীতকালীন দলবদলে সবচেয়ে বেশি খেলোয়াড়ের ঠিকানা হয়েছে ব্রাজিলের ক্লাবগুলো—৪৭১, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আর্জেন্টিনায় ২৫৫ জন।
মেয়েদের ফুটবলেও জানুয়ারির দলবদলের উইন্ডোয় রেকর্ড ৫৮ লাখ ডলার খরচ হয়েছে। দলবদল সম্পন্ন হয়েছে মোট ৪৫৫টি, যা আগের তুলনায় ১৮০ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি। ইংল্যান্ডের ক্লাবগুলো মেয়েদের দলবদলে সর্বোচ্চ ২৩ লাখ ডলার খরচ করেছে। সর্বোচ্চ ৩৯ জন খেলোয়াড়ও পেয়েছে ইংলিশ ফুটবলের ক্লাবগুলো।
আরও পড়ুন‘জীবনের সঙ্গী’কে বিদায়ী বার্তা রোনালদোর০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫