খুলনা জেলা কারাগারের হাজতি ও তেরখাদা উপজেলার মধুপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আকতার শিকদারের (৪৪) মৃত্যু হয়েছে। কারাগার থেকে রোববার তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক দুপুর আড়াইটায় মৃত ঘোষণা করেন। মারামারি ও বিস্ফোরক মামলায় গত ২৭ জানুয়ারি থেকে তিনি কারাগারে ছিলেন।

খুলনা জেলা কারাগারের জেল সুপার মো.

নাসির উদ্দিন জানান, আকতার শিকদার রোববার দুপুর ২টার দিকে হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হন। এরপর অ্যাম্বুলেন্সে করে দ্রুত তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যায় কারারক্ষীরা। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক দুপুর আড়াইটায় তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। 

তিনি জানান, মারামারি ও বিস্ফোরক মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে গত ২৭ জানুয়ারি আকতার শিকদার কারাগারে আসে। ২৯ জানুয়ারি ঠান্ডাজনিত সমস্যা ও ডায়াবেটিস রোগের কথা উল্লেখ করে তিনি কারা হাসপাতালের ডাক্তার দেখান।
 
স্থানীয় লোকজন জানান, আকতার শিকদার তেরখাদা উপজেলার মোকামপুর গ্রামের কেরামত শিকদারের ছেলে। তার স্ত্রী এবং এক ছেলে ও এক মেয়ে আছে।

আকতার শিকদারের চাচাতো ভাই মিলন শিকদার জানান, তার ভাই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ছিলেন। ময়নাতদন্ত শেষে সোমবার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

তেরখাদা থানা পুলিশ জানায়, গত ৪ নভেম্বর মারামারি ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে থানায় একটি মামলা হয়েছিল। ওই মামলায় আসামি ছিলেন আকতার শিকদার। 

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে কড়া বার্তা দিলেন নোবিপ্রবি উপচার্য

সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিঘ্ন করার চেষ্টা করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) উপাচার্য (রুটিন দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রেজওয়ানুল হক।

তিনি বলেন, “বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ। নোবিপ্রবিতেও সাম্প্রদায়িকতার কোনো স্থান নেই এবং এক্ষেত্রে আমরা জিরো টলারেন্স। এসব নিয়ে নোবিপ্রবির পরিবেশ বিঘ্ন করার চেষ্টা যারাই করবে আমরা তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।”

সোমবার (১৪ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে নববর্ষের শোভাযাত্রা শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

আরো পড়ুন:

নতুন চুক্তি করতে তুরস্ক সফরে নোবিপ্রবি উপাচার্য

গাজায় নির্যাতিতদের পক্ষে নোবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন

নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে উপাচার্য বলেন, “আশা করি এই নববর্ষ আমাদেরকে নতুন উদ্যোমে কাজ করার অনুপ্রেরণা দেবে।  বিশ্ববিদ্যালয়েকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে আমরা সবাই একসঙ্গে কাজ করব। এক্ষেত্রে আমাদের প্রত্যেক সদস্যের দায়িত্ব হচ্ছে আমরা দায়িত্বশীল আচরণ করব এবং  বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও নীতি বিরুদ্ধ কিছু করব না।”

এর আগে, বাংলা নববর্ষ-১৪৩২ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় সেখানে এসে শেষ হয়।

এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হানিফ, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ তামজীদ হোছাইন চৌধুরীসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ইনস্টিটিউটের পরিচালক, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, হল প্রাধ্যক্ষ, প্রক্টর, বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও দপ্তর সমূহের কর্মকর্তা, কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ