খুলনা কারাগারে আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু
Published: 9th, February 2025 GMT
খুলনা জেলা কারাগারের হাজতি ও তেরখাদা উপজেলার মধুপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আকতার শিকদারের (৪৪) মৃত্যু হয়েছে। কারাগার থেকে রোববার তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক দুপুর আড়াইটায় মৃত ঘোষণা করেন। মারামারি ও বিস্ফোরক মামলায় গত ২৭ জানুয়ারি থেকে তিনি কারাগারে ছিলেন।
খুলনা জেলা কারাগারের জেল সুপার মো.
তিনি জানান, মারামারি ও বিস্ফোরক মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে গত ২৭ জানুয়ারি আকতার শিকদার কারাগারে আসে। ২৯ জানুয়ারি ঠান্ডাজনিত সমস্যা ও ডায়াবেটিস রোগের কথা উল্লেখ করে তিনি কারা হাসপাতালের ডাক্তার দেখান।
স্থানীয় লোকজন জানান, আকতার শিকদার তেরখাদা উপজেলার মোকামপুর গ্রামের কেরামত শিকদারের ছেলে। তার স্ত্রী এবং এক ছেলে ও এক মেয়ে আছে।
আকতার শিকদারের চাচাতো ভাই মিলন শিকদার জানান, তার ভাই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ছিলেন। ময়নাতদন্ত শেষে সোমবার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
তেরখাদা থানা পুলিশ জানায়, গত ৪ নভেম্বর মারামারি ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে থানায় একটি মামলা হয়েছিল। ওই মামলায় আসামি ছিলেন আকতার শিকদার।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
৭ বছর পর চুয়েট ছাত্রলীগের ছয় নেতার নামে মামলা
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) ২০১৮ সালে দুই শিক্ষার্থীকে মারধর, চাঁদাবাজি এবং হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দুটি মামলা হয়েছে। এতে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের চুয়েট শাখার সাবেক ৬ নেতাকে আসামি করা হয়েছে। ঘটনার সাত বছর পর মামলা দুটি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও কৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ মাহমুদুল ইসলাম ও জামিল আহসান।
রাউজান থানায় ওই মামলায় আসামিরা হলেন– চুয়েটের তৎকালীন ছাত্রলীগ নেতা সৈয়দ ইমাম বাকের, সাখাওয়াত হোসেন, অতনু মুখার্জি, নিলয় দে, মেহেদী হাসান ফরহাদ ও মোহাম্মদ ফখরুল হাসান ফাহাদ। এ ছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় আরও ২০-৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
জামিল সমকালকে বলেন, নির্যাতন শেষে বাকের বলেছিল, হাসিনা আরও ১০ বছর ক্ষমতায় থাকবে। অর্থাৎ তারা ভেবে নিয়েছিল ওই নির্যাতনের জন্য তাদের কখনও জবাবদিহি করতে হবে না। এজন্যই মামলাটি করেছি।
মামলায় কারণে শিক্ষাজীবন শেষ করতে পারেননি মাহমুদুল। তিনি বলেন, ওই ঘটনার ব্যাপক প্রভাব পড়েছে আমার জীবনে।