আ’লীগের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জ মহানগর জিয়া মঞ্চের বিক্ষোভ
Published: 9th, February 2025 GMT
আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও নৈরাজ্যের প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জ মহানগর জিয়া মঞ্চের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে চাষাড়াস্থ মেট্রো হলের সামনে থেকে এই বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় মেট্রো হলের সামনে এসে শেষ হয়।
এসময়ে বিক্ষোভ মিছিল থেকে নারায়ণগঞ্জ মহানগর জিয়া মঞ্চের নেতাকর্মীরা শ্লোগান দেয়,একটা একটা লীগ ধর, 'ধইরা ধইরা জেলে ভর' আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, শ্রমিকলীগের চামড়া তুলে নিবো আমরা'।
এসময় বিক্ষোভ মিছিলে বক্তারা বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছর শোষণ, নির্যাতন, লুটপাট করে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে দেশ থেকে পালিয়েছেন শেখ হাসিনা ও তার দোসররা।
মাত্র ছয় মাসের মাথায় তারা আবার মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার দুঃসাহস দেখাচ্ছেন। আমরা শান্তিতে বিশ্বাস করি। যদি আপনারা কোনোপ্রকার বাড়াবাড়ি করেন, তাহলে আমরা চুপ করে ঘরে বসে থাকব না। নারায়ণগঞ্জ মহানগর জিয়া মঞ্চের নেতাকর্মীরা তৎপর রয়েছেন। আওয়ামী লীগের এসব কর্মকান্ডকে কঠোর হাতে প্রতিরোধ করবে জিয়া মঞ্চ।
এসময় কর্মসূচিতে আরো উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর জিয়া মঞ্চের আহবায়ক মো: আলীনূর হোসাইন, সদস্য সচিব সাইফুল ইসলাম, যুগ্ম আহবায়ক মো: উজ্জ্বল, মো: লিখন মন্ডল, নারায়ণগঞ্জ সদর থানা জিয়া মঞ্চের সভাপতি পদপ্রার্থী রাজন, সদস্য সচিব পদপ্রার্থী রাকিব, ফতুল্লা থানা জিয়া মঞ্চের সভাপতি মো: মামুন হোসেন, যুগ্ম আহবায়ক আওলাদ হোসেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা জিয়া মঞ্চের হালিম, সুমন, সবুজ, সাগর প্রমুখ।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ আওয় ম ল গ
এছাড়াও পড়ুন:
৬৫৩১ প্রাথমিক শিক্ষকের নিয়োগ পুনর্বিবেচনার জন্য আপিল করা হয়েছে: শিক্ষা উপদেষ্টা
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ বাতিল হওয়া ৬৫৩১ জনের নিয়োগ পুনর্বিবেচনার জন্য আপিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
এসময় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, বেতন ও পদবি নিয়ে কমিটির সুপারিশে শিক্ষকরা সম্মত হলে সেটি বাস্তবায়নে চেষ্টা করা হবে। পাশাপাশি তিনি জানান, ৬৫৩১ জন প্রাথমিক শিক্ষকের নিয়োগ পুনর্বিবেচনার জন্য আপিল করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, প্রাথমিক ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার মানোন্নয়নের উদ্দেশ্যে গঠিত কনসালটেশন কমিটি আটটি বিষয়ে শতাধিক প্রধান ও আনুষঙ্গিক সুপারিশ প্রধান উপদেষ্টার কাছে দাখিল করেছেন। সুপারিশে শিখন মানের স্থবিরতা দূরীকরণ এবং শিশুর শিখন, কল্যাণ ও নিরাপত্তাকে সব কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রে স্থাপন করাকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে।
কমিটির আহ্বায়ক ড. মনজুর আহমদ বলেন, সুপারিশগুলোকে আশু, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদে ভাগ করা হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে দুর্নীতি ও অসদাচারণ নিরোধ, শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মীর পেশাগত উন্নয়ন, শিক্ষার্থীদের ভিত্তিমূক দক্ষতা বৃদ্ধিসহ ১৪ টি প্রধান সুপারিশ বর্ণনা করা হয়।
এর আগে গত ৬ ফেব্রুয়ারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে চূড়ান্ত ফলাফলে উত্তীর্ণ ৬ হাজার ৫৩১ জনের নিয়োগ বাতিল করেন হাইকোর্ট। মেধার ভিত্তিতে পুনরায় নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
এদিকে এ রায়ের প্রতিবাদে ওইদিনই আদালতের সামনেই বিক্ষোভ করেন নিয়োগ বঞ্চিতরা। এ সময় বিচারককে উদ্দেশ্য করে স্লোগান, আদালতের দরজায় ধাক্কাধাক্কি, আইনজীবীদের সঙ্গে তর্কাতর্কিতে জড়িয়ে পড়েন তারা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হয় পুলিশ সদস্যদের। এসময় তড়িঘড়ি করে এজলাস ছাড়েন বিচারপতিরা।
রায়ে নিয়োগ বাতিলের পর থেকে টানা আন্দোলন করে আসছেন নিয়োগপ্রত্যাশীরা।
বিএইচ