গাজীপুরে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও গণহত্যাকারী দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে সাতক্ষীরায় মশালমিছিল করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতা-কর্মীরা।

আজ রোববার সন্ধ্যা সাতটায় শহরের খুলনা রোড মোড়ের শহীদ আসিফ চত্বর থেকে এ মশালমিছিল শুরু হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে নিউমার্কেট এলাকায় গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে নেতৃত্ব দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলার আহ্বায়ক মো.

আরাফাত রহমান ও যুগ্ম আহ্বায়ক নাজমুল হোসেন। মিছিলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতারা অংশ নেন।

মিছিলে নেতা-কর্মীরা ‘আওয়ামী লীগের আস্তানা, এই বাংলায় রাখব না’, ‘ক্ষমতা না জনতা, জনতা জনতা’, ‘আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, এক দফা এক দাবি, ফ্যাসিবাদ নিপাত যাক, মুজিববাদ নিপাত যাক’সহ বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দেন। পরে শিক্ষার্থীরা গাজীপুরে ছাত্রদের ওপর হামলাকারী আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার ও গণহত্যাকারী দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি জানিয়ে বক্তব্য দেন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

বেনজীরের বক্তব্য গভীর ষড়যন্ত্র ও রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল: পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ হওয়া সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের বক্তব্যকে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল বলে উল্লেখ করেছে বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন। আজ শুক্রবার এক বিবৃতিতে এসব কথা তুলে ধরেছে সংগঠনটি।

বাংলাদেশ পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কামরুল হাসান তালুকদার ও সাধারণ সম্পাদক মনিরুল হক (ডাবলু) ওই বিবৃতিতে বেনজীর আহমেদের ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

বিবৃতিতে বলা হয়, সম্প্রতি গণহত্যা, দুর্নীতি, মানিলন্ডারিংসহ একাধিক মামলায় জড়িত পলাতক সাবেক আইজিপি (মহাপরিদর্শক) বেনজীর আহমেদ পুলিশ বাহিনী সম্পর্কে ফ্যাসিস্ট সরকারের অনুসারীদের সঙ্গে ভার্চ্যুয়াল কনফারেন্সে একটি ষড়যন্ত্রমূলক সভায় অংশগ্রহণ করেন বলে জানা যায়। যেখানে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনী সম্পর্কে তার একটি বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত হচ্ছে। বক্তব্যটি পুলিশ বাহিনী ও এর সদস্যদের পেশাদারিত্বকে চরমভাবে ক্ষুণ্ন করেছে। এ ধরনের সভায় অংশগ্রহণ এবং বক্তব্য প্রদান দেশের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র ও রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল।

পুলিশ অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ব্যক্তির দায়ভার কখনো কোনো বাহিনী বহন করে না। ২০১৩ সালে হেফাজতের বিরুদ্ধে ঢাকার মতিঝিল শাপলা চত্বরে সংঘটিত গণহত্যা, হাজার কোটি টাকার দুর্নীতির ঘটনায় সম্পৃক্ততা ও দুদকের একাধিক মামলায় অভিযুক্ত বেনজীর আহমেদ। তাঁর মতো একজন ব্যক্তির পুলিশ বাহিনী, সরকার ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে এ ধরনের কর্মকাণ্ডে পুলিশ বাহিনীর সকল সদস্য মর্মাহত ও ক্ষুব্ধ।

বিবৃতিতে অ্যাসোসিয়েশন বলছে, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে, জন–আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে, জনবান্ধব পুলিশ বাহিনী গঠনে সব সদস্য অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে ও দেশপ্রেমের চেতনা নিয়ে নিরলসভাবে কাজ করে আসছে। পুলিশের যেসব বিতর্কিত সদস্য গণহত্যাসহ ফ্যাসিস্ট সরকারের আজ্ঞাবহ হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন, দেশের প্রচলিত আইনে তাঁদের বিচারের বিষয়ে পুলিশের সব সদস্য একমত পোষণ করেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জুলাই গণহত্যার মামলায় দুই পুলিশসহ আরও ৭ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
  • ডিআওয়ামীফিকেশনের উদ্যোগ নিতে হবে
  • বিএনপি মঙ্গলবার থেকে জেলা-মহানগরে সভা-সমাবেশ করবে
  • গণহত্যায় জড়িতদের বিচারে প্রতিটি পুলিশ সদস্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞ
  • ৬৪ জেলায় জনসভা করবে বিএনপি
  • আগে চব্বিশের গণহত্যার বিচার, তারপর অন্য কাজ
  • রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রে সাবেক আইজিপি বেনজীর: পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন
  • রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রে সাবেক আইজিপি বেনজীর
  • বেনজীরের বক্তব্য গভীর ষড়যন্ত্র ও রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল: পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন