জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, নির্বাচনের আগে মৌলিক সংস্কার প্রয়োজন। মৌলিক কিছু সংস্কার করা না গেলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হবে না। এই অবস্থায় নির্বাচন দেওয়া হলে, তা হবে নির্বাচনের জেনোসাইড বা নির্বাচনের গণহত্যা। আমরা এটা চাই না। আমরা চাই, সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টির পর নির্বাচন।

রোববার বিকেলে জামায়াতের সিলেট মহানগর শাখা আয়োজিত শিক্ষা উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে শফিকুর রহমান বলেন, দেশ স্বাধীনের পর থেকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কখনও একটু ভালো, কখনও খারাপ হয়েছে। কিন্তু খুব ভালো কখনও ছিল না। খুব ভালো কখনও হবে না। যতক্ষণ পর্যন্ত রাজনৈতিক নেতাদের সিদ্ধান্ত সঠিক না হবে। ওই সিদ্ধান্ত যখন সঠিক হবে, সততা ও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে হবে, তখন শুধু আইনশৃঙ্খলা নয়; সবকিছুর উন্নতি হবে।

নির্বাচিত সরকার সব সময় ভালো হয় না মন্তব্য করে জামায়াত আমির বলেন, নির্বাচিত সরকার দাবি করে গত ১৫ বছর ফ্যাসিস্টরা ক্ষমতা আঁকড়ে ছিল। তারাই তো দেশের এই অবস্থা করে গেছে। সরকার নির্বাচিত হলেই যে ভালো হবে, তা বলা যাবে না। ভালো সরকার হতে হলে ভালো মানুষের দ্বারা সরকার গঠিত হতে হবে। যাদের অতীত ও বর্তমান ভালো, তাদের দিয়েই ভবিষ্যৎ ভালো হবে– এটা আশা করা যায়। 

এর আগে কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদের শহীদ সোলেমান হলে সিলেট মহানগর জামায়াতের উদ্যোগে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়। নগর জামায়াতের আমির ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি শাহজাহান আলীর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন দৈনিক জালালাবাদ সম্পাদক মুকতাবিস-উন-নূর, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সুলতান আহমদ, আব্দুস সালাম আল মাদানী প্রমুখ।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: জ ম য় ত আম র সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

জুলাই গণহত্যার মামলায় দুই পুলিশসহ আরও ৭ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

গত বছরের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণঅভ্যুত্থানে গণহত্যার অভিযোগে হওয়া মামলায় দুই পুলিশ সদস্যসহ আরও ৭ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এছাড়া একজন পুলিশ কনস্টেবলকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) জুলাই গণহত্যার মামলায় মিরপুর, রামপুরা ও উত্তরার ঘটনায় এ গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

জুলাই-আগস্টে গণঅভ্যুত্থান চলাকালে সংঘটিত সবচেয়ে বেশি নৃশংসতার ঘটনা সংক্রান্ত কয়েকটি মামলার তদন্ত এ মাসেই শেষ হচ্ছে উল্লেখ করে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন জানায়, এখন পর্যন্ত ১৮ মামলায় ১১৫ জনকে বিচারের মুখোমুখি করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫২ জন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, ৪৫ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য এবং ৯ জন সাবেক সেনা কর্মকর্তা। মোট আসামির মধ্যে এখন পর্যন্ত গ্রেফতার হয়েছেন ৩৫ জন।

রোববার এসব মামলার তদন্তের অগ্রগতি জানতে চান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম জানান, এ মাসেই কয়েকটি মামলার তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করা হবে।

প্রসিকিউটর বি এম সুলতান মাহমুদ জানান, জুলাই-আগস্টের গণহত্যার মামলায় মিরপুর, রামপুরা, উত্তরার ঘটনায় নতুন করে ৭ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এর মধ্যে ২ জন পুলিশ সদস্য এবং ৫ জন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী।

এছাড়া, ৫ আগস্ট রাজধানীর চানখারপুলে নির্বিচারে গুলির সঙ্গে জড়িত পুলিশ কনস্টেবল সুজনকে ৮ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতিও দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।

এম জি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • গোসল-খাওয়ার পানি সংকট, বাথরুম মাঠে
  • জামায়াত এখনো অফিশিয়ালি প্রার্থী ঘোষণা করেনি, এটা প্রাথমিক সিলেকশন: আমির
  • আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে সাতক্ষীরায় বৈষম্যবিরোধীদের মশালমিছিল
  • ৪১ মেধাবীকে পুরস্কৃত
  • জুলাই গণহত্যার মামলায় দুই পুলিশসহ আরও ৭ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
  • জীবনঘনিষ্ঠ গল্প বলেই চরিত্রে মিশে গেছি: ফারিন খান
  • ভাই হারানোর ছয় মাস
  • গণহত্যায় জড়িতদের বিচারে প্রতিটি পুলিশ সদস্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞ
  • আগে চব্বিশের গণহত্যার বিচার, তারপর অন্য কাজ