৬ দিন ধরে নিখোঁজ স্কুলশিক্ষার্থী রাকিব, সন্ধান চায় পরিবার
Published: 9th, February 2025 GMT
গত ৩ ফেব্রুয়ারি নিখোঁজ হয় রাকিবুল ইসলাম রাকিব। সে কেরানীগঞ্জের বাঘাপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্র। ৬ দিন পেরিয়ে গেলেও আজও তার খোঁজ মেলেনি।
রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) পুরান ঢাকার নিম্ন আদালতের কোর্ট রিপোর্টার্স ইউনিটির (সিআরইউ) কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কান্নাজড়িত কণ্ঠে কথাগুলো বলেন নিখোঁজ রাকিবের মা হাসিনা বেগম।
হাসিনা বেগম বলেন, ‘‘রাকিবের সঙ্গে ৩ ফেব্রুয়ারি বিকেলে আমার শেষ কথা হয়। এরপর থেকে আমার ছেলেকে আর পাচ্ছি না। ছেলেটা ৬ দিন ধরে নিখোঁজ। পাশের বাড়ির লোকদের সঙ্গে আমাদের পুরোনো শত্রুতা ছিল। তারা আগে আমাদের বাড়িতে হামলা করেছিল। আমাদের মারধর করে আহত করে, স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়। জীবননাশের হুমকি দেয়।’’
তিনি বলেন, ‘‘আমি একজন মা। ছেলে নিখোঁজ থাকলে কোনো মা ঠিক থাকতে পারে? আমিও পারছি না। সন্তান হারিয়েছি, আমার বুকের কষ্ট কে বুঝবে। ছেলেটা এবার এসএসসি পরীক্ষার্থী। আমার ঘুম নাই, খাওয়া নাই। প্রশাসনের কাছে গিয়েছি, তারা আমাদের অভিযোগ নেয়নি। উল্টো ওসি হুমকি দিয়েছে। তারা (পুলিশ) আমাদের বলে দিয়েছে, হেল্প করবে না।’’
এই মা বলেন, ‘‘পাশের বাড়ির দিলবার হোসেন, তার স্ত্রী মানসুরা, রবিউল ঢালী, জাল শরীফ ঢালী হুমকি দিয়েছে। আমাদের মারধর করে আহত করেছে। তারাই আমার ছেলেটাকে নিখোঁজ করে ফেলেছে। মানসুরা আমার ছেলেকে ফোনে ডেকে নেয়। আমার ধারণা, তারাই আমার ছেলেকে গুম করেছে। এর আগেও তারা আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছিল। গুম করার হুমকি দিয়েছিল। এখন তো আমার ছেলেটাকে গুমই করে ফেলেছে। আমি বিচার চাই। আমি একজন মা, ছেলেকে ছাড়া আমি কেমনে বাঁচব। আমার বাঁচা আর মরা এক সমান। ওকে ছাড়া আমি বাঁচব না। আমাকে ছেলেকে উদ্ধারে আপনারা সহযোগিতা করেন। ওরা যেন আমার ছেলের কোনো ক্ষতি না করে। আমার কাছে ফেরত দেয়। আমি ঘরে থাকতে পারছি না, খুবই কষ্ট হচ্ছে। আমরা যেন ঘরে থাকতে না পারি এজন্য ওরা এমন করছে। আমার ছেলেকে ফেরত চাই।’’
সংবাদ সম্মেলনে নিখোঁজ রাকিবের বাবা মো.
ঢাকা/মামুন/এনএইচ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আম র ছ ল ক আম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
দুপুরে হাত–পা বেঁধে হত্যার পর ডাকাতি
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় পল মজুমদার খোকন নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ডাকাতরা তার ছেলে পিয়াস মজুমদারকে হাত–পা বেঁধে হত্যার পর নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে গেছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার কুশলা ইউনিয়নের লাকিরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পল মজুমদার খোকন একজন দন্তচিকিৎসক ও তার স্ত্রী অনিতা বৈদ্য একজন নার্স। প্রতিদিনের মধ্যে আজ সকালে তারা কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে যান। দুপুরে পল মজুমদার বাড়িতে এসে তার ছেলে পিয়াস মজুমদারকে (২২) হাত–পা বাঁধা অবস্থায় খাটের ওপর দেখতে পেয়ে চিৎকার দেন। আশপাশের লোকজন ছুটে এসে পিয়াস মজুমদারকে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ডাকাতরা পিয়াস মজুমদারকে হত্যার পর নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন পল মজুমদার খোকনের প্রতিবেশী সলমন মজুমদার। তিনি বলেন, পল মজুমদারের চিৎকার শুনে তারা বাড়িতে গিয়ে পিয়াস মজুমদারকে হাত–পা বাঁধা অবস্থায় দেখে হাসপাতালে পাঠান। খোকন মজুমদারের ঘরের সব আসবাবপত্র ভাঙচুর ও এলোমেলো অবস্থায় পাওয়া গেছে।
কোটালীপাড়া থানার ওসি মো. আবুল কালাম আজাদ জানান, লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।