‘শহীদ আফ্রিদি কিন্তু অবসর ভেঙে ফিরে আসতে পারে’—ধারাভাষ্যে কথাটা মজা করেই বললেন সুনীল গাভাস্কার। কটকে আজে ভারত-ইংল্যান্ডে দ্বিতীয় ওয়ানডে চলার সময় গাভাস্কার এই মজা করতে পারলেন রোহিত শর্মার সৌজন্যে। ভারত অধিনায়ক যে ওয়ানডেতে ছক্কার রেকর্ডে আফ্রিদির ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলতে শুরু করেছেন।

রোহিত ম্যাচটি শুরু করেছিলেন ৩৩১ ছক্কা নিয়ে। ওয়ানডে ছক্কায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিস গেইলের সঙ্গে যৌথভাবে দ্বিতীয়স্থানে ছিলেন এই সংস্করণে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডের মালিক রোহিত। ৩০৬ রানের লক্ষ্য ছুঁতে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই গেইলকে রেকর্ডে তৃতীয় বানিয়ে দুইয়ে উঠে যান ভারত ওপেনার। ইংল্যান্ড পেসার গাস অ্যাটকিনসনকে ফ্লিক করে মিডউইকেট দিয়ে ছক্কা মেরেই রোহিত পেয়ে যান ৩৩২তম ছক্কা।

পরে আরও ৬টি ছক্কা মেরেছেন রোহিত। ম্যাচ শেষে রোহিতের ওয়ানডে ছক্কা ৩৩৮টি। শহীদ আফ্রিদির সঙ্গে ব্যবধানটা এখন ১৩। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেই না রোহিত কেড়ে নেন রেকর্ড, আফ্রিদির অবসর ভাঙার চিন্তা তো করতেই পারেন!

ওয়ানডেতে সবচেয়ে বেশি ছক্কা

ছক্কার রেকর্ডে দ্বিতীয় স্থানে ওঠার দিনে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৩২তম সেঞ্চুরিও পেয়ে গেছেন রোহিত। অথচ এই ম্যাচে ভারত একাদশ ঘোষণার পর কী সমালোচনাই না হলো রোহিতের।  বিরাট কোহলি একাদশে ফেরায় টপ অর্ডারের একজনকে বাদ দিতেই হতো। সেই কোপটা পড়ল যশস্বী জয়সোয়ালের ওপর। ‘নিজের ব্যাটে তো রান নেই, নিজেকে বাদ না দিয়ে জয়সোয়ালকে বাদ দেওয়া কেন’—সমালোচকদের যুক্তি ছিল এটাই।

বাজে ফর্মের কারণে বেশ সমালোচনার মুখে ছিলেন রোহিত শর্মা.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র কর ড

এছাড়াও পড়ুন:

পোল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত হলেন সাবেক আইজিপি ময়নুল ইসলাম

সদ্য সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলামকে পোল্যান্ডে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত করেছে সরকার। ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পুলিশ বাহিনীর ভঙ্গুর অবস্থার মধ্যে তাঁকে আইজিপির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।

আজ বৃহস্পতিবার তাঁকে পোল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এর আগের দিন গতকাল বুধবার সরকারি চাকরি থেকে তিনি স্বাভাবিক অবসরোত্তর ছুটিতে (এলপিআর) যান। এখন তাঁর অবসরোত্তর ছুটি স্থগিত করে পরবর্তী দুই বছরের জন্য তাঁকে রাষ্ট্রদূত করা হয়েছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, অবসরোত্তর ছুটি ও সংশ্লিষ্ট সুবিধা স্থগিত করে, অন্য সব পেশা, ব্যবসা কিংবা সরকারি, আধা সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের সঙ্গে কর্ম-সম্পর্ক ত্যাগ করার শর্তে ১০ এপ্রিল থেকে দুই বছরের জন্য ময়নুল ইসলামকে পোল্যান্ডে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসাবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ৭ আগস্ট দ্বাদশ বিসিএস ব্যাচের কর্মকর্তা ময়নুল ইসলামকে আইজিপির দায়িত্ব দেওয়া হয়। ভেঙে পড়া পুলিশি ব্যবস্থার মধ্যে সাড়ে তিন মাস আইজিপির দায়িত্ব পালন করেন তিনি। আইজিপি হওয়ার আগে এই কর্মকর্তা ট্রাফিক অ্যান্ড ড্রাইভিং স্কুলের কমান্ড্যান্ট ছিলেন।

এরপর ২০ নভেম্বর অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা বাহারুল আলমকে ময়নুল ইসলামের স্থলাভিষিক্ত করে আইজিপি হিসেবে নিয়োগ দেয় সরকার। ২৬ নভেম্বর রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব দেওয়ার জন্য ময়নুল ইসলামের চাকরি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করা হয়। তবে সে সময় তাঁকে কোনো দূতাবাসে পাঠানো হয়নি। সরকারি চাকরিবিধি অনুযায়ী ৯ এপ্রিল তিনি অবসরে যান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিএমডিএর ৩ প্রকৌশলীকে অবসর-বরখাস্তের আদেশ স্থগিত
  • পোল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত হলেন সাবেক আইজিপি ময়নুল ইসলাম