সেঞ্চুরি ও ছক্কায়–ছক্কায় সব জবাব দিলেন রোহিত শর্মা
Published: 9th, February 2025 GMT
‘শহীদ আফ্রিদি কিন্তু অবসর ভেঙে ফিরে আসতে পারে’—ধারাভাষ্যে কথাটা মজা করেই বললেন সুনীল গাভাস্কার। কটকে আজে ভারত-ইংল্যান্ডে দ্বিতীয় ওয়ানডে চলার সময় গাভাস্কার এই মজা করতে পারলেন রোহিত শর্মার সৌজন্যে। ভারত অধিনায়ক যে ওয়ানডেতে ছক্কার রেকর্ডে আফ্রিদির ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলতে শুরু করেছেন।
রোহিত ম্যাচটি শুরু করেছিলেন ৩৩১ ছক্কা নিয়ে। ওয়ানডে ছক্কায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিস গেইলের সঙ্গে যৌথভাবে দ্বিতীয়স্থানে ছিলেন এই সংস্করণে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডের মালিক রোহিত। ৩০৬ রানের লক্ষ্য ছুঁতে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই গেইলকে রেকর্ডে তৃতীয় বানিয়ে দুইয়ে উঠে যান ভারত ওপেনার। ইংল্যান্ড পেসার গাস অ্যাটকিনসনকে ফ্লিক করে মিডউইকেট দিয়ে ছক্কা মেরেই রোহিত পেয়ে যান ৩৩২তম ছক্কা।
পরে আরও ৬টি ছক্কা মেরেছেন রোহিত। ম্যাচ শেষে রোহিতের ওয়ানডে ছক্কা ৩৩৮টি। শহীদ আফ্রিদির সঙ্গে ব্যবধানটা এখন ১৩। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেই না রোহিত কেড়ে নেন রেকর্ড, আফ্রিদির অবসর ভাঙার চিন্তা তো করতেই পারেন!
ওয়ানডেতে সবচেয়ে বেশি ছক্কাছক্কার রেকর্ডে দ্বিতীয় স্থানে ওঠার দিনে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৩২তম সেঞ্চুরিও পেয়ে গেছেন রোহিত। অথচ এই ম্যাচে ভারত একাদশ ঘোষণার পর কী সমালোচনাই না হলো রোহিতের। বিরাট কোহলি একাদশে ফেরায় টপ অর্ডারের একজনকে বাদ দিতেই হতো। সেই কোপটা পড়ল যশস্বী জয়সোয়ালের ওপর। ‘নিজের ব্যাটে তো রান নেই, নিজেকে বাদ না দিয়ে জয়সোয়ালকে বাদ দেওয়া কেন’—সমালোচকদের যুক্তি ছিল এটাই।
বাজে ফর্মের কারণে বেশ সমালোচনার মুখে ছিলেন রোহিত শর্মা.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র কর ড
এছাড়াও পড়ুন:
পদোন্নতি পেলেন ১১৯ সচিবসহ প্রশাসনের ৭৬৪ জন সাবেক কর্মকর্তা
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে প্রায় ১৬ বছরে জনপ্রশাসন থেকে অবসরে যাওয়া সাবেক ৭৬৪ জন কর্মকর্তাকে ‘ভূতাপেক্ষ’ পদোন্নতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। উপসচিব থেকে সচিব পর্যন্ত এই পদোন্নতি দেওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে ১১৯ জন সচিব পদে পদোন্নতি পেয়েছেন।
আজ রোববার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ-সংক্রান্ত পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করে। সচিব ছাড়াও গ্রেড-১ (সচিবের সমান বেতন গ্রেড) পদে ৪১ জন, অতিরিক্ত সচিব পদে ৫২৮ জন, যুগ্ম সচিব পদে ৭২ জন ও উপসচিব পদে চারজনকে ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি দেওয়া হয়। সাবেক অর্থসচিব জাকির আহমেদ খানের নেতৃত্বে গঠিত কমিটির সুপারিশের আলোকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত ২৪ ডিসেম্বর অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পদোন্নতি বঞ্চিত অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তাদের বঞ্চনা নিরসনে গঠিত কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়নের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়।
আওয়ামী লীগের আমলে ২০০৯ সাল থেকে গত ৪ আগস্ট পর্যন্ত সময়ে সরকারি চাকরিতে নানাভাবে বঞ্চনার শিকার এবং এ সময়ের মধ্যে অবসরে যাওয়া কর্মকর্তাদের আবেদন পর্যালোচনা করে সুপারিশ প্রণয়নের জন্য গত ১৬ সেপ্টেম্বর এ কমিটি গঠন করা হয়েছিল। কমিটির প্রধান ছিলেন সাবেক অর্থসচিব এবং বিশ্বব্যাংকে বাংলাদেশের সাবেক বিকল্প নির্বাহী পরিচালক জাকির আহমেদ খান। কমিটি ১০ ডিসেম্বর তাদের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে জমা দেয়।
কমিটির কাছে মোট ১ হাজার ৫৪০টি আবেদন জমা পড়েছিল। এর মধ্যে মারা যাওয়া কর্মকর্তাদের পক্ষে তাঁদের পরিবারের সদস্যদের করা ১৯টি আবেদন ছিল। যাচাই-বাছাই করে কমিটি ৭৬৪ জনের ‘ভূতাপেক্ষ’ পদোন্নতি দেওয়ার সুপারিশ করে।
ওই ৭৬৪ কর্মকর্তার মধ্যে কমিটি ৯ জনকে চার ধাপ, ৩৪ জনকে তিন ধাপ, ১২৬ জনকে দুই ধাপ ও ৫৯৫ জনকে এক ধাপ পদোন্নতি দেওয়ার সুপারিশ করেছিল। সেই সুপারিশ বাস্তবায়নের প্রস্তাব উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদন দেওয়ার পর এখন প্রজ্ঞাপন জারি করল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি পাওয়া কর্মকর্তারা পদোন্নতির তারিখ থেকে প্রাপ্যতা অনুযায়ী সব আর্থিক সুবিধা পাবেন। তাঁরা তাঁদের বকেয়া বর্তমান অর্থবছরে ৫০ শতাংশ এবং বাকি ৫০ শতাংশ পরবর্তী অর্থবছরে (২০২৫-২৬) পাবেন।