জাবিতে অল্প রিকশা ও অধিক ভাড়া আদায়ের অভিযোগ ভর্তিচ্ছুদের
Published: 9th, February 2025 GMT
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ‘ডি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়েছে আজ। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে পর্যাপ্ত রিকশার অভাব ও অধিক ভাড়া আদায়ের অভিযোগ করেছেন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা।
গত বছর ১৯ নভেম্বর অটোরিকশা দুর্ঘটনায় জাবি ৫৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আফসানা করিমের নিহত হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পরদিন ২০ নভেম্বর এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে ব্যাটারিচালিত রিকশা, ভ্যান, ইজিবাইক ইত্যাদি যানবাহন ক্যাম্পাসে চলাচল নিষিদ্ধ করে প্রশাসন। বর্তমানে ক্যাম্পাসে কিছু সংখ্যক প্যাডেল রিকশা চালু রয়েছে, যা চাহিদার তুলনার অপ্রতুল বলে জানিয়ে আসছেন শিক্ষার্থীরা।
এদিকে, ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে লক্ষাধিক মানুষের সমাগম ঘটেছে ক্যাম্পাসে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে ভর্তি পরীক্ষা ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে স্বল্প দূরত্বের বিভিন্ন স্থানে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আলবেরুনী হল, পুরাতন কলা ভবন, বিজনেস স্টাডিস অনুষদ, শহীদ সালাম বরকত হল, জাবি স্কুল অ্যান্ড কলেজ- এ জায়গাগুলোতে বেশি ভাড়া আদায় করার তথ্য পাওয়া গেছে। এতে করে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে ভর্তিচ্ছু পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের। এছাড়া রিকশা কম থাকার সুযোগে চালকরা অধিক ভাড়া আদায় করছেন বলে অভিযোগ করেছেন ভর্তিচ্ছুরা।
ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা সুমাইয়া নামে এক শিক্ষার্থী বলেন, “আমি ভর্তি পরীক্ষা শুরু হওয়ার ১০ মিনিট আগে ডেইরি গেটে পৌঁছাই। আমার পরীক্ষা কেন্দ্র ছিল সিএসই ভবন। ক্যাম্পাসে এসে আমি কোন রিকশা পাচ্ছিলাম না, এছাড়া ক্যাম্পাসও চিনি না। এক পর্যায়ে আমি দ্রুত হেটে যাই এবং পরীক্ষা শুরু হওয়ার সাত মিনিট পর পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌছাই। ক্যাম্পাসে যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো থাকলে আজ আমাকে এ ভোগান্তিতে পড়তে হত না।”
ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা আরেক শিক্ষার্থী মাহমুদা বলেন, “আমরা সারারাত জার্নি করে ক্যাম্পাসে আসি। ডেইরি গেটে নেমে পরীক্ষা কেন্দ্রে যাওয়ার জন্য আমরা কোন রিকশা পাচ্ছিলাম না। অনেক পরে একটা পায়ে চালিত রিকশা পেয়েছিলাম। কিন্তু তুলনামূলকভাবে তিনি আমাদের কাছা থেকে বেশি ভাড়া রেখেছেন।”
জাবি বিএনসিসির ক্যাডেট অংকুর শাহা বলেন, “আমি জাবি স্কুল অ্যান্ড কলেজে ডিউটি করেছি। আজ প্রতিটি শিফটে পরীক্ষা শুরু হওয়ার ২০ মিনিট এমনকি আধাঘন্টা পরেও অনেক শিক্ষার্থী এসেছে পরীক্ষা দিতে। দেরির কারণ জানতে চাইলে তারা জানান, রাস্তায় জ্যাম ছিল এবং ক্যাম্পাসের ভিতর কোন রিকশা পাওয়া যাচ্ছিল না। এছাড়াও অনেক শিক্ষার্থী পরীক্ষার একদম শেষ মুহূর্তে এসেছিলেন। তাদের পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ হয়নি।”
ঢাকা/আহসান/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
স্বামীর সহায়তায় স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ২
বান্দরবানের লামায় স্বামীর সহায়তায় স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার মিরিঞ্জায় অবস্থিত ‘মিরিঞ্জা ভ্যালী’ ও ‘মিরিঞ্জা ভ্যালী এগেইন’ নামে দুটি রিসোর্টে নিয়ে স্বামীর সহায়তায় ছয়জন মিলে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে ভিকটিম নিজেই বাদী হয়ে লামা থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
বুধবার (১২ মার্চ) ধর্ষণের শিকার ওই নারীর দায়েরকৃত এজাহারের পর ওই নারীর স্বামী রুবেল (৩২) ও তার বন্ধু সাগরকে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
থানায় দায়েরকৃত এজাহার সূত্রে জানা গেছে, মিরিঞ্জা পর্যটন এলাকায় অবস্থিত রিসোর্ট ‘মিরিঞ্জা ভ্যালী’র নাইট গার্ড লামা পৌরসভার মধুঝিরি এলাকার আবুল কাশেম (বোবা) এর ছেলে রুবেল (৩২) তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে গত শনিবার রিসোর্টে যায়। সেখানে ওই নারীকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে চারদিন আটকে রেখে ছয়জনে মিলে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।
গত মঙ্গলবার দুপুরে ধর্ষণের শিকার নারী রিসোর্ট থেকে পালিয়ে লামা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করেন।
প্রাথমিক চিকিৎসার পর ঐ নারী থানায় গিশে পুলিশের নিকট পুরো ঘটনা বর্ণনা দেন। এই ঘটনায় চারজনকে এজাহার নামীয় ও দুইজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে ধর্ষণের শিকার নারী নিজেই বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(৩)/৩০ ধারায় মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- লামা পৌরসভার মধুঝিরি এলাকার দানু মিয়ার ছেলে জহির (৪০) ও লাইনঝিরি এলাকার কবিরের ছেলে মামুন (২৮)। এছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা দুই জনকে আসামি করা হয়েছে।
বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) আব্দুল করিম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, লামা উপজেলার মিরিঞ্জা ভ্যালী ও মিরিঞ্জা এগেইন দুইটি রিসোর্টেই স্বামীর সহায়তায় এক নারীকে ছয়জন মিলে ধর্ষণ করেছে। দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।
ঢাকা/চাইমং/এস