তিস্তার হিস্যা দিতে ভারতকে বাধ্য করব: উপদেষ্টা আসিফ
Published: 9th, February 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
তিস্তার ন্যায্য হিস্যা দিতে ভারতকে বাধ্য করব বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার ও যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) কাউনিয়ার তিস্তা সড়ক সেতু ও ব্রিজের পাশে তিস্তা নিয়ে করণীয় শীর্ষক শুনানিতে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
আসিফ মাহমুদ বলেন, গত সরকার ভারতের সঙ্গে নতজানু হয়ে কেবল ছবি তুলেছে, কিন্তু তিস্তা নিয়ে কোনো কথা বলেনি। আমরা অন্তর্বর্তী সরকার পররাষ্ট্র নীতির ক্ষেত্রে প্রথম থেকেই জোরদার আছি। আমরা তিস্তার ন্যায্য হিস্যা দিতে ভারতকে বাধ্য করব।
তিস্তার চরে বিভিন্ন আবাদি ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখানে কোল্ড স্টোরেজ নাই, তাই এখানে বেশি করে কোল্ডস্টোরেজ করা হবে। তাহলে কৃষকের ফসল নষ্ট হবে না। এখানে কাউনিয়া থেকে লালমনিরহাট ব্রিজের কাজ আমি থাকতেই শুরু করতে চাই।
তিনি আরও বলেন, এখানে দেখেছি শিক্ষার হার কম, তাই এখানে কয়েকটি লাইব্রেরি স্থাপনের কাজ হাতে নিয়েছি।
এম জি
.উৎস: SunBD 24
এছাড়াও পড়ুন:
রমেক হাসপাতালের সেই চিকিৎসক মাহবুবুরের বদলি চান সহকর্মীরা
অপচিকিৎসায় দুই রোগীর মৃত্যুসহ রিং বাণিজ্য ও প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ নেওয়ার অভিযোগ ওঠা রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. মাহবুবুর রহমানকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার আবেদন করেছেন সহকর্মীরা।
গত মঙ্গলবার তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণসহ অন্যত্র পদায়ন বা বদলির আবেদন জানিয়ে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের মহাপরিচালককে চিঠি দিয়েছেন। এতে সই করেছেন কার্ডিওলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. হরিপদ সরকার, ডা. রবীন্দ্রনাথ বর্মণ, সহকারী অধ্যাপক ডা. আবু জাহিদ, ডা. হাসানুল ইসলাম, জুনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. আশেকুর রহমান, সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. আব্দুল আলীম সরকারসহ ১১ চিকিৎসক।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ডা. মাহবুবুর কর্তৃক হার্টের রক্তনালিতে রিং পরানোয় অনিয়ম নিয়ে ভুক্তভোগী রোগী ও তাদের স্বজন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, দুর্নীতি দমন কমিশনসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে লিখিত অভিযোগ করেছেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রমেক হাসপাতাল কর্তৃক গঠিত পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি তদন্তও করেছে। কিন্তু ডা. মাহবুবুর অভিযোগকারীদের ভয়ভীতি ও অর্থনৈতিক প্রলোভন দেখিয়ে উত্থাপিত অভিযোগগুলো প্রত্যাহারের জন্য চাপ প্রয়োগ করে আসছেন। এ অবস্থায় তিনি রমেকে থাকলে তাঁর অনিয়মের পুনরাবৃত্তি এবং রোগীদের প্রতিবাদের আশঙ্কাসহ সুষ্ঠু কাজের পরিবেশ বিঘ্নিত হতে পারে।
প্রয়োজন না হলেও রোগীকে ‘আতঙ্কিত’ করে রিং স্থাপনে উৎসাহিত করা, হার্টের রক্তনালিতে একটি রিং (স্টেন্ট) স্থাপন করে তিনটির টাকা নেওয়া, রিং না বসিয়ে সার্জারি করেই রিংয়ের টাকা আদায় করাসহ রোগীদের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ আছে ডা. মাহবুবুরের বিরুদ্ধে। এসবের তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ না হতেই তিনি বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তির মাধ্যমে অভিযোগ তুলে নিতে ‘চাপ ও হুমকি’ দিচ্ছেন বলে ২২ ফেব্রুয়ারি গাইবান্ধা সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন আতোয়ার রহমান নামে এক ভুক্তভোগী।
অভিযোগ অস্বীকার করে ডা. মাহবুবুর বলেন, প্রত্যেক রোগীর হার্টে রিং স্থাপনের পর তাঁকে রিপোর্ট কপি এবং সিডি দেওয়া হয়। সেখানে বিস্তারিত তথ্য থাকে। এর পরও যদি কেউ অভিযোগ করেন, তাহলে এটা দুঃখজনক।
ডা. মাহবুবুরকে সরাতে কার্ডিওলজি বিভাগের চিকিৎসকরা স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের মহাপরিচালককে চিঠি দিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আশিকুর রহমান। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত প্রতিবেদন সম্পর্কে তিনি বলেন, এ বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণলায় সিদ্ধান্ত নেবে।