গণ–অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা সফল করতে ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ জাসদ। দলটি বলছে, শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ক্ষোভের নামে যা করা হয়েছে, তা হাসিনার অশাসনকে আড়াল করে ফ্যাসিবাদ পুনরুজ্জীবনের পথ উন্মুক্ত করবে।

গতকাল শনিবার রাজধানীর শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে বাংলাদেশ জাসদ জাতীয় কমিটির পঞ্চম সভায় দলটির নেতারা এসব কথা বলেন। আজ রোববার বাংলাদেশ জাসদের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে এ কথা জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিক্ষোভের নামে একটি চিহ্নিত মহল ৫ ফেব্রুয়ারি স্বাধীনতাসংগ্রামের ঐতিহাসিক স্মারক ‘বঙ্গবন্ধু ভবন’ গুঁড়িয়ে দেওয়া ও সারা দেশে বিভিন্ন বাসভবন, স্থাপনা, বাণিজ্যিক ভবন, ম্যুরাল, ভাস্কর্য ধ্বংস করাসহ চরম নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খল কার্যকলাপে গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানানো হয় সভায়। গণ–অভ্যুত্থানের চেতনা ও ঐক্যকে নস্যাৎ করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই এই ন্যক্কারজনক কর্মকাণ্ড করা হয়েছে বলে দলটির ধারণা।

বাংলাদেশ জাসদের সভাপতি শরীফ নূরুল আম্বিয়ার সভাপতিত্বে সভা সঞ্চালনা করেন দলের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধান। এ সময় দলের অন্য নেতারা আলোচনায় অংশ নেন।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

এমডব্লিউ বাংলাদেশের উদ্যোগে মায়া বেঙ্গল ইন মোশন : টাইমলেস টেগোর

আন্তর্জাতিক নৃত্য দিবস উপলক্ষ্যে এমডব্লিউ বাংলাদেশ ম্যাগাজিন ও স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেড-এর ন্যাচারাল ওয়েলনেস ব্র্যান্ড মায়া-এর যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হলো বেঙ্গল ইন মোশন-এর দ্বিতীয় আয়োজন। এই আয়োজনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সাহিত্যকর্মের সঙ্গে দক্ষিণ এশিয়ার ঐতিহ্যবাহী নাচের মেলবন্ধন ও শিল্পের সৌন্দর্য তুলে ধরা হয়।

বেঙ্গল ইন মোশন-এর মূল উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশি শিল্পীদের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা, যেখানে তারা নিজেদের মেধা ও দক্ষতার পরিচয় তুলে ধরার পাশাপাশি স্বীকৃতি অর্জনের পথে এগিয়ে যাবেন। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দর্শক এবং স্পনসরদের সামনে শিল্পীদের উপস্থিতি ও অংশগ্রহণ নিশ্চিত করাও এই আয়োজনের অন্যতম লক্ষ্য।

বেঙ্গল ইন মোশন-এর এই বছরের থিম ছিল টাইমলেস টেগোর। নোবেলজয়ী বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাট্যকর্ম থেকে অনুপ্রাণিত নৃত্যনাট্য পরিবেশন করা হয় এবারের মঞ্চে। এই আয়োজনের লক্ষ্য ছিল রবীন্দ্রনাথের সাহিত্যকর্মের সার্বজনীনতাকে দর্শকদের সামনে জীবন্ত করে তোলা এবং নৃত্যের ভাষায় তার অমর সৃষ্টিকে প্রকাশ করা।

অনুষ্ঠানে বরেণ্য ও নবীন শিল্পীদের পরিবেশনায় উপস্থাপিত হয় চারটি শাস্ত্রীয় নৃত্যরূপ—ভরতনাট্যম, কত্থক, মণিপুরী ও ওডিশি।

আয়োজনটি অনুষ্ঠিত হয় শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) আলোকি কনভেনশন সেন্টারে। শিল্পীদের পরিবেশনার কারিগরি নির্দেশনায় ছিলেন সৃষ্টি কালচারাল সেন্টারের পরিচালক আনিসুল ইসলাম হিরু। মূল আয়োজনের সূচনা হয়েছিল আনিসুল ইসলাম হিরু ও মাহবুবা মাহনূর চাঁদনীর পরিবেশনার মাধ্যমে। অন্যান্য পরিবেশনায় অংশ নিয়েছিলেন বরেণ্য নৃত্যশিল্পী সাদিয়া ইসলাম মৌ, সাবরিনা শফি নিশা, বেনজীর সালামের দল, সামিনা হোসেন প্রেমা, আনিকা কবির শখ, তামান্না রহমান ও তাদের দল।

অনুষ্ঠানে মূল্যবান বক্তব্য রাখেন স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেড-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর অঞ্জন চৌধুরী এবং এমডব্লিউ ম্যাগাজিন বাংলাদেশ-এর সম্পাদক ও প্রকাশক রুমানা চৌধুরী।

পুরো অনুষ্ঠানটিই দর্শকরা গভীরভাবে উপভোগ করেছেন এবং আনন্দের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের চিরন্তন সৃষ্টিকে উদ্‌যাপন করেছেন।

এই আয়োজনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় কাজ করেছে সান কমিউনিকেশনস লিমিটেড।

আন্তর্জাতিক নৃত্য দিবস উপলক্ষ্যে আগামী ২৯ এপ্রিল (মঙ্গলবার) রাত ১০টা ৩০ মিনিটে মাছরাঙ্গা টেলিভিশনে অনুষ্ঠানটি সম্প্রচারিত হবে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ