মানব পাচারকারীদের খপ্পরে পড়ে বাংলাদেশের কয়েকজন নাগরিক বাধ্য হয়ে রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছেন। এ বিষয়ে মস্কোতে বাংলাদেশের দূতাবাসের কাছে বিস্তারিত জানতে চেয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

আজ রোববার বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।

মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি যে একটি বাংলাদেশি এজেন্সি রাশিয়া ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে কাজ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কয়েকজন বাংলাদেশিকে রাশিয়ায় পাঠিয়েছে। একপর্যায়ে তাঁদের রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে জড়াতে বাধ্য করা হয়। ইতিমধ্যেই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে মস্কোতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের কাছ থেকে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাওয়া হয়েছে।’

রফিকুল আলম বলেন, এ ছাড়া বিষয়টি খতিয়ে দেখতে এবং এ ধরনের কাজে জড়িত রিক্রুটিং ও ট্রাভেল এজেন্সির বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য ইতিমধ্যেই সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। তিনি জানান, রাশিয়ায় মানব পাচারের সঙ্গে জড়িত চক্রের একজনকে গত সপ্তাহে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ছাড়া চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকালীন ভ্রমণ ভিসায় বাংলাদেশ থেকে রাশিয়ায় গমনেচ্ছুক বাংলাদেশিদের জন্য এবং যাঁদের পাসপোর্টে রাশিয়া ভ্রমণের বৈধ ভিসা আছে, তাঁদের ক্ষেত্রে দেশের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলোতে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বনের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

রফিকুল আলম বলেন, ইতিপূর্বে সোলায়মান কবির নামের এক বাংলাদেশি দালালের খপ্পরে পড়ে রাশিয়ায় গিয়ে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে অংশ নিতে বাধ্য হন। পরে তিনি যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পালিয়ে মস্কোয় বাংলাদেশ দূতাবাসে অবস্থান নিলে দূতাবাস তাঁকে বাংলাদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। তিনি জানান, একইভাবে বাংলাদেশ দূতাবাসে কেউ যদি যোগাযোগ করেন, তাঁদের সমস্যার বিষয়টি জানান, তাহলে দূতাবাস তাঁদের বাংলাদেশে ফেরত আনার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইউক র ন য দ ধ

এছাড়াও পড়ুন:

সংস্কারে বিভক্তির গন্ধ পেলে মানুষ গ্রহণ করবে না: মির্জা আব্বাস

সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

যে সংস্কারে বিভক্তির গন্ধ পাওয়া যায় সেই সংস্কার মানুষ গ্রহণ করবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর মতিঝিলে রাষ্ট্র মেরামতে বিএনপির ৩১ দফা নিয়ে আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

মির্জা আব্বাস বলেন, গণহত্যার বিচার হতেই হবে। যারা গণহত্যা, লুট, ছিনতাই করেছে এবং এদেশের মানুষের অধিকার, কথা বলার অধিকার, দেশের মানুষের সম্পদ লুট করেছে, যারা এই দেশের শিশু বাচ্চাদেরকে গুলি করে হত্যা করেছে। তারা কেউ যেনো বিচারের হাত থেকে রেহাই না পায় সেই বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে। সংস্কারে পাশাপাশি নির্বাচনের প্রস্তুতিও নিতে হবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে।

এসময় সংস্কার কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী দেশকে চারটি প্রদেশে ভাগ করার প্রস্তাবনার কঠোর সমালোচনা করে তিনি আরও বলেন, সংস্কার ঘোষণা দিয়ে হয় না। বাংলাদেশের মানুষ এই ধরণের সংস্কার কামনা করে না। এ দেশের মানুষ অত্যন্ত সচেতন।

এম জি

সম্পর্কিত নিবন্ধ