ধুনট উপজেলা বিএনপির সভাপতির বিরুদ্ধে সাংগঠনিক সম্পাদকের ওপর হামলার অভিযোগ
Published: 9th, February 2025 GMT
বগুড়ার ধুনট উপজেলা বিএনপির সভাপতি তৌহিদুল আলম মামুন ও তাঁর লোকজনের বিরুদ্ধে উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আপেল মাহমুদ ও তাঁর সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলা সদরের হুকুম আলী বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে আপেল মাহমুদ, তাঁর ছেলে ও কয়েকজন কর্মী-সমর্থক আহত হয়েছেন।
হামলার সময় ভাঙচুর করা হয়েছে পাঁচ থেকে ছয়টি মোটরসাইকেল। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে আপেল মাহমুদ ও তাঁর ছেলে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবির মাহমুদ উৎসকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় আজ দুপুরে বগুড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে আহত আপেল মাহমুদ অভিযোগ করেন, কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে মিছিলের চেষ্টাকালে তৌহিদুল আলমের নির্দেশে তাঁর লোকজন হামলা চালিয়েছেন। ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগ দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা ও দেশজুড়ে ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপের ষড়যন্ত্র করছে। ধুনট উপজেলা আওয়ামী লীগের অনেক নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হলেও কাউকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। এসবের প্রতিবাদে আজ হুকুম আলী বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে সন্ত্রাসবিরোধী মিছিল নিয়ে উপজেলা সদর অভিমুখে রওনা হওয়ার প্রস্তুতি চলছিল। এ সময় উপজেলা বিএনপির সভাপতি তৌহিদুল আলমের নির্দেশে ধুনট সদর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি কবির তালুকদারের নেতৃত্বে হঠাৎ মিছিলে হামলা চালানো হয়। হামলাকারীরা পাঁচ থেকে ছয়টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেছেন। এ ঘটনায় চিকিৎসা শেষে তিনি থানায় অভিযোগ করবেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তৌহিদুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘ছেলের রুয়েটে ভর্তি পরীক্ষার জন্য আমি রাজশাহীতে এসেছি। আপেল মাহমুদের ওপর হামলার বিষয়ে কিছুই জানি না। আমার বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ করে থাকলে তা ভিত্তিহীন।’
আপেল মাহমুদ বলেন, বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও ধুনট উপজেলার সাধারণ সম্পাদককে অবহিত করেই ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের দোসর ও মামলার এজাহারভুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মিছিলটি করার কথা ছিল। ধুনট থানা–পুলিশকেও বিষয়টি জানানো হয়েছে।
বিএনপি ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলা বিএনপির সভাপতি তৌহিদুল আলমের সঙ্গে সাংগঠনিক সম্পাদক আপেল মাহমুদের দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক বিরোধ চলে আসছে। এর জেরে আপেল মাহমুদের মিছিলে হামলার ঘটনা ঘটেছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ত হ দ ল আলম ব এনপ র স
এছাড়াও পড়ুন:
বাদ যাচ্ছে ১৬ লাখ মৃত ভোটার, সুযোগ নেই কারচুপির: ইসি আনোয়ারুল
নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেছেন, কমিশনের কাছে ভালো নির্বাচন না করার কোনো বিকল্প নেই। এবার প্রথমবারের মতো ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়ছে প্রায় ১৬ লাখ মৃত ভোটার। এতে কোন কারচুপির সুযোগ নেই।
সোমবার সন্ধ্যায় ভোটার তালিকা হালনাগাদ ২০২৫ উপলক্ষে মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক কক্ষে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি সাংবাদিকদের এই কথা বলেন।
আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ডিসেম্বরের মধ্যে যাতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, সেই লক্ষ্যেই প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। রাজনৈতিক দলগুলোর ঐক্যমতের ভিত্তিতে আমরা একটি ভালো নির্বাচন চাই। স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়টি সামনে রেখে নির্বাচন কমিশন এগিয়ে যাচ্ছে। তবে সংস্কারের বিষয়টি নিয়ে কাজ হচ্ছে।’
নির্বাচনী আসন নিয়ে নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, মানিকগঞ্জে একটি সংসদীয় নির্বাচনী আসন কমানো হয়েছে। আসন পুনরুদ্ধারে অনেকগুলো আবেদন নির্বাচন কমিশনের কাছে এসেছে। এ বিষয়টি দেখা হবে।
নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে পর্যালোচনা করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমাদের ভালো একটা নির্বাচন এবং অতীতের গ্লানি মুছে ফেলতে কী কী করণীয় প্রয়োজন, তা আমরা এক্সারসাইজ করে রেখেছি। সংস্কার প্রতিবেদন অনুযায়ী আমরা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করব এবং সেই অনুযায়ী কাজ করব।
মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক ড. মনোয়ার হোসেন মোল্লার সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনের একান্ত সচিব মো. কামরুজ্জামান, ঢাকা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ইউনুস আলী, পুলিশ সুপার মোছা. ইয়াসমিন খাতুন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ আলী, জেলা নির্বাচন অফিসার মো. নাজিম উদ্দিন প্রমুখ।