ইরানের ইসলামি বিপ্লবের ৪৬তম বিজয় বার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকার জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে এক আলোচনার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাউথ ইস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. ইউসূফ মাহবুবুল ইসলাম।

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঢাকাস্থ ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের উদ্যোগে ‘ইরানের ইসলামি বিপ্লব: বিশ্বের জাতিগুলোর জন্য অনুপ্রেরণা’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকাস্থ ইরান দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত মানসুর চাভোশী ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ আইয়ুব ভূঁইয়া। অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকাস্থ ইস্টার্ন প্লাস জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মুহাম্মদ রুহুল আমীন। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ঢাকাস্থ ইরান সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের কালচারাল কাউন্সেলর সাইয়্যেদ রেজা মীরমোহাম্মদী।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, “১৯৭৯ সালে ইমাম খোমেইনী (র.

) এর নেতৃত্বে সংঘটিত ইরানের ইসলামি বিপ্লব দুনিয়ার মুসলমানের কাছে এমনকি মুসলিম-অমুসলিম নির্বিশেষে সমগ্র মানবতার কাছে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। ঐতিহাসিক এই বিপ্লবের সাড়ে ৪ দশকের সাফল্য আজ বিশ্বের সকল মুসলিম ও স্বাধীনতাকামী জাতির জন্য একটি রোল মডেল।”

তারা বলেন, “ইরানের ইসলামী বিপ্লব সাধারণ কোন বিপ্লব নয়। এ বিপ্লব বিগত এক হাজার বছরের সেরা আদর্শিক বিপ্লব, যা ইরানি জাতির জন্য ফিরিয়ে আনে প্রকৃত স্বাধীনতা, সম্মান ও উন্নয়নের বিরতিহীন অগ্রযাত্রার সেই গৌরবের ধারা। দশকের পর দশক ধরে চলমান নানা ষড়যন্ত্র ও কঠিন অবরোধের মধ্যেও বিশ্বের অনেক দেশের চেয়ে দ্রুত গতিতে সামনের দিকে এগিয়ে চলেছে দেশটি। আর্থ-সামাজিক-রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে ইরান বিস্ময়কর অগ্রগতি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।”

আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বিভিন্ন উন্নয়ন সূচকে শক্তিশালী অবস্থান বলে দিচ্ছে দেশটি কতটা অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলেছে। শিক্ষা, বিজ্ঞান, উদ্ভাবন, প্রযুক্তিগত উন্নয়নসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এখন নেতৃস্থানীয় দেশের তালিকায় রয়েছে ইরান। বিশেষ করে আবিষ্কার ও উদ্ভাবন, ন্যানো প্রযুক্তি, প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, সাবমেরিন বা ডুবো জাহাজ শিল্প, অ্যারোস্পেস, সামরিক ও বেসামরিক বিমান শিল্প, কৃত্রিম উপগ্রহ ও মহাকাশ সংক্রান্ত প্রযুক্তি, চিকিৎসা এবং কৃষিতে বিশ্বসেরা ১০টি দেশের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে আজকের ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান।

বক্তারা বলেন, “বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রগতির সাথে তাল মিলিয়ে ইরানের শিক্ষাব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো হয়েছে। উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে দেশটির অগ্রগতি আজ চোখে পড়ার মতো। টাইমস হায়ার এডুকেশন ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র‍্যাংকিং ২০২৫-এ বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে স্থান পেয়েছে ইরানের ৮১টি বিশ্ববিদ্যালয়।”

তারা বলেন, “ইসলামী বিপ্লবের পর ইরানের উপর যুদ্ধ চাপিয়ে দেয়া দেয়া হয়েছে, কঠিন অবরোধ আরোপ করা হয়েছে। কিন্তু এসব কিছুই ইসলামি ইরানের দুর্বার অগ্রযাত্রাকে থামাতে পারেনি। ইরান তার শক্তি ও সামর্থ্যের কারণেই বিশ্বে আজ একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। যেদেশটি কোন অপশক্তির কাছে মাথানত করে না। তবে বিশ্বের মজলুম মানুষের পক্ষে দেশটির সহযোগিতার হাত সব সময় প্রসারিত। বিশেষ করে ফিলিস্তিনের মজলুম মানুষের পক্ষে ইরান যেভাবে সর্বশক্তি দিয়ে সহযোগিতা করে যাচ্ছে এমন নজির বিশ্বে আর দ্বিতীয়টি নেই। সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান সব সময় বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখায় বিশ্বের সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলো ইরানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের জাল বিছিয়ে রেখেছে। কিন্তু ইসলামের শত্রুদের সকল ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে দেশটি যেভাবে উন্নয়ন ও অগ্রগতির দিকে এগিয়ে চলেছে তা বিশ্বের জাতিগুলোর জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছে।”

ঢাকা/হাসান/এনএইচ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

ট্রেন্ডিংয়ের শীর্ষে অপূর্ব-নীহা

ঈদ উপলক্ষে টেলিভিশন চ্যানেলগুলো বরাবরই বর্ণাঢ্য আয়োজন করে থাকে। এই আয়োজনের প্রধান আকর্ষণ—নাটক, টেলিফিল্ম। তবে নতুন মিডিয়া হিসেবে ইউটিউব চ্যানেল নিজস্ব একটি জায়গা তৈরি করে নিয়েছে। ঈদ উপলক্ষে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলোও ইউটিউবের জন্য ভিন্ন ধারার নাটক নির্মাণ করে থাকে।

প্রত্যেক ঈদে কিছু নাটক দর্শকের মনে বিশেষভাবে দাগ কেটে যায়। নাটকের গল্প, নির্মাণ শৈলী ও অভিনয়শিল্পীদের পারফরম্যান্স আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে। ঈদুল ফিতরে মুক্তিপ্রাপ্ত নাটকগুলোর মধ্যে ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ের শীর্ষে রয়েছে ‘মেঘবালিকা’ নাটকটি।

জাকারিয়া সৌখিন নির্মিত ‘মেঘবালিকা’ নাটকে জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন জিয়াউল ফারুক অপূর্ব ও নাজনীন নীহা। নাটকটি দেখে ভূয়সী প্রশংসা করছেন নেটিজেনরা। ৬ দিনে নাটকটির ভিউ দাঁড়িয়েছে ৭৬ লাখের বেশি।

আরো পড়ুন:

ভিউয়ের দৌড়ে ‘বড় ছেলে’ অপূর্বকে ছাড়িয়ে নিলয়

বিয়ে করলেন জামিল-মুনমুন

ট্রেন্ডিংয়ের শীর্ষে ‘মেঘবালিকা’। দর্শক সাড়া পেয়ে কেমন লাগছে? এমন প্রশ্নের জবাবে নীহা বলেন, “খুব ভালো লাগছে। ঈদে এত এত ভালো নাটক এসেছে। সেগুলোর মধ্যে আমাদের নাটকটিও দর্শক পছন্দ করেছেন, ট্রেন্ডিংয়ে ১ নাম্বারে রয়েছে— এটা তো দারুণ ব্যাপার। এর আগেও আমাদের ‘মন দুয়ারী’ নাটকটি দর্শক খুব পছন্দ করেছিলেন। এ কারণে চিন্তা এবং এক্সাইটমেন্ট দুটিই ছিল— দর্শক আগের মতো গ্রহণ করেন কি না। এখন এত এত ভালোবাসা দেখে ভালো লাগছে, সামনে আরো ভালো কাজের উৎসাহ পাচ্ছি।”

অপূর্বর সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা জানিয়ে নীহা বলেন, “প্রথম যেদিন গল্প নিয়ে বসেছিলাম, খুব ভয় পাচ্ছিলাম। অপূর্ব ভাইয়া আমার বরাবরই পছন্দের অভিনেতা, একজন লিজেন্ডারি অ্যাক্টর। তাই ভয় ছিল, প্রথম প্রতিক্রিয়া কেমন হয়! তবে ভাইয়া আন্তরিকভাবে বিষয়টা সহজ করে দিয়েছিলেন।”

শুটিং সেটেও অপূর্বর ব্যবহার ছিল অমায়িক। তা জানিয়ে নীহা বলেন, “প্রথম যেদিন শুটিংয়ে গিয়েছিলাম, সেদিনও ভয়ে ভয়ে ছিলাম। তার মতো একজন অভিনেতার সঙ্গে অভিনয় করা চাট্টিখানি কথা নয়। তবে সেখানেও ভাইয়া অনেক সহযোগিতা করেছেন, মনেই হয়নি তার সঙ্গে আমার প্রথম কাজ। তার কাছ থেকে আসলে অনেক কিছু শিখেছি। সবার সঙ্গে কীভাবে কথা বলতে হয়, বিনয়ের সঙ্গে কীভাবে একটা বিষয় সামলাতে হয়— সব মিলিয়ে চমৎকার অভিজ্ঞতা হয়েছে।”

পরিচালনার পাশাপাশি ‘মেঘবালিকা’ নাটক রচনাও করেছেন জাকারিয়া সৌখিন। নাটকটির অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন— সুমু চৌধুরী, সমাপ্তি মাসুক, মিলি বাশার প্রমুখ।

ঢাকা/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বৈশাখে স্মৃতির ঝাঁপি খুলবেন বিজরী-দিনার
  • শহুরে পরিবারের দ্বন্দ্ব নিয়ে ‘ননসেন্স’
  • নির্বাচন ও সংস্কার মুখোমুখি করা গণ–অভ্যুত্থান ব্যর্থ করার ষড়যন্ত্র: রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন
  • বৈসাবি উপলক্ষে রাঙামাটিতে ঐতিহ্যবাহী বলী খেলা অনুষ্ঠিত
  • ট্রেন্ডিংয়ের শীর্ষে অপূর্ব-নীহা
  • আমিরাতের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
  • নববর্ষ বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র রুখে দেওয়ার দাবি কবিতা পরিষদের 
  • নিরাপত্তা উপদেষ্টার নিয়োগ বাতিলের দাবি বিপ্লবী পরিষদের
  • নববর্ষের ঐতিহ্য রক্ষায় জাতীয় কবিতা পরিষদের পাঁচ দাবি
  • ভাসানচরকে নোয়াখালীর হাতিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন করার ‘ষড়যন্ত্র’ চলছে