দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে ‘কমান্ড সেন্টার’ আজ রোববার সন্ধ্যা থেকে কাজ শুরু করেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো কে কী কাজ করছে, সেটি ভালোভাবে সমন্বয় করতে এই কমান্ড সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আজ বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। প্রধান উপদেষ্টার কাছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ‘বাংলাদেশের অর্থনীতি: সাম্প্রতিক চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যৎ করণীয়’ শীর্ষক প্রতিবেদনের তথ্যও তুলে ধরা হয় সংবাদ ব্রিফিংয়ে।

কমান্ড সেন্টারের বিষয়ে প্রেস সচিব বলেন, গতকাল থেকে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ শুরু হয়েছে। কিছুদিন আগে প্রধান উপদেষ্টা আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। সেখানে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারীও ছিলেন। সেখানে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, একটি কমান্ড সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা; যাতে প্রতিটি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কে কী কাজ করছে, সেটি যাতে ভালোভাবে সমন্বয় করা যায়। আজ সন্ধ্যায় এটি কাজ শুরু করছে।

প্রেস সচিব বলেন, এখানে নিয়মিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, যারা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যুক্ত, যেমন পুলিশ, বিজিবি, কোস্টগার্ড ও র‍্যাব আছে। তাদের বাইরে সশস্ত্র বাহিনীরও প্রতিনিধি এতে থাকবে। তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করছে। তাদের বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।

কমান্ড সেন্টার প্রতিষ্ঠার ফলে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও উন্নত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রেস সচিব। তিনি বলেন, এতে খুব দ্রুত সাড়া দেওয়া যাবে। কোনো জায়গায় যদি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা করা হয়, সেখানে দ্রুত সাড়া দেবে তারা।

কমান্ড সেন্টার কার অধীনে চলবে বা কী প্রক্রিয়ায় পরিচালিত হবে—এমন প্রশ্নের জবাবে প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন কমান্ড সেন্টার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সমন্বয় করা হবে। প্রতিটি বাহিনীর প্রতিনিধি থাকবেন এবং নিয়মিত মনিটরিং হবে।

সংবাদ ব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ মজুমদার, অপূর্ব জাহাঙ্গীর ও সহকারী প্রেস সচিব সুচিস্মিতা তিথি।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: কম ন ড স ন ট র পর স থ ত

এছাড়াও পড়ুন:

আইনশৃঙ্খলার অবনতি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায় এড়ানোর সুযোগ নেই: গণসংহতি আন্দোলন

সারা দেশে নারী সহিংসতা, হয়রানি এবং ধর্ষণের ঘটনা ঘটছে। মব সৃষ্টি করে নারীদের ওপর আক্রমণ হচ্ছে। এ ছাড়া চাঁদাবাজি, দখলদারত্ব, ডাকাতি ইত্যাদি উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে যাচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রেই এসব বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিষ্ক্রিয় দর্শকের ভূমিকায় থাকছে। চলমান ঘটনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কোনোভাবেই নিজেদের দায় অস্বীকার করতে পারে না।

আজ সোমবার গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল এক যৌথ বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।

বিবৃতিতে অবিলম্বে এ ধরনের ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়। পাশাপাশি এ রকম ঘটনা প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করে জনমনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে বলা হয়। দলটি মনে করে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির এই অবনতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কার্যকারিতাকে দারুণভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করে।

গণ–অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন শক্তি ইতিমধ্যেই প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এই প্রতিরোধকে আমরা স্বাগত জানাই। জনগণের প্রতিরোধী শক্তিই আগামী দিনে বাংলাদেশকে সঠিক দিশা দেখাতে পারে।’

গণ–অভ্যুত্থানের সব শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই নিপীড়ক শক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানানো হয় বিবৃতিতে। বলা হয়, নারীরা বাংলাদেশের গণ–অভ্যুত্থানের নিয়ামক শক্তি, আগামী বাংলাদেশেও তাঁরা নিয়ামক শক্তি হিসেবে ভূমিকা পালন করবেন। আর নারীদের জন্য সেই পরিবেশ তৈরি করে দেওয়ার দায়িত্ব অভ্যুত্থানের পক্ষে থাকা সব শক্তির।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নিরাপত্তারক্ষীদেরই জীবনের নিরাপত্তা নেই: জিএম কাদের
  • ইউনূস সরকারের রিপোর্ট কার্ড
  • বাংলাদেশের অদূর এবং সুদূর ভবিষ্যৎ
  • নিপীড়নের ঘটনাগুলোতে সাত দিনের মধ্যে শক্ত অবস্থান নেওয়ার দাবি ঢাবি সাদা দলের
  • নিয়মিত বাহিনীকেই কার্যকর করতে হবে
  • কথা নহে, কাজ চাহি
  • নারী নির্যাতন, বিচারহীনতা ও সরকারের অস্পষ্ট অবস্থান
  • কুমিল্লায় ৪৮ ঘণ্টায় ৩ ঘটনা, ধর্ষণের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থায় ‘ঘাটতি’
  • আইনশৃঙ্খলার অবনতি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায় এড়ানোর সুযোগ নেই: গণসংহতি আন্দোলন
  • ইতালিতে যাওয়ার স্বপ্ন ‘অচল’ বানাল ভৈরবের খুরশেদকে, হারিয়েছেন ভিটাবাড়িসহ সব