শূন্য পদে নিয়োগসহ চার দাবিতে মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল (ম্যাটস) শিক্ষার্থীদের সচিবালয়ে অভিমুখী লংমার্চে লাঠিপেটা ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়েছে পুলিশ। এতে নারী শিক্ষার্থীসহ ১১ জন আহত হয়েছেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

এর আগে রোববার বিকেলে শাহবাগ থেকে সচিবালয় অভিমুখে রওনা দেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষা ভবনের সামনে গেলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। পরে সেখানে দু’পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এক পর্যায়ে পুলিশ তাদের লাঠিপেটা করে। পুলিশের তাড়া খেয়ে আন্দোলনকারীরা কদম ফোয়ারা ও মৎস্য ভবন হয়ে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের দিকে চলে যান।

ডিএমপির রমনা বিভাগের উপকমিশনার মাসুদ আলম বলেন, শিক্ষার্থীরা পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে শিক্ষা ভবনের সামনে এলে প্রতিরোধের জন্য একটি সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে পুলিশ। এতে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়, তবে লাঠিপেটার ঘটনা ঘটেনি।

ম্যাটস শিক্ষার্থী ঐক্য পরিষদের সমন্বয়ক সাকিব মাহমুদ বলেন, দীর্ঘ তিন মাস একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ রেখে আন্দোলন করলেও আমাদের দাবি পূরণ করা হয়নি। তাই সড়কে নামতে হয়েছে। মিছিল নিয়ে আমরা সচিবালয়ের দিকে যাচ্ছিলাম। শিক্ষা ভবনের সামনে গেলে পুলিশ লাঠিপেটা ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। আহত শিক্ষার্থীরা হলেন মেহরাব, এরশাদুল হক, জাহিদুল হাসান, সোহাগ, আমানুল্লাহ, সায়মা, সুমাইয়া খাতুন, তাহমিনা আক্তার তমা, মোহাম্মদ রাসেল, শিহাব ও আরাফাত।

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো.

ফারুক জানান, ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে আনা আহত ১১ শিক্ষার্থীকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

এর আগে শাহবাগ থেকে পাঁচ সদস্যের একটি শিক্ষার্থী প্রতিনিধি দলকে সচিবালয়ে নিয়ে যান স্বাস্থ্য উপদেষ্টার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা তুহিন ফারাবী। প্রতিনিধি দলে ছিলেন সাধারণ ম্যাটস শিক্ষার্থী ঐক্য পরিষদের আজহারুল হক রামিম, মুজাহিদুল ইসলাম, হাসিবুল ইসলাম শান্ত, আহমদ উল্লাহ মানসুর ও শামীম মিঞা।

তুহিন ফারাবী বলেন, উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার পদে নিয়োগের বিষয়ে সোমবারের মধ্যে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে। তবে শিক্ষার্থীরা এমন আশ্বাস না মেনে সচিবালয় অভিমুখে লংমার্চ শুরু করে।

এদিকে দীর্ঘ চার ঘণ্টা শাহবাগ মোড়ে সড়ক অবরোধের কারণে ওই এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে তীব্র যানজট দেখা দেয়। অবরোধের ফলে সায়েন্স ল্যাব থেকে শাহবাগ হয়ে মৎস্য ভবন এবং কাকরাইল থেকে শাহবাগ হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অভিমুখী উভয় লেনে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

এর আগে বেলা ১১টার দিকে শাহবাগের সড়কে অবস্থান নেন ম্যাটস শিক্ষার্থীরা। এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হওয়ার সড়কটি বন্ধ হয়ে যায়। ভোগান্তিতে পড়েন পথচারী ও অফিসগামী চাকরিজীবীরা।

শিক্ষার্থীদের চার দফা দাবির মধ্যে রয়েছে– অবিলম্বে শূন্য পদে নিয়োগ ও নতুন পদ সৃষ্টি; প্রতিষ্ঠানের নাম ও কোর্স কারিকুলামের সংশোধন; ক্লিনিক্যাল বিষয়ে উচ্চশিক্ষা এবং স্বতন্ত্র শিক্ষা বোর্ড প্রতিষ্ঠা। গত জানুয়ারিতেও ম্যাটস শিক্ষার্থীরা এসব দাবিতে কারওয়ান বাজার ও জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবরোধ ও বিক্ষোভ করেন।

দেশে ১৬টি সরকারি ও ৫১টি বেসরকারি অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল আছে। এসব ট্রেনিং স্কুল থেকে তিন বছরের কোর্স সম্পন্ন করলে শিক্ষার্থীরা ডিপ্লোমা ইন মেডিকেল ফ্যাকাল্টি ডিগ্রি পান। তারা বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ‘স্বাস্থ্য সহকারী’ হিসেবে চাকরির সুযোগ পান।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ম য টস শ ক ষ র থ ম য টস শ ক ষ র থ র স মন সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

যে কাজই করি না কেন ভয়ংকর বিষয়টা চলে আসে: মেহজাবীন

রোমান্টিক কাজ বরাবরই কম করেন নির্মাতা ভিকি জাহেদ। তার কাজ মানেই রহস্য আর ভয়ংকর ঘটনার বিস্ময়কর মেলবন্ধন। এ বছর ভালোবাসা দিবসে রোমান্টিক-থ্রিলারে ওয়েবফিল্ম নির্মাণ করেছেন ভিকি। নাম  ‘নীল সুখ’। যেখানে বরাবরের মতই অভিনয় করেছেন মেহজাবীন চৌধুরী।

সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে প্রকাশ করা হয়েছে ‘নীল সুখ’-এর গান ও ট্রেলার। সেই সঙ্গে জানানো হয়, আগামী ১৮ ফ্রেরুয়ারি ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বিঞ্জে মুক্তি পাবে ‘নীল সুখ’।

এসময় মেহজাবীন চৌধুরী বলেন, “ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে আমরা অনেক কিছুই মাথায় রাখি। সেটা শুরু হয় ৭ তারিখ থেকেই। ভিন্ন ধরনের রোমান্টিক কাজ নিয়ে আসার চিন্তা থেকেই ‘নীল সুখ’ ওয়েব ফিল্মে কাজ করেছি। ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে এটি নির্মাণ করা হলেও কয়েকদিন পর মুক্তি পাবে। কারণ, এই দিবসটি উপলক্ষে বহু কন্টেন্ট নির্মাণ হয়। সেগুলো যদি একসঙ্গে মুক্তি পায় তাহলে কোনোটাই দর্শক ভালোভাবে দেখতে পারবে না। তাই আমরা ভালোবাসা দিবসের কয়েকদিন পর মুক্তি দেওয়ার চিন্তা করেছি।’

নির্মাতা ভিকি জাহেদ কাজ মানেই রহস্য আর ভয়ংকর ঘটনা। যেমনটা দেখা গেছে ‘পুনর্জন্ম’, ‘রেডরাম’ বা ‘দ্য সাইলেন্স’-এ। সবগুলোতে অভিনয় করেছেন মেহজাবীন চৌধুরী।

ট্রেলার প্রকাশ অনুষ্ঠানে খানিকটা মজার ছলে মেহজাবীন বলেন, ‘ভিকি জায়েদের সঙ্গে আমার অনেক কাজ হয়েছে। যার হিসাব আমার কাছেও নেই। তিনি যে ধরনের কাজ করেন তাতে স্বাভাবিকভাবে ছুরি-চাকুর ব্যবহার থাকে। কাজ করতে করতে এই ছুরি-চাকু আমারও পছন্দের হয়ে গেছে। এখন যে কাজই করি না কেনো ঘুরেফিরে সেই ছুরি-চাকু বা ভয়ংকর বিষয় আসে। যাহোক, আজকে গান ও ট্রেলার দেখার পর দর্শক রোমান্টিক কিছুর আভাস পাবে। তবে পুরো ফিল্মে বেশ কয়েকটি লেয়ার আছে। যারা রোমান্টিক কিছু দেখতে চান তাদের এই কাজটি ভালো লাগবে। আর যারা ভিন্ন কিছু দেখতে চান তাদেরও কাজটি ভালো লাগবে।’

‘নীল সুখ’ ওয়েব ফিল্মে অর্পা ও মারুফ চরিত্রে অভিনয় করেছেন মেহজাবীন চৌধুরী ও ফররুখ আহমেদ রেহান। প্রথমবারের মতো জুটি বেঁধে আসছেন তাঁরা।

ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বিঞ্জের ওয়েব সিনেমাটি প্রয়াত ঔপন্যাসিক, নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদকে উৎসর্গ করেছেন ভিকি জাহেদ। হুমায়ূন আহমেদকে আদর্শ হিসেবে মানেন এই নির্মাতা। ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো কোনো কাজ হুমায়ূন আহমেদকে উৎসর্গ করলেন তিনি।

ভিকি জাহেদ বলেন, ‘আমার দীর্ঘদিনের ইচ্ছা ছিল, আমার একটি কাজ হুমায়ূন (আহমেদ) স্যারকে উৎসর্গ করব। অবশেষে সেটা সম্ভব হলো। এটা আমার জন্য অনেক ভালো লাগার বিষয়।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ