সাবেক যুগ্ম কমিশনার শহিদুল্লাহ রিমান্ডে
Published: 9th, February 2025 GMT
রাজধানীর পল্টন মডেল থানায় যুবদল নেতা শামীম হত্যা মামলায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক যুগ্ম কমিশনার মো. শহিদুল্লাহর পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমানের আদালত শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন।
এদিন সন্ধ্যা ৬ টার পর তাকে আদালতে হাজির করা হয়। তার ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আব্দুল্লাহেল বাকী।
রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন। তিনি বলেন,“বিএনপির মহাসমাবেশ বানচালে তিনি কাজ করেছেন। অন্য আসামিদের সঙ্গে পরিকল্পিতভাবে তিনি সমাবেশ পণ্ড করতে সহযোগিতা করেন। ফ্যাসিস্ট হাসিনার চয়েজ করা লোক। এ হত্যায় তিনি মুখ্য ভূমিকা পালন করেছেন। তার ১০ দিনের রিমান্ড প্রার্থনা করছি।
এ সময় আসামি শহিদুল্লাহ কথা বলতে চান। পরে আদালতের অনুমতি নিয়ে তিনি বলেন, “বিএনপির মহাসমাবেশ কেন্দ্র করে অনেক ঝামেলা হয়েছে, এটা সঠিক। আমি ওইদিন গুলশান এলাকায় দায়িত্বে ছিলাম। এক অঞ্চলের ডিসি আরেক এলাকায় যান না। রমনায় বিশৃঙ্খলা হয়েছে। সেখানে আমি ছিলাম না। তদন্তের সঠিক রহস্য উদঘাটন হবে। এটার মাধ্যমেই মামলাটি নিষ্পত্তি হোক।”
তবে আসামিপক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। শুনানি শেষে আদালত তার পাঁচ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
এর আগে রবিবার ভোরে রাজধানীর রমনা থেকে তাকে আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হেফাজতে নেওয়া হয়।
মামলার সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অনুযায়ী ঢাকায় মহাসমাবেশ ডাকে। মহাসমাবেশকে পণ্ড করার জন্য একই দিনে আওয়ামী লীগ পাল্টা সমাবেশ ডাকে। বিএনপি নেতাকর্মীদের হত্যা ও গুম করার উদ্দেশে পুলিশের সহায়তায় মহাসমাবেশে হামলা চালানো হয়। হামলায় যুবদল নেতা শামীম নিহত হন। এ ঘটনায় ২০২৪ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর রাজধানীর পল্টন থানায় একটি মামলা করা হয়।
ঢাকা/মামুন/এসবি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের আত্মপ্রকাশ
জুলাই আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের স্মৃতি সংরক্ষণ, তাদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানো এবং ন্যায়সঙ্গত অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে আত্মপ্রকাশ করেছে ‘জুলাই স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদ’।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাত ৮টায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সংগঠনটির আত্মপ্রকাশ ঘটে।
নবগঠিত কমিটিতে ইউনিটার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী নাহিদ হাসান সজীবকে আহ্বায়ক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী অন্তর সফিউল্লাহকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। এছাড়া মুখপাত্র হিসেবে আছেন চবির ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী সৈয়ব আহমেদ সিয়াম।
আরো পড়ুন:
বিপ্লবী নারী পরিষদের আত্মপ্রকাশ
চবির ভর্তি পরীক্ষায় ২ জুলাই-বিপ্লবীকে নিয়ে প্রশ্ন
সংগঠন থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, এই সংগঠন সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক, স্বেচ্ছাসেবী ও মানবিক ভিত্তিতে পরিচালিত হবে। এর মূল লক্ষ্য শহীদ ও আহতদের নিয়ে গবেষণা, প্রকাশনা ও অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনা করা, তাদের পরিবারের যৌক্তিক দাবিতে তাদের পাশে দাঁড়ানো এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনাকে সাংস্কৃতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে ভূমিকা রাখা।
সংগঠনটির কাঠামোতে থাকবে কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক পরিষদ ও উপদেষ্টা পরিষদ। যার দিকনির্দেশনায় পরিচালিত হবে সংগঠনের সব কার্যক্রম। বিশেষভাবে, শহীদ ও আহতদের পরিবারের মতামতকে অগ্রাধিকার দিয়ে সংগঠনটি তার কর্মকৌশল নির্ধারণ করবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, সংগঠনটির উপদেষ্টা পরিষদে আছেন ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের সহযোগী অধ্যাপক ও বায়োমেডিকেল রিসার্চ ফাউন্ডেশনের (বিআরএফ) নির্বাহী পরিচালক, গবেষক ও লেখক ড. মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেন, বিআরএফের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ডা. এস এম ইয়াসির আরাফাত, লেখক মোহাইমিন পাটোয়ারী, ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের শিক্ষক মোনায়েম খান এবং বিআরএফের গবেষক ফারহিন ইসলাম।
ইতোমধ্যে সংগঠনটি শহীদদের নিয়ে প্রামাণ্য সংকলন গ্রন্থ ‘শহীদদের শেষ মুহূর্তগুলো’ (১ম খণ্ড) প্রকাশ করেছে। বইটিতে ২৬ জন শহীদের শেষ মুহূর্তগুলো তুলে ধরা হয়েছে।
সংগঠনটির মুখপাত্র সৈয়দ আহমেদ সিয়াম বলেন, “জুলাই আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের স্মৃতি সংরক্ষণ ও তাদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে জুলাই স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের যাত্রা শুরু হলো। অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হতে এবং শহীদদের প্রতি সম্মান জানিয়ে দেশের কল্যাণে কাজ করতে করবেন।”
সংগঠনের অস্থায়ী কার্যালয়- হারুন মোল্লা ঈদগাহ মাঠ, পল্লবী মেট্রো স্টেশন সংলগ্ন, মিরপুর ১২, ঢাকা ১২১৬, বাংলাদেশ।
ঢাকা/মিজান/মেহেদী