নিজ বাড়িতে ছুরিকাঘাতে প্রায় মৃত্যুর মুখ থেকে বেঁচে ফিরেছেন সাইফ আলী খান। এ ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায় ভারতের শোবিজ ও রাজনৈতিক অঙ্গনে। অস্ত্রোপচার করে সপ্তাহ দুয়েক আগে বাড়ি ফেরার পর ছোট নাবাবকে অংশ নিতে দেখা যায় সিনেমার প্রচারে। তবে রোববার বিকেলে ফের লীলাবতী হাসপাতালে ছুটতে হল সাইফকে।

ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, হামলার ঘটনার পর সাইফের নিরাপত্তা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। রোববার ছুটির দিনে কড়া নিরাপত্তায় হাসপাতালে ঢোকেন সাইফ। পরনে সাদা টি শার্ট। চোখে রোদ চশমা। ব্যাকব্রাশ করা চুল। নবাবি স্টাইলে হাসপাতালের ভেতর প্রবেশ করেন তিনি।

পাপারাজ্জিদের দেখে কোনো কথাবার্তা বা অভিবাদন না জানিয়ে তাঁদের এড়িয়ে গেলেন সাইফ। লীলাবতীর হাসপাতালে অভিনেতাকে দেখে অনুরাগীদের প্রশ্ন, আবার কী হল সাইফের।

অস্ত্রোপচারের পরই চিকিৎসকরা সাইফকে পরামর্শ দিয়েছিলেন, বিশ্রামে থাকতে হবে। মানসিক চাপ নেওয়া যাবে না। ইতিবাচক থাকার পাশাপাশি রুটিন চেকআপ করাতে হবে যথাযথভাবে।

জানা গেছে, রোববার রুটিন চেকআপের জন্যই লীলাবতী হাসাপাতালে যেতে হয়েছে সাইফকে। তবে আজও তার সঙ্গে ছিলেন না স্ত্রী কারিনা কাপুর।

এদিকে এসবের মাঝে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হঠাৎ রহস্যজনক পোস্ট করেন কারিনা। সেই পোস্ট তাঁর ইঙ্গিতপূর্ণ বলেই মনে করেছেন নেটিজেনরা। অনেকে আবার বলছেন, সাইফ-কারিনার সম্পর্কে ফাঁটল ধরেছে। সেই তিক্ততা নিয়ে এমন পোস্ট করেছেন সাইফঘরনী। সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন ও হিন্দুস্থান টাইমস।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

গর্ভকালীন উচ্চ রক্তচাপ

গর্ভাবস্থায় যেকোনো শারীরিক জটিলতা সঠিক সময়ে চিহ্নিত করে চিকিৎসা না করলে মা ও শিশুর নানা জটিলতা দেখা দিতে পারে। মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। গর্ভাবস্থায় উচ্চ রক্তচাপ তেমনি একটি রোগ। বিশ্বে ৫ থেকে ১০ শতাংশ নারী গর্ভকালীন উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হতে পারেন। বাংলাদেশে এই হার ১০ থেকে ১৫ শতাংশ। প্রি–একলাম্পশিয়ার (উচ্চ রক্তচাপের একটি জটিলতা) হার ১৪ দশমিক ৪ শতাংশ।

গর্ভাবস্থায় যদি রক্তচাপ সিস্টোলিক ১৪০ মিমি মার্কারি বা তার বেশি এবং ডায়াস্টলিক ৯০ মিমি মার্কারি বা তার বেশি হয়, তবে তাকে গর্ভাবস্থায় উচ্চ রক্তচাপ বলা হয়ে থাকে। গর্ভকালীন সপ্তাহের ওপর ভিত্তি করে একে দুই ভাগে ভাগ করা হয়।

প্রকারভেদ

১. গর্ভধারণের আগে থেকে বিদ্যমান বা গর্ভের ২০ সপ্তাহের আগে শনাক্ত হয়েছে এমন। এর মধ্যে রয়েছে ক্রনিক উচ্চ রক্তচাপ, পারিবারিক, হোয়াইট কোট হাইপারটেনশন অর্থাৎ বাড়িতে স্বাভাবিক থাকা কিন্তু চিকিৎসকের কাছে গেলে বেড়ে যাওয়া, এমন ১০ শতাংশ ক্ষেত্রে কিন্তু প্রি–একলাম্পশিয়ার হওয়া ঝুঁকি আছে।

২. গর্ভধারণের ২০ সপ্তাহ পর শনাক্ত হয়েছে এমন উচ্চ রক্তচাপ। এর মধ্যে রয়েছে জেস্টেশনাল উচ্চ রক্তচাপ বা গর্ভকালীন উচ্চ রক্তচাপ, প্রি–একলাম্পশিয়া।

ঝুঁকিগুলো কী কী

অল্প বয়সে অথবা প্রথমবার গর্ভধারণ। অতীতে গর্ভকালীন প্রি–একলাম্পশিয়া। ওজন বেড়ে যাওয়া। পরিবারে উচ্চ রক্তচাপ। গর্ভে একের অধিক সন্তান। ডায়াবেটিস, কিডনির সমস্যা ও অটো–ইমিউন রোগ। আইভিএফ ((ইনভিট্রো ফার্টিলাইজেশন) প্রেগন্যান্সি।

কীভাবে বুঝবেন

রক্তচাপের মাত্রা তুলনামূলক কম থাকলে মাঝেমধ্যে ঘাড় বা মাথায় ব্যথা হতে পারে। তবে মাত্রা বেশি হলে প্রচণ্ড মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব, বুকে ব্যথা, চোখে ঝাপসা দেখা, প্রস্রাব কমে যাওয়া, পা বা সারা শরীর ফুলে যাওয়ার মতো উপসর্গ দেখা দেয়।

পরীক্ষা–নিরীক্ষা

নিয়মিত রক্ত পরীক্ষার পাশাপাশি লিভার ও কিডনির কার্যকারিতা দেখা। রক্তে ও প্রস্রাবে প্রোটিনের মাত্রা এবং রক্ত জমাট বাঁধার পরীক্ষা করা। গর্ভে থাকা শিশু ঠিকমতো বেড়ে উঠছে কি না, তা দেখার জন্য পরীক্ষা করা।

চিকিৎসা

■ গর্ভকালীন নির্ধারিত ওষুধ সেবন করতে হবে।

■ নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা এবং গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের কার্যকারিতা ঠিক আছে কি না, তা পরীক্ষা করে দেখা।

■ শিশুর অবস্থা পর্যবেক্ষণে রাখতে আলট্রাসনোগ্রাম, ডপলার ও সিটিজি নামক পরীক্ষা করা।

ডা. আরিফা শারমিন: কনসালট্যান্ট, প্রসূতি ও গাইনি বিশেষজ্ঞ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল

আগামীকাল পড়ুন: ব্রেন টিউমার থেকে বাঁচার উপায়

সম্পর্কিত নিবন্ধ