বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে গর্জিয়াস গ্রুপের ৩য় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে কক্সবাজারের হোটল রিগ্যাল প্যালেসে এক আলোচনা সভা ও ড্রীম নাইট প্রোগ্রামের আয়োজন করা হয়।

গর্জিয়াস গ্রুপের চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে কোম্পানির সিনিয়র ম্যানেজার মানিক মন্ডল ও সাইফুল ইসলাম'র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিতি ছিলেন গর্জিয়াস গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহীদুজ্জামান খান শাহেদ।

 
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিতি ছিলেন কোম্পানির উপদেষ্টা,বিশিষ্ট মিডিয়া ব্যাক্তিত্ব আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও উন্নয়ন কর্মী তরুণ উদ্যোক্তা মহিউদ্দিন চেয়ারম্যান ওয়ার্ল্ড হিউম্যান রাইটস অর্গানাইজেশন।বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন শিল্পপতি মান্নান শেখ,আতিকুর রহমান,ও ওমর ফারুক।প্রোগ্রামে অনন্যেদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এজিএম,আনোয়ার হোসেন,কো-অর্ডিনেটর শামসুল আলম মজুমদার, সিনিয়র ম্যানেজার,ম্যানেজার সহ সকল কর্মকর্তাগণ।

 প্রধান অতিথির বক্তব্যে গর্জিয়াস গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহীদুজ্জামান খান শাহেদ লিখিত বক্তব্যে গর্জিয়াসের আগামীর স্বপ্নের পথ চলার কথা সকল কর্মপরিকল্পনা টার্গেট তুলে ধরেন, ফিউচারে গর্জিয়াস গ্রুপের বহু অঙ্গ সহযোগী প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে প্রকল্প বাস্তবায়ন করার কথা বলেন।বাংলাদেশের মানুষের জন্য সম্মানজনক বিশ্বস্ত কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও বেকরত্বের দূরীকরণ করতে একদল সৎ,দক্ষ,নিষ্ঠাবান আদর্শ মানুষ কে সাথে নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে গর্জিয়াস গ্রুপ। আগামীতে কোটি কোটি মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে বেকারত্বে কে শূন্যের কোটায় আনতে বিশ্বের অনন্য দেশের সকল উদ্যোক্তাদের সাথে কাজ করবে। 

আগামীর (২০৪০) বাংলাদেশে সকল মানুষের মাঝে গর্জিয়াস গ্রুপ লক্ষ্য নিয়ে কাজ করবে। স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে সারাদেশে গর্জিয়াস তরুণ উদ্যোক্তা তৈরীর করতে সেমিনার ও ট্রেনিং প্রোগ্রাম করছে,সামনে কোটি কোটি মানুষ কে দক্ষ করে তুলতে আরো ট্রেনিং ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।যাতে কারে উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে দেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দেশ কে অর্থনৈতিক ভাবে শক্তিশালী করে বিশ্বের কাছে তুলে ধরা যায়।গর্জিয়াস শুধুমাত্র ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান নয়,আমরা ব্যবসার পাশাপাশি এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষের জন্য বিভিন্ন ভাবে কাজ করতে চাই।তাই তিনি সকলের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করেন।

বিশেষ অতিথি মহিউদ্দিন আমিন তার বক্তব্যে বলেন, গর্জিয়াস গ্রুপ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কর্মসংস্থান সৃষ্টি বেকরত্ব দূরীকরণে,তরুণ প্রজন্মের উদ্যোক্তা তৈরীর করার মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।গর্জিয়াস স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে বেকার যুবকদের স্বপ্ন পূরণ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে উদ্যোক্তা তৈরীর মাধ্যমে কাজ করে যাচ্ছে।আগামীর বাংলাদেশ কে বিশ্বের সাথে অর্থনৈতিক উন্নয়নে শক্তিশালী করতে কাজ করবে।দেশের কল্যাণে সরকারের সাথে উন্নয়ন ও ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে তরুণদের সাথে নিয়ে নতুন এক সম্ভাবনাময় বাংলাদেশ গড়তে কাজ করবে।জাতিসংঘের ঘোষিত SDG এর লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অর্থনীতি উন্নয়ন,কর্মসংস্থান,বেকারত্ব সমস্যা সমাধানে তরুণ উদ্যোক্তারা বাংলাদেশে বড় ভূমিকা রাখবে।বাংদেশের তরুণের সাথে নিয়ে গর্জিয়াস আগামীর স্বপ্নের নতুন এক পৃথিবী গড়বে।বাংলাদেশ কে বিশ্বের মানচিত্র তুলে ধরতে বিশ্বের অনন্যেদেশের উদ্যোক্তাদের সাথে নিয়ে কাজ করবে গর্জিয়াস গ্রুপ।

অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিরা গর্জিয়াস গ্রুপের প্রশংসা করে বক্তব্য রাখেন। এজিএম, সিনিয়র ম্যানেজার, ম্যানেজার সকল কর্মকর্তাগণ তাদের আগামীর স্বপ্ন পূরণের কথা তুলে ধরেন। পরে দেশ জাতির সমৃদ্ধি ও প্রতিষ্ঠানের মঙ্গল কামনায় দোয়া করা হয়।

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ক জ করব উপস থ ত ক জ কর ব যবস

এছাড়াও পড়ুন:

সিরাজগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি গঠন, পদবঞ্চিতদের বিক্ষোভ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সিরাজগঞ্জ জেলা কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ করেছেন পদবঞ্চিতরা।

কমিটি গঠনে বৈষম্য হয়েছে দাবি করে সোমবার দিনভর ঢাকা-রাজশাহী-রংপুর মহাসড়ক অবরোধসহ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন তারা। 

আন্দোলনে পদবঞ্চিতদের সমন্বয়ক মুন্তাসির মেহেদী হাসান বলেছেন, জেলা কমিটি গঠনের নামে বৈষম্যমূলক পকেট কমিটি করা হয়েছে। যে কারণে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের অনেক প্রতিনিধিরা আন্দোলন করছেন। ইতোমধ্যে ঘোষিত কমিটি থেকে ৫৩ জন পদত্যাগ করেছেন। যার কপি দ্রুত কেন্দ্রীয় কমিটিতে পাঠানো হবে।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ঘোষিত কমিটিতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের পদ দেওয়া হয়েছে। অথচ জেলা সদরসহ উপজেলা পর্যায়ে আন্দোলন সংগ্রামে ভূমিকা রাখা অনেকেই কমিটি থেকে বাদ পড়েছেন। সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি গঠনের নামে বৈষম্যের বিষয়টি আমরা অবগত করার চেষ্টা করেছি। কেউ তাতে গুরুত্ব না দেওয়ায় মহাসড়ক ব্লকেড করেছেন পদবঞ্চিতরা।

বিষয়টি নাকচ করে সিরাজগঞ্জ জেলা কমিটির নবনির্বাচিত আহ্বায়ক সজীব সরকার বলেন, আগামী ৬ মাসের জন্য জেলা, ৯টি উপজেলা ও থানার সমন্বয়ে জেলার আহ্বায়ক কমিটি করা হয়েছে। এই কমিটির নেতৃত্বে সব উপজেলা, থানা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে কমিটি গঠনের পর সম্মেলনের মাধ্যমে জেলার পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হবে।

অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, আন্দোলনের সময় ছাত্রদল ও শিবিরসহ বিভিন্ন সংগঠনের ছাত্র প্রতিনিধিরা একসঙ্গে আন্দোলন করেছি। সরকার পতনের পর সবাই যার যার সংগঠনে ফিরে গেছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নেতৃত্বে দিতে চাইলে অন্য কোনো সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকার সুযোগ নেই। যারা পদবঞ্চিত হয়েছেন তাদের মধ্যে অনেকেই দুই সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। এছাড়াও যাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে তারাও কমিটিতে পদ পাননি। পাশাপাশি কিছু ছাত্র প্রতিনিধি বাদ পড়েছেন যারা উপজেলা, থানা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানভিত্তিক কমিটিগুলোতে স্থান পাবেন।

ব্লকেড প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীরা বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত মহাসড়ক অবরোধ করেছিলেন। এরপর ঘণ্টাখানেক বিরতি দিয়ে আবারো অবরোধ শুরু করেন। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত অবরোধের কারণে মহাসড়কের দুই পাশে বিপুল সংখ্যক যানবাহন আটকা পড়ে।

প্রসঙ্গত, শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে সিরাজগঞ্জ জেলা কমিটি ঘোষণা করা হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সদস্য সচিব আরিফ সোহেল স্বাক্ষরিত ২৮৪ সদস্য বিশিষ্ট সিরাজগঞ্জ জেলা কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়।

এতে সজীব সরকারকে আহ্বায়ক, মেহেদী হাসানকে সদস্য সচিব, ইকবাল হোসেন রিপনকে মুখ্য সংগঠক ও টি এম মুশফিক সাদকে মুখপাত্র করা হয়। এরপর থেকে এ কমিটি নিয়ে শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ