বর্ণাঢ্য আয়োজনে গর্জিয়াস গ্রুপের ৩য় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত
Published: 9th, February 2025 GMT
বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে গর্জিয়াস গ্রুপের ৩য় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে কক্সবাজারের হোটল রিগ্যাল প্যালেসে এক আলোচনা সভা ও ড্রীম নাইট প্রোগ্রামের আয়োজন করা হয়।
গর্জিয়াস গ্রুপের চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে কোম্পানির সিনিয়র ম্যানেজার মানিক মন্ডল ও সাইফুল ইসলাম'র সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিতি ছিলেন গর্জিয়াস গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহীদুজ্জামান খান শাহেদ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিতি ছিলেন কোম্পানির উপদেষ্টা,বিশিষ্ট মিডিয়া ব্যাক্তিত্ব আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও উন্নয়ন কর্মী তরুণ উদ্যোক্তা মহিউদ্দিন চেয়ারম্যান ওয়ার্ল্ড হিউম্যান রাইটস অর্গানাইজেশন।বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন শিল্পপতি মান্নান শেখ,আতিকুর রহমান,ও ওমর ফারুক।প্রোগ্রামে অনন্যেদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এজিএম,আনোয়ার হোসেন,কো-অর্ডিনেটর শামসুল আলম মজুমদার, সিনিয়র ম্যানেজার,ম্যানেজার সহ সকল কর্মকর্তাগণ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে গর্জিয়াস গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহীদুজ্জামান খান শাহেদ লিখিত বক্তব্যে গর্জিয়াসের আগামীর স্বপ্নের পথ চলার কথা সকল কর্মপরিকল্পনা টার্গেট তুলে ধরেন, ফিউচারে গর্জিয়াস গ্রুপের বহু অঙ্গ সহযোগী প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে প্রকল্প বাস্তবায়ন করার কথা বলেন।বাংলাদেশের মানুষের জন্য সম্মানজনক বিশ্বস্ত কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও বেকরত্বের দূরীকরণ করতে একদল সৎ,দক্ষ,নিষ্ঠাবান আদর্শ মানুষ কে সাথে নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে গর্জিয়াস গ্রুপ। আগামীতে কোটি কোটি মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে বেকারত্বে কে শূন্যের কোটায় আনতে বিশ্বের অনন্য দেশের সকল উদ্যোক্তাদের সাথে কাজ করবে।
আগামীর (২০৪০) বাংলাদেশে সকল মানুষের মাঝে গর্জিয়াস গ্রুপ লক্ষ্য নিয়ে কাজ করবে। স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে সারাদেশে গর্জিয়াস তরুণ উদ্যোক্তা তৈরীর করতে সেমিনার ও ট্রেনিং প্রোগ্রাম করছে,সামনে কোটি কোটি মানুষ কে দক্ষ করে তুলতে আরো ট্রেনিং ও প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।যাতে কারে উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে দেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দেশ কে অর্থনৈতিক ভাবে শক্তিশালী করে বিশ্বের কাছে তুলে ধরা যায়।গর্জিয়াস শুধুমাত্র ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান নয়,আমরা ব্যবসার পাশাপাশি এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষের জন্য বিভিন্ন ভাবে কাজ করতে চাই।তাই তিনি সকলের দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করেন।
বিশেষ অতিথি মহিউদ্দিন আমিন তার বক্তব্যে বলেন, গর্জিয়াস গ্রুপ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে কর্মসংস্থান সৃষ্টি বেকরত্ব দূরীকরণে,তরুণ প্রজন্মের উদ্যোক্তা তৈরীর করার মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।গর্জিয়াস স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে বেকার যুবকদের স্বপ্ন পূরণ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে উদ্যোক্তা তৈরীর মাধ্যমে কাজ করে যাচ্ছে।আগামীর বাংলাদেশ কে বিশ্বের সাথে অর্থনৈতিক উন্নয়নে শক্তিশালী করতে কাজ করবে।দেশের কল্যাণে সরকারের সাথে উন্নয়ন ও ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে তরুণদের সাথে নিয়ে নতুন এক সম্ভাবনাময় বাংলাদেশ গড়তে কাজ করবে।জাতিসংঘের ঘোষিত SDG এর লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অর্থনীতি উন্নয়ন,কর্মসংস্থান,বেকারত্ব সমস্যা সমাধানে তরুণ উদ্যোক্তারা বাংলাদেশে বড় ভূমিকা রাখবে।বাংদেশের তরুণের সাথে নিয়ে গর্জিয়াস আগামীর স্বপ্নের নতুন এক পৃথিবী গড়বে।বাংলাদেশ কে বিশ্বের মানচিত্র তুলে ধরতে বিশ্বের অনন্যেদেশের উদ্যোক্তাদের সাথে নিয়ে কাজ করবে গর্জিয়াস গ্রুপ।
অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিরা গর্জিয়াস গ্রুপের প্রশংসা করে বক্তব্য রাখেন। এজিএম, সিনিয়র ম্যানেজার, ম্যানেজার সকল কর্মকর্তাগণ তাদের আগামীর স্বপ্ন পূরণের কথা তুলে ধরেন। পরে দেশ জাতির সমৃদ্ধি ও প্রতিষ্ঠানের মঙ্গল কামনায় দোয়া করা হয়।
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ক জ করব উপস থ ত ক জ কর ব যবস
এছাড়াও পড়ুন:
ছোট রান্নাঘর সাজানোর কৌশল
আজকালকার শহুরে জীবন মানে ছোট বাড়ি, ছোট রান্নাঘর। ছোট রান্নাঘরে কাজ করতে গেলে প্রায়ই মনে হয় রান্নার জন্য পর্যাপ্ত জায়গা নেই। এ সংকটে আপনি খুঁজে পেতে পারেন এক স্মার্ট সমাধান এবং সৃজনশীলতা। কিছু সহজ ও কার্যকর কৌশল আপনার ছোট রান্নাঘরকে পরিপাটি রাখতে সাহায্য করবে।
দেয়ালকে বানান স্টোরেজ স্পেস
রান্নাঘরের এক কোণে যদি স্টোরেজ বক্স বা ক্যাবিনেট বসানোর সুযোগ না থাকে, তবে দেয়াল হতে পারে আপনার সমাধান। ম্যাগনেটিক স্ট্রিপ ব্যবহার করে রাখুন ছুরি, কাঁটা চামচ, স্ক্যাবার। এভাবে শুধু জায়গা বাঁচবে না, খাবার তৈরির প্রস্তুতিও হবে আরও সহজ। দেয়ালটি যদি খালি পড়ে থাকে, তাহলে কিছু হুক বা শেলফ বসিয়ে রান্নার সরঞ্জাম, প্লেট বা কাপ সাজিয়ে রাখতে পারেন। যদি আপনার রান্নাঘরের দেয়ালে কাঠ বা মেটাল সুরক্ষা থাকে, তাহলে রান্নাঘরের সজ্জার জন্য শেলফ এবং ছোট বক্সও ব্যবহার করতে পারেন। এতে পুরো কিচেনের ধারণা আরও সৃজনশীল দেখাবে।
মাল্টি-ফাংশনাল ফার্নিচার বেছে নিন
যে কোনো ছোট রান্নাঘরকে কার্যকর এবং ফাংশনাল করা যায় মাল্টি-ফাংশনাল ফার্নিচার দিয়ে। যেমন এক টেবিল যেখানে ড্রয়ার বা সিটের নিচে থাকবে ছোট্ট স্টোরেজ। এতে শুধু রান্নার সময় প্রয়োজনীয় জিনিস পেতে সুবিধা হবে না, পাশাপাশি আপনার ক্যাবিনেটের জায়গাও বাঁচবে। এ ছাড়া ফোল্ডেবল বা অর্গানাইজেবল ফার্নিচারও উপকারী। যেমন ফোল্ডিং চেয়ার বা টেবিল, যা আপনি পরবর্তী সময়ে দরকার অনুযায়ী খুলে ব্যবহার করতে পারেন।
তাছাড়া টেবিলের নিচে ক্যাবিনেট বা টোকেন স্টোরেজ রাখলে রান্নাঘরের ছোট জায়গায় আপনি আরও বেশি আয়োজন করতে পারবেন।
কনটেইনারের জাদু
পুরোনো শাড়ি, প্লাস্টিকের কনটেইনার বা অন্য ধরনের বাক্সে ব্যবহারিক কিছু জিনিস রাখা সম্ভব। ছোট রান্নাঘরে সবকিছু গুছিয়ে রাখতে বেশ খানিকটা সাহায্য করবে কনটেইনার বা বাক্সগুলো। ট্রান্সপারেন্ট কনটেইনার ব্যবহারের সুবিধা হলো, এটি দিয়ে আপনি সহজে বুঝতে পারবেন কোনো মসলা বা রান্নার উপকরণ কোথায় রাখা আছে। এ ছাড়া প্রতিরোধক ব্যাগ বা ভ্যাকুয়াম সিলিং ব্যবহার করলে খাবার দীর্ঘদিন সতেজ থাকে এবং রান্নাঘরের অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রও কমে যায়।
ওপেন শেলফিং এবং ডিসপ্লে
গোছানো রান্নাঘরেও কিছুটা স্টাইল থাকা প্রয়োজন। রান্নাঘরের ওপেন শেলফে আপনার দৈনন্দিন ব্যবহারের আইটেমগুলো রাখলে শুধু তা দেখতে সুন্দরই হবে না, অল্প জায়গায় প্রয়োজনীয় জিনিসগুলোর যথেষ্ট অ্যাক্সেস পাবেন।
গ্লাস, প্লেট, বাটি, মসলা বা বেকিং আইটেমগুলো সজ্জিত করতে ওপেন শেলফের ব্যবস্থা খুব উপকারী। পাশাপাশি, ওপেন শেলফকে ব্যবহার করে আপনি আপনার রান্নাঘরের ব্যক্তিগত টাচও যোগ করতে পারেন।
ওয়ার্ক ট্রায়াঙ্গল বজায় রাখুন
রান্নাঘরের তিনটি মূল জায়গা কুকিং, ওয়াশিং এবং স্টোরেজ। এ তিনটি যদি একসঙ্গে ঠিকভাবে বসানো যায়, তবে রান্না করা অনেক সহজ হয়ে যাবে। এ ‘ওয়ার্ক ট্রায়াঙ্গল’ কনসেপ্ট অনুসরণ করলে রান্নার জায়গা ও ওয়াশিং অ্যান্ড স্টোরেজের জায়গায় হাঁটার সময় কম হবে এবং সময়ও বাঁচবে।
তাছাড়া যদি রান্নাঘরে স্পেস সীমিত থাকে, তবে কাউন্টারটপ স্পেস ব্যবহার করে এসব কাজের স্থল আরও কার্যকর করতে হবে।
প্রাকৃতিক আলো এবং আয়না ব্যবহার
ছোট রান্নাঘরের জন্য প্রাকৃতিক আলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জানালা দিয়ে আলো প্রবাহিত হোক, এমন ব্যবস্থা করুন। যদি জানালা না থাকে, তবে রান্নাঘরের চারপাশে হালকা রং ও রিফ্লেক্টিভ সারফেস যেমন আয়না বা শাইনিং টাইলস ব্যবহার করুন। এভাবে ছোট জায়গাটি বড় এবং উজ্জ্বল দেখাবে। ছোট রান্নাঘর আরও বেশি পরিপাটি দেখাতে আধুনিক ফ্লোরিং বা লাইটিং ব্যবহার করতে পারেন। রান্নাঘরের আয়না ব্যবহার করার মাধ্যমে জায়গাটাকে দুই গুণ বড় মনে হবে। রান্না শুধু খাবারের ব্যাপার নয়, এটি একটি অনুভূতি, একটি অভিজ্ঞতা। তাই আপনার রান্নাঘরকে যতটা সম্ভব কার্যকর, আনন্দদায়ক এবং স্টাইলিশ করে গড়ে তুলুন। v