চীনের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান আনথানটে বাল্ক ব্যাগ লিমিটেড এক কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগে বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে একটি কন্টেইনার ব্যাগ তৈরির কারখানা স্থাপন করবে। এ লক্ষ্যে সম্প্রতি ঢাকাস্থ বেপজা নির্বাহী দপ্তরে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ (বেপজা)।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বেপজার নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আবুল কালাম মোহাম্মদ জিয়াউর রহমানসহ বেপজার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও আনথানটে বাল্ক ব্যাগ লিমিটেডের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

বেপজার সদস্য (বিনিয়োগ উন্নয়ন) মো.

আশরাফুল কবীর এবং আনথানটে বাল্ক ব্যাগ লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মা শিয়াওমিং নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

চীনা কোম্পানিটি বার্ষিক ২৮ লাখ পিছ ফ্লেক্সিবল ইন্টারমিডিয়েট বাল্ক কন্টেইনার ব্যাগ, বাল্ক ব্যাগ, ওভেন এবং নন-ওভেন ব্যাগ তৈরি করবে যার ফলে ১১৫০ জন বাংলাদেশি নাগরিকের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে।

বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলকে বিনিয়োগ গন্তব্য হিসেবে বেছে নেওয়ায় বেপজার নির্বাহী চেয়ারম্যান আনথানটে বাল্ক ব্যাগ লিমিটেডকে ধন্যবাদ জানান।

তিনি বিনিয়োগকারীদের নিরাপদ ও সহায়ক পরিবেশ দিতে বেপজার অঙ্গীকার তুলে ধরেন।

কোম্পানিটি মাঝারি ও উচ্চ গ্রেডের কন্টেইনার ব্যাগ তৈরি করে আন্তর্জাতিক বাজার যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আমেরিকায় রপ্তানি করবে।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বেপজার সদস্য (প্রকৌশল) মো. ইমতিয়াজ হোসেন, সদস্য (অর্থ) আ ন ম ফয়জুল হক, নির্বাহী পরিচালক (বিনিয়োগ উন্নয়ন) মো. তানভীর হোসেন, নির্বাহী পরিচালক (প্রশাসন) মো. তাজিম-উর-রহমান, নির্বাহী পরিচালক (জনসংযোগ) এ এস এম  আনোয়ার পারভেজ এবং আনথানটে বাল্ক ব্যাগ লিমিটেডের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/হাসনাত/সাইফ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশ-পাকিস্তান কূটনৈতিক সম্পর্কে ভারত দৃষ্টি রাখছে: জয়সওয়াল

পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান কূটনৈতিক সম্পর্কে দৃষ্টি রাখছে ভারত। বৃহস্পতিবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল। খবর দ্য ট্রিবিউনের

১৫ বছর পর আজ বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের 'ফরেন অফিস কনসালটেশন' (এফওসি) বৈঠকের পর এমন প্রতিক্রিয়া জানাল ভারত। 

ব্রিফিংয়ে প্রতিবেশী দেশে একটি গণতান্ত্রিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকারের গুরুত্ব তুলে ধরে বাংলাদেশের সঙ্গে ‘ইতিবাচক ও গঠনমূলক সম্পর্ক’ গড়ে তুলতে ভারতের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করা হয়।

রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে ইতিবাচক ও গঠনমূলক সম্পর্ক চায়। আমরা গণতান্ত্রিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশের পক্ষে।

সাম্প্রতিক বাণিজ্যিক ইস্যু এবং ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা নিয়ে তিনি বলেন, বাণিজ্য বিষয়ক ইস্যুতে, গত সপ্তাহে, আমরা ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা নিয়ে একটি ঘোষণা দিয়েছি। আমরা এই ব্যবস্থা নিয়েছি আমাদের বন্দর ও বিমানবন্দরের জট দেখে। কিন্তু আপনাদের আমি মনে করিয়ে দিই, আমরা এ ঘোষণা দেওয়ার আগে বাংলাদেশ সাইডে কী কী হয়েছে সেটি দেখবেন।

ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করলেও নেপাল ও ভুটানে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানিতে কোনো ধরনের প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছেন রণধীর জসওয়াল।

তিনি বলেন, আঞ্চলিক একত্রীকরণ এবং বাণিজ্য বিষয়ক, ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা নিয়ে আমাদের যে ঘোষণা, এটি কোনোভাবেই নেপাল ও ভুটানে বাংলাদেশের রপ্তানিতে প্রভাব পড়বে না। দেখুন আমাদের মাথায় আছে, আঞ্চলিক বাণিজ্যকে বর্ধিত করার প্রয়োজনীয়তা আছে। আর আমি এভাবে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ককে দেখতে চাই। আমরা বাংলাদেশের সঙ্গে গঠনমূলক এবং ইতিবাচক সম্পর্ক চাওয়া অব্যাহত রেখেছি।

গত ৮ এপ্রিল ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ২০২০ সাল থেকে বাংলাদেশকে দেওয়া ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করেছে তারা। এ সময় বিমানবন্দর ও স্থল বন্দরে পণ্য জটের কথা উল্লেখ করে তারা। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ