শবে বরাত নিয়ে কটুক্তি, বন্দরে তৌহিদী জনতার বিক্ষোভ সমাবেশ
Published: 9th, February 2025 GMT
পবিত্র শবে বরাত নিয়ে কটুক্তি করে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও বিশৃঙ্খলা প্রতিরোধে বন্দরে সর্বস্তরের তৌহিদী জনতার উদ্যাগে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টায় নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের বন্দর থানার ১৯ নং ওয়ার্ডের সর্বস্তরে তৌহিদী জনতার উদ্যাগে মদনগঞ্জ বটতলা এলাকায় এ প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশে বন্দরে ওলামা পরিষদের নেতৃবৃন্দরা বলেন, পবিত্র শবে বরাতের রাত হলো এবাদতের রাত। যা আমরা যুগযুগ ধরে পালন করে আসছি। ইসলামের সাথে যারা দুষমনি করে তার আল্লাহর শত্রু।
ইসলামের শত্রুরা আবল তাবল বক্তব্য দিয়ে সাধারন মুসল্লীদের মাঝে বিবেদ সৃষ্টি করার অপচেষ্টা চালিয়ে আসছে। ইসলামের শত্রুরা যাতে মদনগঞ্জ ওয়েল ফেয়ারের মাঠে কোন অবস্থাতে মাহফিল করতে না পারে সবাই সেদিকে দৃষ্টি রাখতে হবে।
প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ জেলা ওলামা পরিষদের সেক্রেটারী হযরত মাওলানা মুফতি জাকির হুসাইন কাসেমী।
বন্দর থানা ওলামা পরিষদের সভাপতি হযরত মাওলানা মুফতি কবির হুসাইন দা: বা: এর সভাপতিত্বে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ জেলা ওলামা পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক জুনাইদ আহমেদ দাঃবাঃ ও বন্দর থানা ওলামা পরিষদের কোষাধক্ষ হযরত মাওলানা শাহজালাল দা: বা:সহ স্থানীয় ওলামা পরিষদের নেতৃবৃন্দ।
প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, লক্ষাচর দক্ষিন পাড়া জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওঃ আবুল কাশেম, মদনগঞ্জ বসুন্ধরা জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা মাহফুজুল হক, আলীনগর জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা রেজাউল করিম, লক্ষারচর তিন তলা জামে মসজিদের ইমাম ও মাওলানা ইসমাঈলসহ বন্দরে বিভিন্ন মসজিদের ইমাম ও খতিবগন।
উল্লেখ্য, আগামী ১৪ ও ১৫ ফেব্রুয়ারী মদনগঞ্জ ওয়েল ফেয়ার এসোসিয়েশন মাঠে আহলে হাদিস কর্তৃক আয়োজিত দি ভয়েস অব কোরআন এন্ড সুন্নাহ মাহফিল প্রতিহত করার লক্ষে বন্দরে সর্বস্তরের তৌহিদী জনতার উদ্যাগে এ প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ জনত র
এছাড়াও পড়ুন:
৫ নয় ৫০ বছর থাকুন, আগে নির্বাচিত হয়ে আসুন : রাজীব
ফতুল্লায় বিএনপির সমাবেশে নির্বাচনের সুস্পষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণার আহ্বান জানিয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজীব বলেন, আজ অনেকে হাই তুলছে এ সরকারকে ৫ বছর থাকতে হবে।
৫ নয় ৫০ বছর থাকুন। আগে নির্বাচিত হয়ে আসুন। ফ্যাসিস্টদের সময় আমলারা এভাবেই বলত শেখ হাসিনার সরকার আরও বেশি দরকার। সেই প্রচার করে তারা দেশকে লুটেপুটে খেয়েছে।
শনিবার (১২ এপ্রিল) বিকেলে ফতুল্লার ঐতিহাসিক ডিআইটি মাঠে অনুষ্ঠিত সমাবেশে তিনি তার বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
এ সময় রাজীব ইসরায়েলী হামলার তীব্র নিন্দা বলেন, দুসময়ে রাজপ্রাসাদে থাকা নেতার ভালো কথার চেয়ে দুসময়ে রাজপথে থেকে আন্দোলন করা কর্মীর অভিমান আমার কাছে বেশী দামি।
আমার নেতা তারেক রহমান বলেছেন সবার আগে দেশ ও দেশের মানুষ। বিএনপি সেই রাজনীতিই করে। আমাদের একমাত্র নেতা তারেক রহমান আর আমরা সবাই দায়িত্বশীল। আজকে প্রয়োজনে দায়িত্ব দিয়েছেন, আবার দায়িত্ব থেকে সরিয়েও দিতে পারেন। দায়িত্ব পেয়ে কেউ অহমিকা করবেন না। কোন নেতার কারনে দলের বিন্দু পরিমান ক্ষতি হলে তাকে ছাড় নয়।
তিনি বলেন, আমাদের মতো নেতাদের ২/৩ মাসের বেশী জেল খাটতে হয়নি। কিন্তু আমাদের নেত্রী বছরের পর বছর জেল খেটেছেন। এমন নেত্রীর বদনাম কেউ করবেন সেটা মেনে নেবো না।
সমাবেশে ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহীদুল ইসলাম টিটুর সভাপতিত্বে ও থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ মোহাম্মদ চৌধুরীর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মামুন মাহমুদ এবং প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির প্রথম যুগ্ম আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দিপু।
এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সোনারগাঁ থানা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজীব, জেলা বিএনপির সদস্য আনোয়ার সাদাত সায়েম, ফতুল্লা থানা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক রুহুল আমিন শিকদার, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক রফিকুল ইসলাম ভূইয়া জেলা ছাত্রলের সাবেক সভাপতি নাহিদ হাসান ভূঁইয়া প্রমূখ।