সাবেক গভর্নরসহ ২৫ জনের নামে লকার খুঁজে পায়নি দুদক
Published: 9th, February 2025 GMT
সাবেক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারসহ দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত ২৫ কর্মকর্তার নামের সুরক্ষিত লকার খুঁজে পায়নি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) টিম। তবে আবারও আদালত অনুমোদন দিলে অভিযান চালানো হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের লকার তল্লাশি শেষে রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) এ তথ্য জানিয়েছেন দুদকের পরিচালক কাজী সায়েমুজ্জমান।
তিনি বলেন, “যে ২৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগের ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংকে এসেছিলাম, তাদের নামে লকার পাওয়া যায়নি। আরো অনেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে। এখন পর্যন্ত মোট ২৭২টি সেফ ডিপোজিট লকারের সন্ধান পাওয়া গেছে। আদালতের অনুমোদনের ভিত্তিতে পরবর্তী অভিযান চালাবে দুদক।”
সাবেক ও বর্তমান দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের সুরক্ষিত লকারে বা সেফ ডিপোজিটর অবৈধ সম্পদের খুঁজতে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল শাখায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি টিম অভিযানে যায়। কিন্তু যাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ সাবেক গভর্নরসহ ২৫ কর্মকর্তার লকারই পায়নি দুদক। এসব লকারে অবৈধ অর্থ সম্পদ পেলেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ছিল সংস্থাটির।
আরো পড়ুন:
বাংলাদেশ ব্যাংকে দুদক টিম
বাংলাদেশ ব্যাংকের সব কর্মকর্তার লকার ফ্রিজ করতে গভর্নরকে চিঠি
এর আগে গত ২৬ জানুয়ারি দুদক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সুরের লকারে তল্লাশি করে প্রায় পাঁচ কোটি টাকার সম্পদের সন্ধান পায়। পরবর্তীতে গত ২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সব লকার সাময়িকভাবে ফ্রিজ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে গভর্নরকে চিঠি দেয় দুদক।
অন্যদিকে, আদালত বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের লকার খোলে তল্লাশির অনুমতি দিয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় দুদক টিম কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তাদের লকারে অবৈধ সম্পদের সন্ধান করেছে।
ঢাকা/এনএফ/এসবি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
গুঁড়িয়ে দেওয়া আ.লীগ ও জাসদ কার্যালয়ের জায়গার মালিকানা দাবি
বগুড়ায় গুঁড়িয়ে দেওয়া জেলা আওয়ামী লীগ ও জাসদের কার্যালয়ের জায়গা ব্যক্তি মালিকানা সম্পত্তি দাবি করে সাইনবোর্ড লাগানো হয়েছে।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে বগুড়া শহরের সুত্রাপুর এলাকার মো. উজ্জল নামের এক ব্যক্তি সাইনবোর্ডটি লাগান।
আরো পড়ুন: বগুড়ায় আ.লীগ, জাতীয় পার্টি ও জাসদ অফিস গুঁড়িয়ে দিল ছাত্র-জনতা
আরো পড়ুন:
শাহজাদপুরে আ.লীগ কার্যালয় গুড়িয়ে দিয়েছে জনতা
৩২-সহ দেশব্যাপী ভাঙচুরের ঘটনায় উদ্বেগ টিআইবির
উজ্জলের বড় ভাই মিজানুর রহমান বলেন, “১৯৫২ সালে আমার দাদা কোরবান আলী ক্রয় সূত্রে ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ জায়গার মালিক। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের আগে পর্যন্ত জায়গা তার দখলে ছিল। দেশ স্বাধীনের পর জায়গা বেদখল হয়ে যায়। এ নিয়ে আদালতে মামলাও হয়েছিল। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল জায়গা দখল করে তাদের অফিস করায় আমরা এতদিন দখলে নিতে পারিনি। এতদিন রাজনৈতিক দলগুলোর ভয়ে আমরা চুপ ছিলাম। ছাত্র -জনতা গত বৃহস্পতিবার রাতে অফিস ভেঙে গুঁড়িয়ে দিলে আমরা সাহস করে সাইনবোর্ড লাগিয়ে দিয়েছি।”
বগুড়া জেলা জাসদের সদস্য অ্যাডভেকেট আব্দুল লতিফ পশারি ববি বলেন, “যারা মালিকানা দাবি করছেন, তাদের মামলা ১৯৯৪ সালে সিভিল কোর্ট মালিকানা খারিজ করে। এরপর মোটর মালিক সমিতি মালিক দাবি করে মামলা করে। সেই মামলাও খারিজ হয়ে যায়। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ২০০৯ সালে এই জায়গা অর্পিত সম্পত্তি হিসেবে রেকর্ড হয়।”
তিনি আরো বলেন, “১৯৪৮ সাল থেকে সেখানে ছাত্রলীগের অফিস ছিল। ’৭৩ সালে জাসদকে এক বছরের লিজ দেওয়া হয়। এরপর মামলার কারণে পরবর্তীতে আর লিজ নবায়ন করা হয়নি।”
বগুড়া সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) পলাশ চন্দ্র সরকার বলেন, “থানা পুলিশের মাধ্যমে ঘটনাটি জেনেছি। সেখানে সার্ভেয়ার পাঠানো হয়েছে। নথিপত্র দেখে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা/এনাম/মাসুদ