খুলনার ছয়টি আসনে জামায়াতের প্রার্থী ঘোষণা
Published: 9th, February 2025 GMT
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতার লক্ষ্যে খুলনার ছয়টি সংসদীয় আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) নগরীর আল ফারুক সোসাইটিতে এক দায়িত্বশীল সমাবেশে তিনটি আসনের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি ও খুলনা অঞ্চল পরিচালক মুহাদ্দিস আব্দুর খালেক। এর আগে আরো তিনটি আসনের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়।
প্রার্থীদের নাম ঘোষণার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দলটির কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও খুলনা মহানগরী আমির অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান।
আরো পড়ুন:
রাজনৈতিক দলগুলোর দ্রুত নির্বাচন চাওয়ার অধিকার রয়েছে: আসিফ নজরুল
জামায়াতের আমির
আগে চব্বিশের গণহত্যার বিচার, তারপর অন্য কাজ
জামায়াতের প্রার্থীরা হলেন- খুলনা-১ (দাকোপ-বটিয়াঘাটা) আসনে বটিয়াঘাটা উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির শেখ আবু ইউসুফ, খুলনা-২ (সদর-সোনাডাঙ্গা-১৬-৩১ নম্বর ওয়ার্ড) আসনে কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও মহানগরী জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল এবং খুলনা-৩ (খালিশপুর-দৌলতপুর-খানজাহান আলী-১-১৫ নম্বর ওয়ার্ড আড়ংঘাটা ও যোগীপোল ইউনিয়ন) আসনে কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও খুলনা মহানগর আমির অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান।
শেখ আবু আবু ইউসুফ, অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান ও অ্যাডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল
খুলনা-৪ আসনে (রূপসা-দিঘালিয়া-তেরখাদা) আসনে খুলনা জেলা নায়েবে আমির অধ্যক্ষ মাওলানা কবিরুল ইসলাম, খুলনা-৫ (ডুমুরিয়া-ফুলতলা) আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি সেক্রেটারি জেনারেল ও এই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এবং খুলনা-৬ (কয়রা-পাইকগাছা) আসনে কেন্দ্রীয় মজলিসে কর্মপরিষদ সদস্য ও খুলনা অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও খুলনা অঞ্চলের সহকারী পরিচালক মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও খুলনা জেলা আমীর মাওলানা এমরান হুসাইন, নায়েবে আমির মাওলানা কবিরুল ইসলাম, মহানগর নায়েবে আমির অধ্যাপক নজিবুর রহমান, জেলা সেক্রেটারি মুন্সি মিজানুর রহমান ও মহানগর সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল, জেলা সহকারী সেক্রেটারি মুন্সি মঈনুল ইসলাম, মহানগরী সহকারী সেক্রেটারি প্রিন্সিপাল শেখ জাহাঙ্গীর আলম ও আজিজুল ইসলাম ফারাজী, মাওলানা আ ন ম আব্দুল কুদ্দুস, মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক, ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য ও মহানগরী সভাপতি আরাফাত হোসেন মিলন এবং সেক্রেটারি রাকিব হাসান।
ঢাকা/নূরুজ্জামান/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ক ন দ র য় মজল স ল ইসল ম র রহম ন ইসল ম র সহক র
এছাড়াও পড়ুন:
বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষায় পাস আরাফাত সানি
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সদ্য সমাপ্ত আসরে বাঁহাতি স্পিনার আরাফাত সানির বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন আম্পায়াররা। যদিও বিপিএল চলাকালীন তার খেলায় কোনো বাধা আসেনি এবং চিটাগং কিংসের হয়ে ফাইনালেও মাঠে নেমেছিলেন তিনি।
তবে সানির বোলিং ভবিষ্যৎ নিয়ে যে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল, সেটি কেটে গেছে। মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছেন তিনি। বিসিবির একটি সূত্র গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছে, তার বোলিংয়ে কোনো সমস্যা পাওয়া যায়নি, ফলে বোলিং চালিয়ে যেতে তার আর কোনো বাধা নেই।
গত ১ ফেব্রুয়ারি লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ২৪ রানে জয় পায় চিটাগং কিংস। সে ম্যাচে চার ওভারে ৪১ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন সানি। এরপরই তার বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন আম্পায়াররা।
পরবর্তীতে বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দেন তিনি এবং আজ সেই পরীক্ষার ফলাফল হাতে পান। বিসিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভবিষ্যতে যদি আবারও তার অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ ওঠে, তবে তাকে দেশের বাইরে নিরপেক্ষ ল্যাবে পরীক্ষা দিতে হবে। এবারের বিপিএলে ১১ ম্যাচে ৮.১৭ ইকোনমি রেটে মোট ১১ উইকেট শিকার করেছেন সানি।
উল্লেখ্য, এর আগেও সানির বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চলাকালে তার এবং পেসার তাসকিন আহমেদের বোলিং অ্যাকশন অবৈধ ঘোষণা করা হয়। পরে অ্যাকশন সংশোধন করে তারা দুজনই আবার প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরে আসেন।