দেশের তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবসা খাতের সবচেয়ে পুরোনো সংগঠন বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতিতে (বিসিএস) ও ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশে (ই-ক্যাব) প্রশাসক নিয়োগ দিয়েছে সরকার। আদেশে বলা হয়েছে, প্রশাসক ১২০ দিনের মধ্য সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নির্বাচিত কমিটির কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করে মন্ত্রণালয়কে অবহিত করবে। তবে ১২০ দিন পার হয়ে গেলেও এখনো কোনো নির্বাচনের ঘোষণা আসেনি। দুই সংগঠনই বলছে, সময় বাড়ানো হয়েছে।

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ২০ আগস্ট বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) কার্যনির্বাহী কমিটির সব সদস্য একযোগে পদত্যাগ করেন। এরপর ২ সেপ্টেম্বর এক তলবি সভার মাধ্যমে স্মার্ট টেকনোলজিস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলামকে অন্তর্বর্তীকালীন আহ্বায়ক নির্বাচিত করা হয়। এ সভায় বিসিএসের বেশ কয়েকজন সাবেক সভাপতিসহ সদস্যদের অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। সমিতির এ সিদ্ধান্ত অনুমোদনের জন্য পরিচালক, বাণিজ্য সংগঠনে (ডিটিও) পাঠানো হয়। তবে ডিটিও বিষয়টি অনুমোদন করেনি। পরে সংগঠনে প্রশাসক নিয়োগের অফিস আদেশ দেওয়া হয়েছে। গত ২৫ সেপ্টেম্বর বিসিএসে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব নাহিদ আফরোজকে প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। এই প্রশাসকের দায়িত্ব ছিল ১২০ দিনের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করা। কিন্তু ডিসেম্বরের ২৪ তারিখে সময়সীমা অতিক্রম করলেও এখন পর্যন্ত নির্বাচন আয়োজনের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

নাহিদ আফরোজকে আজ রোববার মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি একটু বাইরে আছি, ৩০ মিনিট পরে ফোন দেন।’ এরপর ৩০ মিনিট পরে তাঁকে ফোন দিলে তিনি আর ফোন ধরেননি। এর আগে ৮ ফেব্রুয়ারি বিসিএসের সভা ডাকলেও সেটি স্থগিত করা হয়।

স্মার্ট টেকনোলজিস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম গতকাল শনিবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের এখানে অনেক ভুতুড়ে সদস‍্য রয়েছেন, যাঁদের কোনো কাগজপত্র ঠিক নেই। সেগুলোকে আমরা বাদ দিতে বলেছি। কিন্তু সেটাও সম্ভব হয়নি। আমরা বলেছি, যেহেতু লোকবল কম, তাহলে বিসিএসের একটা সহায়ক কমিটি করে দিতে।’

এদিকে একই অবস্থা ই–ক্যাবেও। ই-ক্যাবের ২০২২-২৪ মেয়াদের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতির পদ থেকে শমী কায়সার পদত্যাগ করেন ১৩ আগস্ট। এরপর ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশে (ই-ক্যাব) সরকার প্রশাসক নিয়োগ দিয়েছে গত বছরের ১১ সেপ্টেম্বর। তখন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কেন্দ্রীয় ডিজিটাল সেলের উপসচিব মুহাম্মদ সাঈদ আলীকে ই-ক্যাবের প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। গত বুধবার তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা খুব দ্রুতই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করব আশা করছি, আগামী রোববার ঘোষণা হতে পারে।’

১২০ দিন বেঁধে দেওয়ার পরেও কেন এত দেরি হলো, এই প্রশ্নের জবাবে মুহাম্মদ সাঈদ আলী আরও বলেন, ‘এটা এক্সটেন্ড করা হয়েছে, মানে সময়টা বাড়ানো হয়েছে। আশা করছি কোনো জটিলতা না থাকলে রোববারই তফসিল ঘোষণা হবে।’

এ ব্যাপারে আজ রোববার আবার প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘আগামী মে মাসের প্রথম সপ্তাহে ই-ক্যাবের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’ তবে বিস্তারিত তফসিল এখনো ঘােষণা করা হয়নি।

ই-ক্যাবের সদ্যবিদায়ী কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ সাহাব উদ্দিন বলেন, একজন ব‍্যবসায়ীই একজন ব‍্যবসায়ীর পালস বুঝবেন। যেহেতু এটা বাণিজ্য সংগঠন, সেহেতু একটা নির্বাচনের মাধ্যমে তাঁদের হাতেই ছেড়ে দেওয়া উচিত।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ১২০ দ ন ব স এস প রথম স গঠন

এছাড়াও পড়ুন:

বান্দরবানে আদিবাসী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ১

রোয়াংছড়ি উপজেলার খামতাম পাড়া এলাকায় খেয়াং সম্প্রদায়ের এক মানসিক প্রতিবন্ধী কিশোরী ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মঙ্গলবার সকালে রাস্তার কাজে নিয়োজিত শ্রমিকরা অভিযুক্ত জামাল হোসেনকে (৩২) আটক করে এলাকাবাসীর কাছে সোপর্দ করে। পরে পুলিশ এসে থানায় নিয়ে যায়।

এলাকাবাসী জানায়, ১৬ বছর বয়সী খেয়াং কিশোরী মানসিক প্রতিবন্ধী। সে প্রতিদিন বিকেলে পাড়ার আশপাশে ঘোরাঘুরি করে সন্ধ্যার দিকে বাড়ি ফিরে।  প্রতিদিনের ন্যায় সোমবার বিকেলে রোয়াংছড়ি-রুমা উপজেলা রাস্তায় ঘুরতে বের হয়। কিন্তু সেদিন কিছুটা রাত হলেও আর বাড়িতে ফেরেনি।  

এলাকাবাসী আরও জানায়, ওই এলাকায় রোয়াংছড়ি-রুমা উপজেলা সংযোগ সড়কে নির্মাণ কাজ চলছে। সেখানে নিয়োজিত আছে ১৮-২০ জন শ্রমিক। সন্ধ্যার দিকে পাড়ার পাশে কবরস্থানের কাছাকাছি কিশোরীকে একা পেয়ে শ্রমিক মো. জামাল হোসেন ওই কিশোরীকে টেনে জঙ্গলের দিকে নিয়ে যায়। পরে রাত নামলে কিশোরীর চিৎকার শুনে পাড়াবাসী জঙ্গল থেকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসে। কিশোরীর কথায় পাড়াবাসী নিশ্চিত হয় এক নির্মাণ শ্রমিক তাকে ধর্ষণ করেছে। এরপর রাতভর বেশ কয়েকজন মিলে জঙ্গলের ভেতরে খোঁজাখুঁজি করে কিন্তু অভিযুক্তকে পাওয়া যায়নি।

সড়কের কাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের মধ্যে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুইজন শ্রমিক বলেন, পাড়ার একটি মেয়েকে আমাদের একজন শ্রমিক ধর্ষণ করেছে বলে জানতে পেরেছিলাম। কিন্তু এ কাজ কে করেছে তা জানতাম না। পরে রাতে দেখি মো. জামাল হোসেন নামে এক শ্রমিক আমাদের সঙ্গে ঘুমাতে আসেনি।  ভোরের দিকে কাজের জায়গায় অভিযুক্ত জামাল পৌঁছালে শ্রমিকরা সবাই মিলে তাকে আটক করে পাড়াবাসীর কাছে তুলে দেয়।

খামতাম পাড়ার কয়েকজন জানান, জামালকে পাওয়ার পর এলাকাবাসী তাকে মারধর করে। এরপর গলায় জুতার মালা পরিয়ে পুরো পাড়া তাকে ঘুরানো হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে অভিযুক্ত জামালকে তাদের কাছে সোপর্দ করে।

রোয়াংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি আশিকুর রহমান বলেন, অভিযুক্ত জামালকে পাড়াবাসী পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে। কিশোরীর ভাই বাদী হয়ে রোয়াংছড়ি থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মা-ছেলে নিখোঁজ, অপরিচিত ব্যক্তি ফোনে বললেন ‘তারা ভালো আছেন’
  • রাজধানী থেকে নিখোঁজ মা-ছেলে 
  • শুবমান গিল ফেব্রুয়ারির সেরা খেলোয়াড়, নারীদের সেরা কিং
  • প্রেমে রাজি না হওয়ায় কিশোরীকে ধর্ষণ, মামলা তুলে না নেওয়ায় বাবাকে হত্যার অভিযোগ
  • দই-চিড়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা
  • কাঠগড়ায় ইনুর হাতে হাতকড়া, হট্টগোল 
  • বাংলাদেশের কোন নায়িকার পারিশ্রমিক কত
  • গোবিন্দকে কেন গালিগালাজ করেছিলেন কাদের খান?
  • হারিয়ে যাওয়ার দুই বছর পর যেভাবে ছেলেকে ফিরে পেলেন মা
  • বান্দরবানে আদিবাসী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ১