শিশু-কিশোরদের নিয়ে কাজ করার ইচ্ছা তাঁর অনেক দিনের। সুবিধাবঞ্চিতদের খেলাধুলার সরঞ্জাম দিয়ে সাহায্য করতে চান। কাজ করতে চান শিশু–কিশোরদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়েও। করোনাকালের গৃহবন্দী জীবনে সেটা নিয়ে নতুন করে ভাবার সুযোগ পান জাতীয় দলের সাবেক ওপেনার জাভেদ ওমর। সেই ভাবনা আজ আনুষ্ঠানিকতা পেয়েছে রাজধানীর এক রেস্তোরাঁয়, যাত্রা শুরু করেছে ‘জাভেদ ওমর ইনিশিয়েটিভ’ নামে তাঁর এ উদ্যোগ। দীর্ঘদিনের সতীর্থ, বিসিবি কর্মকর্তা ও সিনিয়র ক্রীড়া সাংবাদিকদের সঙ্গে নিয়ে নতুন এ উদ্যোগের কথা জানান জাভেদ।

জাতীয় দলে খেলার সময়ই ছোট ছোট এ রকম উদ্যোগের সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে জানান জাভেদ ওমর। দেশের মানুষের জন্য কিছু করবেন বলে কানাডায় স্থায়ী হননি। একবার এতিমখানায় খাবার দিতে গিয়ে সামনে খোলা মাঠ দেখে জাভেদের মনে হয়েছে, সাহায্য করা দরকার তাদের। এরপরই ‘জাভেদ ওমর ইনিশিয়েটিভ’-এর চিন্তাটা তাঁর মাথায় দানা বাঁধে।

বিসিবি সভাপতি ও এক সময়ের সতীর্থ ফারুক আহমেদের সঙ্গে জাভেদ ওমর.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: জ ভ দ ওমর

এছাড়াও পড়ুন:

অপারেশন ডেভিল হান্টে একদিনে গ্রেফতার ৩৪৩

সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে অপারেশন ডেভিল হান্ট ও অন্যান্য অপরাধে ১ হাজার ৫২১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে অপারেশন ডেভিল হান্ট থেকে ৩৪৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৩৪৩ জনকে। এ ছাড়া এই বিশেষ অপারেশনসহ অন্যান্য অভিযানে গতকাল রাত থেকে আজ পর্যন্ত ১ হাজার ৫২১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এ ছাড়া একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগজিন, ১১ রাউন্ড গুলি, ৬টি শর্টগান কার্তুজ, তিনটি ছুরি, তিনটি তলোয়ার, একটি কুড়াল, ১০টি ককটেল, ৮টি লাঠি, ৪টি রড এবং ৪টি রামদা উদ্ধার করা হয়েছে।

এর আগে, রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’সহ পুলিশের বিভিন্ন অভিযানে দুপুর পর্যন্ত মোট এক হাজার ৩০৮ জনকে গ্রেফতারের খবর জানিয়েছিল পুলিশ।

গত ৭ ফেব্রুয়ারি গাজীপুরের ছাত্র-জনতার ওপর সন্ত্রাসী হামলা করেন আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা। এই হামলায় নেতৃত্ব দেন ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। হামলার ফলে বেশ কয়েকজন হতাহত হন এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটে।

ঘটনার পরপরই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে দেশের সামগ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার সিদ্ধান্ত হয়।

এরই ধারাবাহিকতায় ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে অপারেশন ‘ডেভিল হান্ট’ নামক বিশেষ অভিযান শুরু হয়।

উল্লেখ্য, ডেভিল অর্থ হচ্ছে ‘শয়তান’ আর হান্ট অর্থ ‘শিকার’। ডেভিল হান্ট, যার বাংলা অর্থ দাঁড়ায় ‘শয়তান শিকার’ করা। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঘোষিত ডেভিল হান্ট বলতে দেশবিরোধী চক্র, সন্ত্রাসী ও দুষ্কৃতকারীদের আইনের আওতায় আনতে বোঝানো হয়েছে।

বিএইচ

সম্পর্কিত নিবন্ধ