কুষ্টিয়ার কুমারখালী থেকে নিখোঁজ হওয়া এক গৃহবধূকে ঢাকার আশুলিয়া থানা এলাকা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় দায়ের হওয়া অপহরণ মামলায় ওই গৃহবধূর কথিত প্রেমিক আশিকুর রহমান আশিক নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার রাতে তাদের উদ্ধার ও গ্রেপ্তারের পর রোববার আদালতে সোপর্দ করা হয়। 

গৃহবধূর দাবি, আবেগের বশে প্রায় তিন মাস আগে আশিকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। 

গ্রেপ্তার আসামি আশিক (২৫) কুষ্টিয়া খোকসা উপজেলার জগলবা এলাকার কালাম শেখের ছেলে। অপরদিকে উদ্ধার গৃহবধূ একই উপজেলার বাসিন্দা।

এলাকাবাসী ও স্বজনদের ভাষ্য, উদ্ধার গৃহবধূ এক সন্তানের জননী। তিনি আশিকের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। এক পর্যায়ে স্বামীর ঘর ছেড়ে পালিয়ে যান। অপরদিকে আশিকেরও স্ত্রী রয়েছে। 

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ৪ জানুয়ারি কুমারখালীর সদকী ইউনিয়নের জি ডি শামসুদ্দিন আহমেদ কলেজিয়েট স্কুল এলাকা থেকে ওই গৃহবধূকে অপহরণ করে ঢাকায় নিয়ে যান যুবক আশিক। এ ঘটনায় ১৬ জানুয়ারি কুষ্টিয়া নারী ও শিশু আদালতে মামলা নথিভুক্তের জন্য এজাহার দেন ওই তরুণীর মা। ২২ জানুয়ারি আদালতের নির্দেশে কুমারখালী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৭ ধারায় একটি মামলা রুজু হয়। 

মামলার বাদী ও তরুণীর মা বলেন, প্রেমের অভিনয় করে আসামি আশিক তাঁর মেয়েকে অপহরণ করেছিল। বিচারের আশায় মামলা করেছেন। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন। 

গৃহবধূ বলেন, তাঁর একটি ছেলে সন্তান আছে। তবুও আবেগের বশে প্রায় তিন মাস আগে আশিকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। তিনি এখন স্বামীর সংসারে ফিরতে চান। 

ওই গৃহবধূকে উদ্ধার ও আসামিকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে কুমারখালী থানার উপপরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আবু সায়েম জানান, উদ্ধার গৃহবধূ ও গ্রেপ্তার আসামিকে রোববার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।  

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: গ হবধ গ হবধ ক

এছাড়াও পড়ুন:

জয়কে অপহরণ-হত্যাচেষ্টার ষড়যন্ত্রের মামলায় খালাস মাহমুদুর রহমান

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টার ষড়যন্ত্রের মামলায় খালাস পেয়েছেন দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান।

ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ তারিক এজাজ আজ সোমবার এ আদেশ দেন। রায় ঘোষণার সময় মাহমুদুর রহমান আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

মামলায় গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর মাহমুদুর রহমান ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরে আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

এরপর এই মামলায় সিএমএম আদালতের দেওয়া রায় চ্যালেঞ্জ করে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে আপিলের পাশাপাশি জামিনের আবেদন করেন মাহমুদুর রহমান। গত বছরের ৩ অক্টোবর তিনি জামিন পান।

মামলায় ঢাকার সিএমএম আদালতের দেওয়া কারাদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে মাহমুদুর রহমানের করা আপিল আজ মঞ্জুর করেন ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত। এর ফলে মাহমুদুর রহমান এই মামলা থেকে খালাস পেলেন। প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন এই আদালতের বেঞ্চ সহকারী সাইদুর রহমান।

২০২৩ সালের ১৭ আগস্ট এ মামলায় সাংবাদিক শফিক রেহমান, মাহমুদুর রহমানসহ পাঁচজনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন আদালত। অন্য তিনজন হলেন জাতীয়তাবাদী সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সহসভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুন, তাঁর ছেলে রিজভী আহাম্মেদ ওরফে সিজার ও যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ভূঁইয়া।

মামলায় শফিক রেহমান ও মিজানুর রহমান ভূঁইয়ার সাজা এক বছরের জন্য স্থগিত করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ বিষয়ে গত ২২ সেপ্টেম্বর প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁদের সাজা স্থগিত করা হয়।

সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনে ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট রাজধানীর পল্টন থানায় মামলা করেছিল পুলিশ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ব্যবসায়ীকে অপহরণ, মুক্তিপণ দিতে হবে ব্যাংকে, কেউ জানলে পড়বে লাশ
  • জয়কে অপহরণ-হত্যাচেষ্টার ষড়যন্ত্রের মামলায় খালাস মাহমুদুর রহমান
  • খালাস পেলেন মাহমুদুর রহমান
  • জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টা মামলা: আপিলে খালাস পেলেন মাহমুদুর রহমান
  • ছাত্র অধিকার পরিষদ নেতা রবিউলকে কলাপাড়া থেকে অপহরণ করে ভাঙ্গায় ফেলে যায় দুর্বৃত্তরা
  • যাত্রী হিসেবে প্রাইভেটকারে উঠিয়ে মুক্তিপণ আদায় করত তারা
  • ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায় করাই তাঁদের পেশা
  • মুক্তিপণ দিয়ে বাড়ি ফিরলেন অপহৃত ৫ কাঠুরিয়া