কুষ্টিয়া থেকে নিখোঁজ গৃহবধূকে ঢাকায় উদ্ধার, যুবক গ্রেপ্তার
Published: 9th, February 2025 GMT
কুষ্টিয়ার কুমারখালী থেকে নিখোঁজ হওয়া এক গৃহবধূকে ঢাকার আশুলিয়া থানা এলাকা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় দায়ের হওয়া অপহরণ মামলায় ওই গৃহবধূর কথিত প্রেমিক আশিকুর রহমান আশিক নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার রাতে তাদের উদ্ধার ও গ্রেপ্তারের পর রোববার আদালতে সোপর্দ করা হয়।
গৃহবধূর দাবি, আবেগের বশে প্রায় তিন মাস আগে আশিকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন।
গ্রেপ্তার আসামি আশিক (২৫) কুষ্টিয়া খোকসা উপজেলার জগলবা এলাকার কালাম শেখের ছেলে। অপরদিকে উদ্ধার গৃহবধূ একই উপজেলার বাসিন্দা।
এলাকাবাসী ও স্বজনদের ভাষ্য, উদ্ধার গৃহবধূ এক সন্তানের জননী। তিনি আশিকের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। এক পর্যায়ে স্বামীর ঘর ছেড়ে পালিয়ে যান। অপরদিকে আশিকেরও স্ত্রী রয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ৪ জানুয়ারি কুমারখালীর সদকী ইউনিয়নের জি ডি শামসুদ্দিন আহমেদ কলেজিয়েট স্কুল এলাকা থেকে ওই গৃহবধূকে অপহরণ করে ঢাকায় নিয়ে যান যুবক আশিক। এ ঘটনায় ১৬ জানুয়ারি কুষ্টিয়া নারী ও শিশু আদালতে মামলা নথিভুক্তের জন্য এজাহার দেন ওই তরুণীর মা। ২২ জানুয়ারি আদালতের নির্দেশে কুমারখালী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৭ ধারায় একটি মামলা রুজু হয়।
মামলার বাদী ও তরুণীর মা বলেন, প্রেমের অভিনয় করে আসামি আশিক তাঁর মেয়েকে অপহরণ করেছিল। বিচারের আশায় মামলা করেছেন। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।
গৃহবধূ বলেন, তাঁর একটি ছেলে সন্তান আছে। তবুও আবেগের বশে প্রায় তিন মাস আগে আশিকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। তিনি এখন স্বামীর সংসারে ফিরতে চান।
ওই গৃহবধূকে উদ্ধার ও আসামিকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে কুমারখালী থানার উপপরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আবু সায়েম জানান, উদ্ধার গৃহবধূ ও গ্রেপ্তার আসামিকে রোববার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সাজেক যাওয়ার পথে ৮ পর্যটককে অপহরণের ঘটনায় নারীসহ গ্রেপ্তার ৪
খাগড়াছড়িতে পর্যটক অপহরণের ঘটনায় এক নারীসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাতে দীঘিনালা উপজেলার চিটিং টিলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে অপহরণকারীদের গ্রেপ্তার করা হয়।
রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার নন্দনপুরের বাসিন্দা মো. খলিলুর রহমান ৮ বন্ধু মিলে সাজেক ঘোরার জন্য ২ মার্চ খাগড়াছড়ির উদ্দেশে রওনা হন। ৩ মার্চ তাঁরা যাত্রা করেন খাগড়াছড়ি থেকে সাজেকের পথে। সকাল সাড়ে ১০টায় দীঘিনালার ৯ মাইল এলাকায় পৌঁছালে অপহরণকারী মো. বেলাল ও আজিবুর রহমান তাঁদের গাড়ির গতিরোধ করে একটি আমবাগানের নিয়ে যান। এরপর আটকে রেখে মুক্তিপণ দাবি করেন।
দীঘিনালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকারিয়া বলেন, পর্যটকদের সারা রাত আটকে রেখে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ চায় বেলাল ও আজিজুর। অভিযুক্তরা অপহরণের শিকার পর্যটকদের কাছ থেকে ৭ লাখ ২০ হাজার টাকা মুক্তিপণ আদায় করেন। বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে এই টাকা জমা হওয়ার বিষয়টি পুলিশ জানতে পেরে রোববার রাতে দীঘিনালার চিটিং টিলায় অভিযান শুরু করে। অভিযানে মো. বেলাল, আজিবুর রহমান, মো. সহিদুল, সুফিয়া বেগমকে চিটিং টিলার বিভিন্ন জায়গা থেকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার ৪ জনসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে অপহরণের শিকার মো. খলিলুর রহমান দীঘিনালা থানায় একটি মামলা করেন।
ওসি বলেন, গ্রেপ্তার চারজন অপহরণের দায় প্রাথমিকভাবে স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে আটকদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।