রাবির একাডেমিক ভবনে নিষিদ্ধ পপি গাছ
Published: 9th, February 2025 GMT
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) দেখা মিলেছে আফিম উৎপাদনের জন্য পরিচিত নিষিদ্ধ পপি গাছের। এ গাছের ফল থেকে বের হওয়া রস শুকিয়ে তৈরি করা হয় আফিম।
পপি গাছ থেকেই আফিম নামক মাদকদ্রব্য তৈরি করা হয়, যা পরবর্তীতে বিভিন্ন ধরনের মাদক দ্রব্য তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। ফলে দেশে পপি ফুলের চাষ আইনত নিষিদ্ধ।
সম্প্রতি রাবির সত্যেন্দ্রনাথ বসু একাডেমিক ভবনের (প্রথম বিজ্ঞান ভবন) বাগানে দেখা মিলেছে নিষিদ্ধ ঘোষিত এ গাছের। রঙিন ফুলে শোভিত এসব গাছ বাগানের অন্যান্য গাছের আড়ালে বেড়ে উঠছিল। বিষয়টি নজরে আসার পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের ফুল বাগানের ভেতরের বাগানের মধ্যে বৃত্তাকার বেশ কিছু পপি ফুলের গাছ। বাগানের অন্য ফুল গাছের আড়ালে বেড়ে উঠছে এ গাছগুলো। বেশিরভাগ গাছেই ফুটেছে লাল ও সাদা রঙের ফুল। কিছু গাছে ফল ধরতেও দেখা গেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলেন, “আমরা বাগানে এ ফুল দেখার পর মালিকে বলি। প্রথমে নিষিদ্ধ ফুল বললে মালি সেটা অস্বীকার করে। পরে জেরা করলে বলে পুলিশকে বলেন, যা খুশি করেন।”
জানতে চাইলে বাগানের মালি মকবুল বলেন, “আমরা ইচ্ছেকৃতভাবে এগুলো লাগাইনি। আগে বাগানে এগুলো লাগানো ছিল। সেখানের বীজ থেকেই এ ফুলের গাছগুলো হয়েছিল।”
এ বাগানের দায়িত্বে আছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ। কথা হয় পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও কলেজ পরিদর্শক ড.
তিনি বলেন, “এখানে এই ফুলটি রয়েছে, তা আমাদের জানা ছিল না। অনিচ্ছাকৃত ও ভুলবশত এটি হয়ে গেছে। বিষয়টি জানার পরপরই আমরা সঙ্গে সঙ্গেই ফুলের গাছগুলো তুলে ফেলেছি। আপনাদের ধন্যবাদ আমাদের অবগত করার জন্য।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন বলেন, “আসলেই এ সম্পর্কে আমার কোন তথ্য নেই। তবে যদি ইচ্ছাকৃতভাবে পপি ফুল চাষ করা হয়ে থাকে, আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখব এবং অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব। আর যদি এটি অনিচ্ছাকৃতভাবে হয়ে থাকে, তাহলে আমরা সেগুলো উপড়ে ফেলব। এটি সম্পূর্ণ অনাকাঙ্ক্ষিত।”
ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
৭ বছর পর চুয়েট ছাত্রলীগের ছয় নেতার নামে মামলা
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) ২০১৮ সালে দুই শিক্ষার্থীকে মারধর, চাঁদাবাজি এবং হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দুটি মামলা হয়েছে। এতে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের চুয়েট শাখার সাবেক ৬ নেতাকে আসামি করা হয়েছে। ঘটনার সাত বছর পর মামলা দুটি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও কৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ মাহমুদুল ইসলাম ও জামিল আহসান।
রাউজান থানায় ওই মামলায় আসামিরা হলেন– চুয়েটের তৎকালীন ছাত্রলীগ নেতা সৈয়দ ইমাম বাকের, সাখাওয়াত হোসেন, অতনু মুখার্জি, নিলয় দে, মেহেদী হাসান ফরহাদ ও মোহাম্মদ ফখরুল হাসান ফাহাদ। এ ছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় আরও ২০-৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
জামিল সমকালকে বলেন, নির্যাতন শেষে বাকের বলেছিল, হাসিনা আরও ১০ বছর ক্ষমতায় থাকবে। অর্থাৎ তারা ভেবে নিয়েছিল ওই নির্যাতনের জন্য তাদের কখনও জবাবদিহি করতে হবে না। এজন্যই মামলাটি করেছি।
মামলায় কারণে শিক্ষাজীবন শেষ করতে পারেননি মাহমুদুল। তিনি বলেন, ওই ঘটনার ব্যাপক প্রভাব পড়েছে আমার জীবনে।