প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ (সিইসি) নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে বৈঠক করেছে বিএনপি। বৈঠক শেষে আজ রোববার সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশনের কার্যক্রমে বিএনপি সন্তুষ্ট বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেছেন, নির্বাচনের সময় ঘোষণার দায়িত্ব এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের। যেহেতু সংবিধান ও প্রচলিত আইনের ভিত্তিতে দেশ পরিচালিত হচ্ছে না।

আগামীকাল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে জাতীয় নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় নিয়ে বিএনপি আলোচনা করবে বলেও এ সময় জানান তিনি।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘এই (নির্বাচন অনুষ্ঠান) ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা এখন তাদের (কমিশন) নেই। কারণ দেশের প্রচলিত সংবিধান-আইন হলে একটা সরকার পদত্যাগ করলে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হয়। এখন তো ওই আইনের দেশ চলছে না। এই মুহূর্তে রাজনৈতিক মতামত, সরকারের তরফ থেকেও অনুরোধ করতে হবে—তার ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন নির্বাচন অনুষ্ঠান করবে।’

এক প্রশ্নের জবাবে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘যেহেতু নির্বাচন ঘোষণার দায়িত্ব এখন সরকারের; অর্থাৎ কখন হবে এটা বলা, তারপর তফসিল ঘোষণা তো নির্বাচন কমিশনই করবে। আগামীকাল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আমাদের আলোচনা আছে। আমরা সেখানে প্রসঙ্গ টেনে আলোচনা করব।’

নির্বাচন কমিশনের কার্যক্রম নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা যতদূর জানতে পেরেছি, প্রায় ৩০ লাখ নতুন ভোটার আগামী দিনে যুক্ত হবে। যেটা তালিকা থেকে বাদ পড়েছিল, তাদের আগে ভোটার করা হয়নি। বাদ পড়বে প্রায় ১৫ লাখ, যারা মারা গেছেন। এই তালিকা করা হয়েছে ইউনিয়ন পরিষদের মৃত্যু নিবন্ধনের ভিত্তিতে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এতটুকু বুঝেছি যে, যদি মে-জুন মাসের মধ্যে হালনাগাদ ভোটার তালিকা প্রস্তুত হয়, তাহলে প্রাসঙ্গিক আলোচনা করে সমস্যা দূর করে শিগগির জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’

নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতি নিয়ে বিএনপি সন্তুষ্ট কি না জানতে চাইলে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আইন অনুযায়ী তাদের যা করার কথা, আমরা বুঝতে পারছি যে, তারা সঠিকভাবেই সেটা করছেন।’

এর আগে বিকেল সাড়ে ৩টায় আগারগাঁও নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে বৈঠকে বসে বিএনপির প্রতিনিধি দল।

নজরুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের প্রতিনিধি দলের আরও ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ ও সেলিমা রহমান।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এনপ নজর ল ইসল ম খ ন সরক র ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

হুমকি না থাকলেও বর্ষবরণে সতর্ক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

উৎসবমুখর পরিবেশে সারা দেশে পালিত হচ্ছে বাংলা নববর্ষ। এ উৎসবকে ঘিরে কোনো ধরনের হুমকি না থাকলেও সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। 

সোমবার (১৪ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী রাইজিংবিডিকে এ তথ্য জানান। 

ডিএমপি কমিশনার বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, রমনা বটমূলসহ পুরো ঢাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। ঢাকার প্রধান সড়ক থেকে অলি গলিতেও গোয়েন্দা নজরদারি করছে। গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। টহল বৃদ্ধি করা হয়েছে।”

এদিকে, প্রতিবারের মতো এবারও নববর্ষে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে র‌্যাব দেশব্যাপী গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করেছে। নববর্ষের অনুষ্ঠান শেষ না হওয়া পর্যন্ত নিরাপত্তা জোরদার করতে সারা দেশে র‌্যাবের সব সদস্য নিজ নিজ দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় কাজ করছেন। 

সকালে র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান বলেন, “র‌্যাব সদর দপ্তরে কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে ঢাকাসহ সারা দেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ ও সমন্বয় করা হচ্ছে।”

তিনি জানান, র‌্যাব সারা দেশে ২২৪টি পিকআপ টহল, ১২২টি মোটরসাইকেল টহলসহ সর্বমোট ৩৪৬টি টহল ও সাদা পোশাকে ৪১৩ জন সহ সর্বমোট ২৪৪৯ জন র‌্যাব সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। বাংলা নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান দেশীয় ও আন্তর্জাতিক কোন উগ্রবাদী গোষ্ঠী, অন্যান্য নিষিদ্ধ সংগঠন এবং রাষ্ট্র ও সরকারবিরোধী কুচক্রী মহল যাতে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে না পারে সে লক্ষ্যে র‌্যাবের গোয়েন্দা নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। 

লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান বলেন, “বাংলা নববর্ষকে কেন্দ্র করে কোনো ধরণের নাশকতার ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি। তবুও আমরা আত্মতুষ্টিতে ভুগছি না। গোয়েন্দা নজরদারি ও সাইবার জগতে মনিটরিং বৃদ্ধির মাধ্যমে নাশকতাকারীদের যেকোনো ধরনের নাশকতার পরিকল্পনা নস্যাৎ করে দিতে প্রস্তুত রয়েছে র‌্যাব।”

ভার্চুয়াল জগতে নববর্ষকে কেন্দ্র করে যেকোনো ধরনের গুজব, উস্কানিমূলক তথ্য, মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না পারে সে জন্য র‌্যাব সাইবার মনিটরিং টিম নজরদারি অব্যাহত রেখেছে বলেও তিনি জানান।

ঢাকা/এমআর/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ