হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলাকারী কামরুজ্জামান আল রিয়াদকে গ্রেপ্তার করেছে সেনাবাহিনী।

শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাত পৌনে ১টার দিকে তাকে থানায় হস্তান্তর করে সেনাবাহিনী।

রবিরার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে এতথ্য নিশ্চিত করেছেন শায়েস্তাগঞ্জ থানার ওসি দিলীপ কান্ত নাথ। 

আরো পড়ুন:

ব্রহ্মপুত্র নদে ফের ডাকাতি, পুলিশের বিরুদ্ধে এগিয়ে না আসার অভিযোগ

লক্ষ্মীপুরে আ.

লীগ নেতা গ্রেপ্তার

পুলিশ জানায়, শনিবার রাত সাড়ে ১১টায় উপজেলার উবাহাটা গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয় রিয়াদকে। তিনি উবাহাটা গ্রামের মৃত আব্দুল কাইয়ুমের ছেলে।

শায়েস্তাগঞ্জ থানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দায়ের হওয়া একটি মামলার ৬৮ নম্বর আসামি।

ওসি দিলীপ কান্ত নাথ বলেন, শনিবার দিবাগত রাত পৌনে ১টায় আসামি রিয়াদকে থানায় হস্তান্তর করেছে সেনাবাহিনী।  

ঢাকা/মামুন/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

মাকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশে ফোন দিল ৪ বছরের শিশু

ছোটবেলায় মা–বাবা শিশুদের শেখান, কেউ কোনো অপরাধ করলে পুলিশ ডেকে তাকে ধরিয়ে দিতে হয়। কেমন হয়, এই শিক্ষা যদি মা–বাবার ওপরই সবার আগে প্রয়োগ করে শিশু।

গত সপ্তাহে এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যে। আইসক্রিম খেয়ে ফেলার অপরাধে মাকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশ ডেকে বসে চার বছরের ছেলেশিশু। মাকে অবশ্য শেষমেশ কারাগারে যেতে হয়নি। তবে নিজের আইসক্রিম খাওয়ার অধিকার ঠিকই অর্জন করে নিয়েছে শিশুটি।

ডব্লিউএসএলএস ১০ নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, উইসকনসিনের মাউন্ট প্লেজেন্ট এলাকা থেকে ৯১১ নম্বরে একটি ফোন আসে। এক নারী পুলিশ কর্মকর্তা কলটি ধরার পর অপর প্রান্ত থেকে একটি শিশু বলে ওঠে, ‘আমার মা খুব খারাপ করেছে।’

পুলিশ কর্মকর্তা কিছুই বুঝে উঠতে না পেরে শিশুটিকে কী হয়েছে, সে ব্যাপারে খুলে বলতে বলেন। সে বলে, মা তার আইসক্রিম খেয়ে ফেলে অন্যায় করেছেন এবং এ জন্য ন্যায়বিচার পেতে সে দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ। সে পুলিশকে বলে, তার মাকে ধরে নিয়ে যেতে। পুলিশ কর্মকর্তা তখনো বুঝে উঠতে পারছিলেন না, আসলে কী অন্যায় করেছেন শিশুটির মা।

তবে পুলিশকে বেশিক্ষণ ধোঁয়াশার মধ্যে থাকতে হয়নি। ওই শিশুর মা কোনোরকমে ছেলের কাছ থেকে ফোন নিয়ে নিজেই অপরাধ স্বীকার করে নেন।

ওই মা পুলিশকে আরও বলেন, তাঁর ছেলের বয়স মাত্র চার বছর। তিনি আইসক্রিম খেয়ে ফেলায় ছেলে রাগ করে ৯১১ নম্বরে ফোন করেছে। তিনি ছেলেকে আটকানোর আগেই সে ফোন করে বসে।

শিশুটির রাগ তখনো কমেনি। পুলিশকে তার মায়ের বিচার করতে আসতেই হবে। শিশুটির দাবি রাখতে দুই নারী পুলিশ তাদের বাড়িতে উপস্থিত হন। তাঁরা বোঝানোর পর ছেলেটি মাকে পুলিশে ধরিয়ে দেওয়ার দাবি থেকে সরে আসে। বলে, সে আর তার মাকে কারাগারে দিতে চায় না। তবে শিশুটি পুলিশকে বলেছে, সে একটুখানি আইসক্রিম খেতে চেয়েছিল, তাকে খেতে দেওয়া হয়নি।

পরে ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তা শিশুটিকে অবাক করে দিয়ে আইসক্রিম নিয়ে আবার তাদের বাসায় যান। আইসক্রিম পেয়ে মহাখুশি হয়ে পুলিশের সঙ্গে সে ছবিও তুলেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ