বাজারে এসেছে অন্যকাল-এর মাতৃভাষা দিবস সংখ্যা। সাহিত্য প্রকাশনা হিসেবে এটি উদ্বোধন সংখ্যা হলেও আগামীতে নিয়মিত হচ্ছে প্রকাশনাটি। এর মধ্য দিয়ে কয়েক বছর বিরতি দিয়ে আবারও সাহিত্য প্রকাশনার সম্পাদনায় ফিরেছেন মোহাম্মদ নেয়ামত উল্লাহ। 

চার রঙের সুদৃশ্য প্রচ্ছদের এ সংখ্যায় লিখেছেন দেশের বরণ্যে কবি-সাহিত্যিকরা। প্রবন্ধ, নিবন্ধ, গল্প ও কবিতাসহ ব্যতিক্রমী বেশ কিছু লেখা স্থান পেয়েছে সংকলনটিতে। 

সংকলনে প্রবন্ধ লিখেছেন রফিউর রাব্বি, দীপঙ্কর দে, শাফিয়া চৌধুরী ও শফিক হাসান। কবিতা ও ছড়া লিখেছেন কবি নুরুল হুদা, শহীদুজ্জামান ফিরোজ, জাফরুল আহসান, ইউসুফ আলী এটম, গোলাম কিবরিয়া পিনু, সাব্বির রেজা, মাহমুদ কামাল, পুলক হাসান, জাকির জাফরান, রহমান মুজিব ও জগলুল হায়দার, রণজিৎ মোদক, হাবিব সিদ্দিকী, দেলোয়ার হোসাইন, হানিফ রুবেল, শারদুল সজল, আফজাল হোসেন পন্টি, নজরুল ইসলাম শান্তু, মোখলেছুর রহমান তোতা, কাজী আনিসুল হক হীরা, সাদ্দাম মোহাম্মদসহ অনেকেই। 

সংকলনটিতে ব্যতিক্রমী ‘পাখিভ্রমণ’ লিখেছেন পর্যটন বিষয়ক লেখক গাজী মুনছুর আজিজ, অনুবাদ গল্প লিখেছেন রাকিবুল রকি। সংকলনে আরও রয়েছে গল্প, স্মরণ, মুক্তকলাম ও সোনারগাঁয়ের দারুশিল্পের উপর চমৎকার প্রতিবেদনও। 

সংকলনটি অমর একুশে বইমেলার লিটল ম্যাগ চত্ত্বরে পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়াও নারায়ণগঞ্জের সমবায় নিউ মার্কেটের চতুর্থ তলায় মৈত্রী ও পঞ্চমতলায় জেএননিউজটুয়েন্টিফোর কার্যালয় থেকে সংগ্রহ করা যাবে। 

সংকলন প্রসঙ্গে মোহাম্মদ নেয়ামত উল্লাহ বলেন, সৃষ্টিশীলতার চর্চা এক ধরণের সাধনা। ভাবুক ও সাধকদের কাছেও আমরা সংকলনটিতে নিয়ে যেতে চাই। কারণ মোটা দাগে সব মানুষই ভাবুক ও সাধক। সাহিত্যচর্চায় নিবেদিতরা এক ধরণের ত্যাগের সংগ্রামে ব্রতী। 

তিনি আরও বলেন, মাতৃভাষা দিবসে আমরা প্রত্যাশার চেয়ে বেশি সাড়া পেয়েছি। এই অনুপ্রেরণা আমাদের স্বাধীনতা দিবস সংখ্যায় এগিয়ে যেতে সহায়তা করবে। মাতৃভাষা দিবসে কিছু ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকতে পারে। তা আগামী সংখ্যায় কমিয়ে আনার চেষ্টা করবো।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

নির্বাচন নিয়ে ধোঁয়াশা অপ্রয়োজনীয় বিতর্কের জন্ম দিচ্ছে: সাইফুল হক

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, গত দেড় দশকে ফ্যাসিবাদবিরোধী গণঅ্যান্দোলনের প্রধান বিষয় ছিল ভোটের অধিকারসহ গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দাবি। গণঅভ্যুত্থানের পর এখন অন্তর্বর্তী সরকারের আমলেও যদি আবার ভোট বা নির্বাচনের দাবি তুলতে হয় সেটা বিব্রতকর। গণহত্যার বিচার ও সংস্কারকে নির্বাচনের বিপরীতে দাঁড় করানোর কোনো সুযোগ নেই। কারণ অপরাধের বিচার ও সংস্কারের ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলোর জনগণের কাছে সুষ্পষ্ট অঙ্গীকার রয়েছে। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরই হবে অন্তর্বর্তী সরকারের সবচেয়ে বড় সাফল্য। নির্বাচন নিয়ে ধোঁয়াশা ও অস্পষ্টতা অপ্রয়োজনীয় বিতর্কের জন্ম দিচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকারের নির্দিষ্ট কোনো রাজনৈতিক এজেন্ডা থাকার কথা নয়। বুধবার বগুড়া শহরের দত্তপাড়া মিলনায়তনে পার্টির জেলা প্রতিনিধি সভায় তিনি এসব কথা বলেন। 

সরকারের ওপর আস্থা প্রকাশ করে তিনি বলেন, সরকারের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে, তারা রাজনৈতিক দল ও জনগণকে আশ্বস্ত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন। সাইফুল হক বলেন, গণতান্ত্রিক সংস্কার ও নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরই হবে অন্তর্বর্তী সরকারের সবচেয়ে বড় সাফল্য। তিনি বলেন, নির্বাচন নিয়ে অস্পষ্টতা ও বিভ্রান্তি অপ্রয়োজনীয় বিতর্কের জন্ম দিচ্ছে। এতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সরকারের এক ধরনের অনাকাঙ্খিত দূরত্বও তৈরি হচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকারের যেহেতু নির্দিষ্ট কোনো রাজনৈতিক এজেন্ডা থাকার কথা নয়, সে কারণে নির্বাচন নিয়ে ধোঁয়াশা অব্যাহত রাখারও অবকাশ নেই।

সভায় বক্তারা হঠাৎ সয়াবিন তেলের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির সমালোচনা করে বলেন, এটি সাধারণ মানুষের ওপর নতুন অত্যাচারের সামিল। অবিলম্বে তারা মূল্যবৃদ্ধির এই সিদ্ধান্ত বাতিলের আহ্বান জানান।

আবদুর রউফের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান, আনছার আলী দুলাল, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ফিরোজ আহমেদ,  পার্টির টাঙ্গাইল জেলার নেতা মাহমুদুল হাসান পিপলু, গাইবান্ধা জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান মাসুদ, নীলফামারী জেলার নেতা অ্যাডভোকেট মোজাফফর হোসেন, মোশাররফ হোসেন নান্নু, পার্টির বগুড়ার সংগঠক সাইফুল ইসলাম, মনি সরকার প্রমুখ।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ