জাবিতে অতিরিক্ত মূল্য নেওয়ায় ৩ খাবারের দোকানে জরিমানা
Published: 9th, February 2025 GMT
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে খাবারের দোকানগুলোতে অভিযান চালানো হয়েছে। অভিযান চলাকালে খাবারের অতিরিক্ত মূল্য নেওয়ায় তিন হোটেল মালিককে জরিমানা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
রবিবার (৯ ফেব্রুয়াবি) সকাল থেকে বটতলা থেকে শুরু করে বিভিন্ন এলাকায় অবস্থিত দোকানে এসব অভিযান পরিচালনা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, অভিযানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন ‘মামা-ভাগিনার রেস্টুরেন্ট’ নামের একটি হোটেলে গরুর মাংসের দাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নির্ধারিত ১২০ টাকার পরিবর্তে রাখা হচ্ছে ১৫০ টাকা। রুই মাছের নির্ধারিত দাম ৫০ টাকা হলেও বিক্রয় করা হচ্ছে ২০০ টাকায়। উচ্চমূল্যে পণ্য বিক্রয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে এ হোটেলকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
একই অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকার বাংলার স্বাদ রেস্টুরেন্ট ও নূরজাহান হোটেলকে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে মামা-ভাগিনার হোটেল মালিক মো.
কনজ্যুমার ইয়্যুথ বাংলাদেশ জাবি শাখার সাংগাঠনিক সম্পাদক হুসনী মোবারক বলেন, “জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের খাবারের মান ও দাম নিয়ন্ত্রণে পূর্বনির্ধারিত পরিকল্পনা অনুযায়ী অভিযান পরিচালনা করে থাকে।”
তিনি বলেন, “প্রতিবার ভর্তি পরীক্ষার সময় দোকানগুলোতে দূর-দুরান্ত থেকে আসা শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে খাবারের অতিরিক্ত মূল্য নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে মূল্য নিয়ন্ত্রণের জন্য আমাদের এ অভিযান। সিওয়াইবির এ ধরনের অভিযান ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে প্রতিনিয়ত চালু থাকবে। সিওয়াইবি ভর্তি পরীক্ষার্থীদের খাবারের দাম ও মান নিয়ন্ত্রণের সর্বদা বদ্ধপরিকর।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম রাশিদুল আলম বলেন, “অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। শিক্ষার্থীদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মামা-ভাগিনা হোটেলে অভিযান চালানো হয়। ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে হোটেল মালিককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ রকম অভিযান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলাসহ সবগুলো স্থানে চলমান থাকবে।”
ঢাকা/আহসান/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
রাষ্ট্র ও সমাজকে পথশিশুদের প্রতি মানবিক হতে হবে
পথশিশুদের জীবনমান উন্নয়নে প্রত্যেকের উচিত তাদের পাশে দাঁড়ানো। পথশিশুদের অধিকার, নিরাপত্তা, শিক্ষা, পুনর্বাসন এবং উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। পথশিশুদের প্রতি রাষ্ট্র ও সমাজকে মানবিক সাড়া দিতে হবে।
শনিবার বিকেলে লোকাল এডুকেশন অ্যান্ড ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (লিডো) আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
১২ এপ্রিল আন্তর্জাতিক পথশিশু দিবস পালন উপলক্ষে লিডো এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বসিলায় নিজেদের পিস হোম প্রাঙ্গণে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে আলোচনা সভার পাশাপাশি মোবাইল ক্লিনিক সেবা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বাংলাদেশ লায়ন্স ক্লাবের শুভেচ্ছাদূত ও চেয়ারম্যান এ কে এম রেজাউল হক বলেন, পথশিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। বিশেষ করে উপকূলীয় অঞ্চল থেকে বাস্তুচ্যুত শিশুদের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারি–বেসরকারি অংশীজনদের আরও দায়িত্বশীল ও কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে লিডোর প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক ফরহাদ হোসেন বলেন, এবার ‘অধিকারী প্রাণ, সম্মানী জীবন’ প্রতিপাদ্য নিয়ে আন্তর্জাতিক পথশিশু দিবস পালন করা হচ্ছে। এটা শুধু একটা স্লোগান নয়, এটা জীবনঘনিষ্ঠ বাস্তবতা। প্রত্যেকের দায়িত্ব এই শিশুদের পাশে দাঁড়ানো। রাষ্ট্র ও সমাজকে মানবিক সাড়া দিতে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজসেবা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. এমরান খান, একমাত্রা সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক সুভাশিষ রায়, একমাত্রা সোসাইটির সহপ্রতিষ্ঠাতা হিরোকি ওয়াতানাবে এবং লিডোর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হেলাল উদ্দিন লিটন।
সভায় ঢাকায় কর্মরত বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার শিশু অধিকারকর্মীরা অংশ নেন।
দিবসটি উপলক্ষে খাবার বিতরণের পাশাপাশি লিডোর কর্ম এলাকা কমলাপুর এবং পিস হোমে মোবাইল ক্লিনিক ও স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়। সেখানে শতাধিক শিশুকে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা, ওষুধ ও পরামর্শ দেওয়া হয়। আলোচনা সভা শেষে পিস হোমের শিশুদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।