সচিবালয় ঘেরাও কর্মসূচি করতে যাওয়ার পথে মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুলের (ম্যাটস) শিক্ষার্থীদের লাঠিপেটা করে ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে পুলিশ। আজ রোববার বিকেলে শিক্ষা ভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে। উচ্চশিক্ষার সুযোগ, কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারের শূন্য পদে নিয়োগ দেওয়াসহ চার দফা দাবিতে সচিবালয় ঘেরাও করতে যাচ্ছিলেন তাঁরা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাজধানীর শাহবাগ মোড় থেকে মিছিল নিয়ে সচিবালয় ঘেরাও করতে যাচ্ছিলেন ম্যাটস শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি শিক্ষা ভবনের সামনে গেলে পুলিশ তাঁদের বাধা দেয়, পরে লাঠিপেটা করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় একটি সাউন্ড গ্রেনেডের শব্দ শোনা যায়। পরে শিক্ষার্থীরা শাহবাগের দিকে চলে যান।

বিক্ষোভকারী ম্যাটস শিক্ষার্থীরা বলছেন, তিন মাস ধরে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ রেখে আন্দোলন করলেও তাঁদের দাবি পূরণ করা হয়নি। এ জন্য তাঁরা চার দফা দাবিতে সড়কে নেমে আন্দোলন শুরু করেন।

এর আগে আজ বেলা ১১টার দিকে শাহবাগে সড়ক অবরোধ করেন ম্যাটসের শিক্ষার্থীরা। দুপুরের দিকে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালিদ মনসুর প্রথম আলোকে বলেছিলেন, আন্দোলনকারীরা থানার সামনের সড়কে অবস্থান নিয়েছেন।

ম্যাটস শিক্ষার্থীদের চার দফা দাবি হলো: অনতিবিলম্বে ১০ম গ্রেডে শূন্য পদে নিয়োগ, কর্মসংস্থান ও সরকারি বা বেসরকারি পর্যায়ে নতুন পদ সৃজন, কোর্স কারিকুলাম সংশোধন ও প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন করে মেডিকেল ইনস্টিটিউট করা, প্রস্তাবিত ‘অ্যালাইড-হেলথ প্রফেশনাল বোর্ড’ বাতিল করে স্বতন্ত্র ‘মেডিকেল এডুকেশন বোর্ড অব বাংলাদেশ’ বোর্ড গঠন এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ড ও বিএমঅ্যান্ডডিসি স্বীকৃত ক্লিনিক্যাল বিষয়ে উচ্চশিক্ষার সুযোগ প্রদান।

গত মাসেও ম্যাটস শিক্ষার্থীরা তাঁদের দাবি জানিয়ে কারওয়ান বাজার ও জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবরোধ ও বিক্ষোভ করেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ম য টস শ ক ষ র থ ন র স মন

এছাড়াও পড়ুন:

৭ বছর পর চুয়েট ছাত্রলীগের ছয় নেতার নামে মামলা

 চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) ২০১৮ সালে দুই শিক্ষার্থীকে মারধর, চাঁদাবাজি এবং হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দুটি মামলা হয়েছে। এতে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের চুয়েট শাখার সাবেক ৬ নেতাকে আসামি করা হয়েছে। ঘটনার সাত বছর পর মামলা দুটি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও কৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ মাহমুদুল ইসলাম ও জামিল আহসান। 

রাউজান থানায় ওই মামলায় আসামিরা হলেন– চুয়েটের তৎকালীন ছাত্রলীগ নেতা সৈয়দ ইমাম বাকের, সাখাওয়াত হোসেন, অতনু মুখার্জি, নিলয় দে, মেহেদী হাসান ফরহাদ ও মোহাম্মদ ফখরুল হাসান ফাহাদ। এ ছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় আরও ২০-৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে। 

জামিল সমকালকে বলেন, নির্যাতন শেষে বাকের বলেছিল, হাসিনা আরও ১০ বছর ক্ষমতায় থাকবে। অর্থাৎ তারা ভেবে নিয়েছিল ওই নির্যাতনের জন্য তাদের কখনও জবাবদিহি করতে হবে না। এজন্যই মামলাটি করেছি। 

মামলায় কারণে শিক্ষাজীবন শেষ করতে পারেননি মাহমুদুল। তিনি বলেন, ওই ঘটনার ব্যাপক প্রভাব পড়েছে আমার জীবনে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ