ছাত্রদলের দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১০, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনী-পুলিশ
Published: 9th, February 2025 GMT
ফেনীর দাগনভূঞাতে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। সংঘর্ষের কারণে আধাঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় দুর্ভোগ পোহাতে হয় যাত্রী-পথচারীদের। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আজ রোববার দুপুরে এ সংঘর্ষ হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, আজ দুপুরে জাবেদ গ্রুপের লোকজন মিছিল নিয়ে বাজারের দিকে আসলে জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি ফটিকের লোকজন তাতে বাধা দেয়। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। প্রায় আধাঘণ্টা ধরে চলে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া। এতে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতরা নিরাপদ জায়গায় চিকিৎসা নেয়। ফলে আহতদের পরিচয় জানা যায়নি।
গত একমাস থেকে বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে আকবর গ্রুপ ও ফটিক গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। আহত হয়েছে বহু নেতাকর্মী। বেশ কয়েকটি মামলাও হয়েছে।
দাগনভূঞা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ আলী বলেন, ছাত্রদলের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক রয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ছ ত রদল স ঘর ষ ছ ত রদল র পর স থ ত স ঘর ষ
এছাড়াও পড়ুন:
কুমিল্লায় বালু উত্তোলনের টাকা ভাগাভাগি নিয়ে বিএনপির দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ২৫
কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার চালিভাঙ্গা ইউনিয়নের নলচরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও নদীপথে চাঁদাবাজির টাকা ভাগাভাগি নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে চালিভাঙ্গা ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রবিউল্লাহ রবি ও একই ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি বারেক প্রধান গ্রুপের অনুসারীদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। এতে মেঘনা উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক হাসনাত প্রধানসহ উভয়পক্ষের অন্তত ২০-২৫ জন আহত হন, যাদের মধ্যে কয়েকজনকে গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তারা একই গ্রুপে ছিল।
স্থানীয় বাসিন্দা ও মেঘনা উপজেলা মহিলা দলের সভাপতি মাহবুবা ইসলাম মিলি সমকালকে বলেন, রবি ও বারেকের নেতৃত্বে এই গ্রুপটি দীর্ঘদিন ধরে একসঙ্গে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও নদীপথে চাঁদাবাজির সঙ্গে যুক্ত ছিল। সম্প্রতি এই অবৈধ অর্থের ভাগবাটোয়ারা নিয়ে তাদের মধ্যে টানাপোড়েন শুরু হয়। এর জের ধরেই কয়েকদিন ধরে তাদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয় এবং মঙ্গলবার রাতে সংঘর্ষ বাঁধে। এখন তারা দুই গ্রুপ হয়ে গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, সংঘর্ষের সময় উভয়পক্ষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে একে অপরের ওপর হামলা চালায়। এতে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, রাতে শুরু হওয়া এই সংঘর্ষ বেশ কিছু সময় ধরে চলে।
চালিভাঙ্গার ইউনিয়নের রামপ্রসাদেরচর গ্রামের কুমিল্লা উত্তর জেলা যুবদলের সদস্য মহসিন সমকালকে জানান, অবৈধ বালুর টাকা ভাগাভাগি নিয়ে সংঘর্ষ হয়েছে। তারা বিএনপি আগাছা, দলের কোনো উপকারের লোক নয়।
নলচর গ্রামটি মূল সড়ক থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ায় হতাহতের সুনির্দিষ্ট সংখ্যা জানা যাচ্ছে না। প্রকৃত হতাহতের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সংঘর্ষের বিষয়ে বক্তব্য নিতে রবিউল ইসলাম রবি ও বারেক প্রধানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে মেঘনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল জলিল বলেন, দুুই পক্ষের আহত লোকজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তারা একই সঙ্গে চলাফেরা করে। ওদের মধ্যে দ্বন্দ্ব লাগছে, মারামারি করেছে। উভয়পক্ষের ২০-২৫ জন আহত হয়েছে। সংঘর্ষের বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।