লক্ষ্মীপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে চার শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় নুরুল করিম ওরফে ‘ট্রলি করিম’ নামে আওয়ামী লীগের এক নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে জেলার কমলনগর উপজেলার চরলরেন্স গ্রামের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এদিকে, নুরুল করিমকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে কমলনগর উপজেলার তোরাবগঞ্জ এলাকায় আনন্দ মিছিল করেছেন এলাকাবাসী। তারা নুরুল করিমের বিরুদ্ধে জমি দখল ও প্রতারণাসহ বিভিন্ন অভিযোগ করেছেন।

গ্রেপ্তার নুরুল করিম উপজেলার চরলরেন্স ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি।  

আরো পড়ুন:

চট্টগ্রামে আ.

লীগ, যুবলীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ১৯ জন গ্রেপ্তার

রাজশাহীতে শুরু হয়েছে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’

স্থানীয় সেলুন দোকানি আরিফ হোসেন বলেন, “করিম আমাকে বিদেশ পাঠিয়ে কাজ না দিয়ে প্রতারণা করেছেন। ঋণের টাকা এখনো পরিশোধ করতে পারিনি। টাকার চিন্তায় আমি অসুস্থ হয়ে পড়ছি।” 

ব্যবসায়ী আব্দুল মান্নান বলেন, “রাতে নুরুল করিম আমার দোকানঘর ভেঙে দখল করে নেন। অনেকের কাছেই গেছি, কেউ তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। টাকা দিয়ে তিনি সবাইকে ম্যানেজ করে নিতেন।” 

চরলরেন্স ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য মো. নুরুল করিম বলেন, “নরুল করিম মানুষের দোকানপাট দখল করে ট্রলিচালক থেকে কয়েক কোটি টাকার মালিক হয়ে গেছেন। আদম ব্যবসায়ীর নামে বিদেশে নিয়ে অসহায় গরিব মানুষদের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন তিনি।”  

লক্ষ্মীপুর ডিবির ওসি মো. সাহাদাত হোসেন টিটো বলেন, “বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে চার শিক্ষার্থী হত্যার ঘটনার মামলায় নরুল করিমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তাকে সদর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।”

ঢাকা/জাহাঙ্গীর/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আওয় ম ল গ ন র ল কর ম কর ছ ন ব যবস

এছাড়াও পড়ুন:

ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের তথ্য দিতে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক

ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণগ্রহীতাদের যাবতীয় তথ্য দিতে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তিন মাস অন্তর অন্তর বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোতে (সিআইবি) তথ্য জমা দিতে হবে ব্যাংকগুলোকে। সেখানে ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের নাম, পরিচয়সহ যাবতীয় তথ্য দেওয়া বাধ্যতামূলক।

আজ বুধবার এ–সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রবিধি ও নীতি বিভাগ।

এর আগে ২০২৪ সালের ১২ মার্চ এই ধরনের আরেকটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল। তখন ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের বিরুদ্ধে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, এসব তথ্য দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। এখন ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের তথ্য দেওয়ার ক্ষেত্রে আরও অধিকতর সংশোধন করা হয়েছে।

নতুন সার্কুলার অনুসারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ইচ্ছাকৃত খেলাপিদের তথ্য দেওয়া (রিপোর্টিং) ক্ষেত্রে তিন ধরনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রথমত, ব্যাংক কর্তৃক ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণ গ্রহীতা শনাক্ত ও চূড়ান্তকরণের পর তা বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবিতে পাঠাতে হবে। ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণগ্রহীতাদের সিআইবি ‘উইলফুল ডিফল্টার’ হিসেবে প্রদর্শন করতে হবে। দ্বিতীয়ত, ব্যাংক কর্তৃক ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণগ্রহীতার ক্রম পুঞ্জীভূত তথ্য ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে বিবরণী আকারে পাঠাতে হবে। এ ছাড়া তিন মাস শেষ হওয়ার পরবর্তী মাসের ১০ তারিখের মধ্যে ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগে দাখিল করতে হবে। পাশাপাশি তাদের যাবতীয় দলিলপত্রও দিতে হবে। তৃতীয়ত, ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণগ্রহীতাদের বিষয়ে ব্যাংকের শনাক্তকরণ ইউনিটের সদস্যদের নাম, মোবাইল নম্বর ও ই-মেইল অ্যাড্রেস—এসব তথ্য দিতে হবে।

তিন মাস পরপর ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণসংক্রান্ত তথ্য কীভাবে দিতে হবে, এর নমুনা ফরম তৈরি করা হয়েছে। সেখানে দেখা গেছে, ইচ্ছাকৃত খেলাপি ঋণগ্রহীতা ব্যক্তি হলে নাম, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, জন্মতারিখ, ব্যাংক শাখার নাম, কবে চূড়ান্তভাবে ইচ্ছাকৃত খেলাপির তালিকায় এসেছে—এসব তথ্য দিতে হবে।

ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে স্বত্বাধিকারীর নাম, জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর, জন্মতারিখ, ব্যাংক শাখার নাম, কবে চূড়ান্তভাবে ইচ্ছাকৃত খেলাপির তালিকায় এসেছে, এসব তথ্য দিতে হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ