রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়ে ঢাকা সিটি কলেজ ও আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ চলছে। আজ রোববার সকাল থেকে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। বিকেলে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ঢাকা সিটি কলেজ ও আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে আজ সকাল থেকে উত্তেজনা চলছিল। তবে কী নিয়ে এই উত্তেজনা তা জানা যায়নি। উত্তেজনার জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে ইট–পাটকেল নিক্ষেপ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে বিকেল ৪ টার পর এটি সংঘর্ষে রূপ নেয়। বিকেল ৫ টা ৪০ মিনিটে এই প্রতিবেদন লেখার সময় সিটি কলেজের মূল ফটকের সামনে ইট–পাটকেল নিক্ষেপ করা হচ্ছিল। সিটি কলেজের মূল ফটক ভাঙার চেষ্টা করে কেউ কেউ।

এর আগে বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের লাঠিসোঁটা নিয়ে অবস্থান করতে দেখা যায়। হঠাৎ করে আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীরা সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের ধাওয়া দিলে কলেজের ভেতরে ঢুকে মূল ফটক বন্ধ করে দেয়।

জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর কলেজ (ডিএমপি) রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার জিসানুল হক প্রথম আলোকে বলেন, দুই কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা চলছে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে।

আরও পড়ুনঢাকার সিটি কলেজ ও আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীরা মুখোমুখি৩২ মিনিট আগে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স ঘর ষ

এছাড়াও পড়ুন:

৭ বছর পর চুয়েট ছাত্রলীগের ছয় নেতার নামে মামলা

 চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) ২০১৮ সালে দুই শিক্ষার্থীকে মারধর, চাঁদাবাজি এবং হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দুটি মামলা হয়েছে। এতে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের চুয়েট শাখার সাবেক ৬ নেতাকে আসামি করা হয়েছে। ঘটনার সাত বছর পর মামলা দুটি করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও কৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ মাহমুদুল ইসলাম ও জামিল আহসান। 

রাউজান থানায় ওই মামলায় আসামিরা হলেন– চুয়েটের তৎকালীন ছাত্রলীগ নেতা সৈয়দ ইমাম বাকের, সাখাওয়াত হোসেন, অতনু মুখার্জি, নিলয় দে, মেহেদী হাসান ফরহাদ ও মোহাম্মদ ফখরুল হাসান ফাহাদ। এ ছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় আরও ২০-৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে। 

জামিল সমকালকে বলেন, নির্যাতন শেষে বাকের বলেছিল, হাসিনা আরও ১০ বছর ক্ষমতায় থাকবে। অর্থাৎ তারা ভেবে নিয়েছিল ওই নির্যাতনের জন্য তাদের কখনও জবাবদিহি করতে হবে না। এজন্যই মামলাটি করেছি। 

মামলায় কারণে শিক্ষাজীবন শেষ করতে পারেননি মাহমুদুল। তিনি বলেন, ওই ঘটনার ব্যাপক প্রভাব পড়েছে আমার জীবনে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ