আইফোন ও আইপ্যাডের জন্য তৈরি ডিপসিক চ্যাটবট অ্যাপে গুরুতর নিরাপত্তাত্রুটির সন্ধান পেয়েছে সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান নাওসিকিউর। প্রতিষ্ঠানটির তথ্যমতে, ডিপসিকের আইওএস অ্যাপ কোনো ধরনের এনক্রিপশন ছাড়াই ব্যবহারকারী ও তাঁদের ব্যবহৃত যন্ত্রের বিভিন্ন তথ্য অনলাইনে আদান-প্রদান করে থাকে। এর ফলে নিরাপত্তাঝুঁকিতে রয়েছেন আইফোন ও আইপ্যাডে ডিপসিক চ্যাটবট ব্যবহারকারীরা।

নাওসিকিউর জানিয়েছে, ডিপসিক চ্যাটবট নিরাপত্তাসংক্রান্ত সর্বোচ্চ মানদণ্ড অনুসরণ করছে না এবং তাদের ব্যবহারকারীদের তথ্য সুরক্ষার ক্ষেত্রে ঘাটতি রয়েছে। আইওএসের জন্য তৈরি ডিপসিক অ্যাপটি অ্যাপ নিবন্ধন ও যন্ত্রের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সরাসরি ইন্টারনেটে পাঠাচ্ছে, যা কোনো এনক্রিপশন পদ্ধতির মাধ্যমে সুরক্ষিত নয়। অ্যাপটির এনক্রিপশন ব্যবস্থায়ও একাধিক গুরুতর ত্রুটি রয়েছে। এসব ত্রুটির কারণে ব্যবহারকারীদের তথ্য সহজেই জানতে পারে সাইবার অপরাধীরা।

আরও পড়ুনচীনের ডিপসিক এআই ব্যবহার করবেন যেভাবে২৯ জানুয়ারি ২০২৫

আইওএস অ্যাপের ক্ষেত্রে অ্যাপ ট্রান্সপোর্ট সিকিউরিটি (এটিএস) একটি গুরুত্বপূর্ণ সুরক্ষাব্যবস্থা যা এনক্রিপশন ছাড়া সংবেদনশীল তথ্য পাঠানো প্রতিরোধ করে। কিন্তু ডিপসিকের আইওএস সংস্করণে এই সুরক্ষাব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয় রাখা হয়েছে। ফলে ব্যবহারকারীদের তথ্যঝুঁকির মুখে ফেলেছে। এটিএস নিষ্ক্রিয় থাকার ফলে ডিপসিক অ্যাপটি সহজেই এনক্রিপশন ছাড়াই তথ্য ইন্টারনেটে পাঠাতে পারে এবং সেটিই এখন ঘটছে।

আরও পড়ুনতারকা বনে গেছেন ডিপসিকের প্রতিষ্ঠাতা লিয়াং ওয়েনফেং০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

সম্প্রতি বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস জানিয়েছে, ডিপসিক ব্যবহারকারীদের লগইন তথ্য চীনের রাষ্ট্রীয় টেলিকম প্রতিষ্ঠান চায়না মোবাইলের কাছে পাঠাচ্ছে। এর ফলে ডিপসিকের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য চীনের কাছে চলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সূত্র: দা হ্যাকার নিউজ

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব যবহ র

এছাড়াও পড়ুন:

অ্যাপল এআই ইন্টেলিজেন্স

আইওএস-১৮ ও আইপ্যাডওএস-১৮ সংস্করণের মতো সর্বাধুনিক উদ্ভাবনা দিয়ে নতুন পরিষেবা চালুর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে অ্যাপল কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, ২০২৪ সালের শেষভাগে কয়েকটি পণ্যকে ইন্টেলিজেন্স আওতাভুক্ত করেছে অ্যাপল। ইতোমধ্যে আইওএস-১৮, আইপ্যাডওএস-১৮ সংস্করণের মতো সর্বাধুনিক উদ্ভাবনা দিয়ে বিশেষ পরিষেবার উদ্যোগ নিয়েছে অ্যাপল উন্নয়ক বিভাগ। যদিও অনেক দেশে অ্যাপল গ্রাহকের জন্য এখনও এমন পরিষেবা উন্মুক্ত করা হয়নি। যেসব দেশে এখনও পরিষেবা মিলছে না, কবে নাগাদ এসব পরিষেবা মিলবে, সে বিষয়ে অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) টিম কুক পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছেন।
টিম কুক বলেছেন, ২০২৫ সালের এপ্রিল থেকে ভারতে অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স পরিষেবা পাওয়া যাবে। ভারতে শুরুতে স্থানীয় ভাষায় নয়, ইংরেজি ভাষায় পরিষেবা অবমুক্ত হবে। ইংরেজির সঙ্গে আরও কয়েকটি ভাষাতেও পরিষেবা দেবে অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স। কিন্তু ভারতে ইংরেজি ছাড়া আর কোনো ভারতীয় ভাষায় অ্যাপলের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তির পরিষেবা পাওয়া যাবে কিনা, সে বিষয়ে এখনও চূড়ান্ত কিছু জানানোর সময় হয়নি। জানা গেছে, ইন্টেলিজেন্স নিয়ে অ্যাপল কঠোর পরিশ্রম করছে। আগামী এপ্রিলে বেশ কয়েকটি ভাষায় ইন্টেলিজেন্স পরিষেবা দেওয়া শুরু করবে অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স। ক্রমান্বয়ে জার্মান, ফ্রেঞ্চ, ইতালিয়ান, পর্তুগিজ, স্প্যানিশ, জাপানিজ, কোরিয়ান ও চায়নিজ ভাষায় বিশেষ পরিষেবার ঘোষণা দেবে অ্যাপল। 
সিঙ্গাপুর ও ভারতে স্থানীয় ভাষায় পরিষেবা দেবে অ্যাপল। সারাবিশ্বে আইফোনের বিক্রি আগের তুলনায় বাড়ছে উল্লেখ করে অ্যাপল নির্বাহী প্রধান টিম কুক বলেন, সর্বশেষ ডিসেম্বরের হিসাব বলছে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ভারত, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া ও জাপানে আইফোন এখন সর্বোচ্চ বিক্রিযোগ্য পণ্যের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে।
ইতোমধ্যে ভারতে আইফোন নির্মাণ শুরু হয়েছে। ভারতের বাজারে নিজ দেশে উৎপাদিত হওয়া আইফোন বিক্রিতে উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। গত ডিসেম্বরে ভারতে আইফোন বিক্রির নতুন রেকর্ড গড়েছে। ভারতে সর্বোচ্চ পণ্য বিক্রির তকমা পেয়েছে আইফোন।
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম স্মার্টফোনের বাজার এখন ভারত। অন্যদিকে, পিসি ও ট্যাবলেট বিক্রিতে তৃতীয় বৃহত্তম বাজার। ভবিষ্যতে দেশটিতে আরও অ্যাপ স্টোর খোলার কথা জানান অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • অ্যাপল এআই ইন্টেলিজেন্স