চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলাকারী আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শনিবার থেকে রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেল পর্যন্ত চট্টগ্রাম নগরীর ১৬ থানায় পৃথক অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।  

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) জনসংযোগ শাখা থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানানো হয়েছে।

আরো পড়ুন:

চট্টগ্রামে আ.

লীগ-ছাত্রলীগের ৪৬ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার

ফেনীতে যুবলীগ নেতাকে ধরে পুলিশে দিল ছাত্ররা 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মো. মাইদুল ইসলাম (৩৫), মো. জাহিদুল ইসলাম প্রকাশ রনি (১৯), শহিদুল আলম (২৭), শামছু আলম (৩০), জাহাঙ্গীর আলম (৪৫), প্রিয়তোষ চৌধুরী (৬২), ইমামুল হক (২৮), মো. পাভেল (৩০), মো. মনিরুজ্জামান রিয়াদ (৩৯), মো. সুমন (২৯), মো. তামজিদ হোসেন (২১), মো. নাঈম গাজী (২১), মো. কচির উদ্দিন লিটন (৩৮), ইশতিয়াক ওয়াসিফ (২৫), রাসেল আহামদ (৩৮), মো. জুয়েল (৩০), মো. ইসমাইল হোসেন (৩৬), মোহাম্মদ ইদ্রিস (৩৬) ও হাজী মো. ইব্রাহিম শরিফ (৪৯)। 

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলাকারী একাধিক মামলার আসামি আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্র লীগের ১৯ জন নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে নগরীর বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। 

ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য বল গ আওয় ম ল গ য বল গ

এছাড়াও পড়ুন:

কলেজছাত্রীর হাত-মুখ চেপে ধরে টাকা-ফোন ছিনিয়ে নিল অটোর যাত্রী  

নোয়াখালীতে টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের এক ছাত্রীর হাত-মুখ চেপে ধরে টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করেন। গতকাল বুধবার রাত ১০টা থেকে উপজেলার চৌমুহনী চৌরাস্তায় তারা সড়ক অবরোধ করেন। এর আগে, একই দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের চৌমুহনী টু মাইজদী আঞ্চলিক মহাসড়কে দরবেশপুর এলাকায় সিএনজিচালিত অটোরিকশায় এ ঘটনা ঘটে।   

বেগমগঞ্জের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ১৩তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মো. জাহেদ হোসেন জানান, বুধবার বেগমগঞ্জের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজক্যাম্পাসে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ইফতার মাহফিল ছিল। ১৫তম ব্যাচের এক ছাত্রী ইফতার মাহফিল শেষে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় বাড়ির উদ্দেশে রওয়ানা হন। পথে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে অটোরিকশাটি চৌমুহনী টু মাইজদী আঞ্চলিক মহাসড়কে দরবেশপুর এলাকায় পৌঁছালে পেছনের সিটে বসা পুরুষ যাত্রীরা তার হাত মুখ চেপে ধরে। একপর্যায়ে তার মোবাইল ফোন ও টাকা ছিনিয়ে নেয়।

জাহেদ হোসেন আরও জানান, পরবর্তীতে ভুক্তভোগী ছাত্রী চিৎকার করলে একলাশপুর বাজার সংলগ্ন এলাকায় অটোরিকশা থেকে তাকে ফেলে দেওয়া হয়। পরে চালক ও যাত্রীসহ তিনজন পালিয়ে যায়। ঘটনাটি ভুক্তভোগী ছাত্রী তার সহপাঠীদের জানান। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীরা দুই ঘণ্টাব্যাপী ধরে সড়ক অবরোধ করে রাখেন। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে এসে ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলেন। রাত পৌনে ১২টা পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের বৈঠক হয়।  

জানতে চাইলে বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিটন দেওয়ার বলেন, বিষয়টি নিয়ে ছাত্রদের কথা হয়েছে। পরে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ