নেদারল্যান্ডসের রটারড্যাম উৎসব থেকে যে বর্তা দিলেন জয়া
Published: 9th, February 2025 GMT
নিজের অভিনয় করা সিনেমা ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’ নিয়ে নেদারল্যান্ডসের রটারড্যাম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে গেছেন জয়া আহসান। ৩০ জানুয়ারি শুরু হওয়া এ উৎসব শেষ হচ্ছে আজ। এর মধ্যে গত ৬ ফেব্রুয়ারি সেখানে প্রদর্শিত হয়েছে ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’।
জয়া আহসান সেখান থেকে জানিয়েছেন, পুতুলনাচের ইতিকথা’ সিনেমাটি বিদেশি দর্শক খুবই উপভোগ করেছেন এবং ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’ উপন্যাস নিয়ে সিনেমা নির্মাণ করেছেন ভারতের পরিচালক সুমন মুখোপাধ্যায়। এতে কুসুম চরিত্রে অভিনয় করেছেন জয়া আহসান।
শনিবার অভিনেত্রী ফেসবুকে লিখেছেন, “পশ্চিমা দর্শক সিনেমাটি সত্যিই খুব উপভোগ করেছেন। তাদের মতে, ‘পুতুল নাচের ইতিকথা’ একটি অসাধারণ সেলুলয়েড সৃষ্টি। বিশেষ করে সিনেমায় উঠে আসা বাংলার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের পাশাপাশি বাংলার নারীদের সাহস, শক্তিশালী চরিত্রগুলো তারা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেছেন এবং প্রশংসা করেছেন।”
জয়া আহসান ছাড়াও এ সিনেমার অভিনয় করেছেন আবীর চট্টোপাধ্যায়, ধৃতিমান চট্টোপাধ্যায়। এছাড়া বিশেষ চরিত্রে দেখা যাবে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় ও অনন্যা চট্টোপাধ্যায়কে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
শাল-গজারি বনে রং ছড়িয়ে বিদায় নিচ্ছে বসন্ত
প্রকৃতি থেকে বসন্ত বিদায় নিচ্ছে। আসছে গ্রীষ্ম। বসন্তের বিদায়বেলায় বিস্তৃত সবুজ শাল-গজারি বনে বাসন্তী রং ছড়াচ্ছে হলদে শাল-গজারি ফুল। গাজীপুরের অধিকাংশ এলাকাজুড়ে এখন বসন্তের এই রং উৎসব চলছে। বিশেষ করে শ্রীপুর, গাজীপুর সদরের একাংশ, কাপাসিয়ার একাংশ ও কালিয়াকৈর উপজেলার বিস্তৃত এলাকাজুড়ে চলছে এই রঙের উৎসব।
শ্রীপুরের কর্ণপুর থেকে বরমী কিংবা হায়াতখার চালা থেকে গোসিংগা আঞ্চলিক সড়কের মতো অনেকগুলো সড়ক ভ্রমণ এখন যে কাউকে এক ব্যতিক্রমী বসন্তের অভিজ্ঞতা দেবে। বিশেষ করে এ সময় মাওনা থেকে কালিয়াকৈর উপজেলায় যাতায়াতের সড়কপথের পুরোটাই ফুলে ছেয়ে থাকে। এসব সড়কে ভ্রমণ করলে দেখা যায়, দুই পাশে শুকনা পাতার ওপর ছড়িয়ে আছে কাঁচা হলুদ রঙের শাল-গজারি ফুল। সঙ্গে আছে মোহনীয় গন্ধ।
শাল-গজারি বনের কোনো একটি গাছের মাথায় উঠে চারদিকে তাকালে মনে হবে, বনের গাছপালার ওপর কেউ যেন হলুদ রঙের মাদুর বিছিয়ে রেখেছে। ফুলে ফুলে ঘুরে বেড়াচ্ছে মৌমাছিসহ নানা কীটপতঙ্গ। পাখিদের ওড়াউড়িতে বনজুড়ে যেন এক মহোৎসব চলছে। পাখির ডানা ঝাপটানো কিংবা হঠাৎ একটু দমকা বাতাসে গাছ থেকে নিচে ঝরে পড়ে হলুদ শাল-গজারি ফুল। বসন্তে গাছের সব পাতা ঝরে যাওয়ার পর গাছে থাকা হলুদ ফুলগুলো এক অনন্য সৌন্দর্য ছড়ায়।
প্রতিবছর বসন্তের মাঝামাঝি থেকে শাল-গজারিগাছে ফুল ফুটতে শুরু করে। এরপর গাছ থেকে অপরিণত অবস্থায় বেশির ভাগ ফুল নিচে ঝরে পড়ে। থেকে যাওয়া ফুলগুলো বড় হয়। বৈশাখের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে এসব ফুল পরিণত হয়ে যায়। তখন এর রং হয় কিছুটা বাদামি।
পরিণত ফুলের আবার অন্য রকম সৌন্দর্য ও বৈশিষ্ট্য আছে। এসব ফুলের এক পাশে থাকে বীজ। আর অন্য পাশে ফুলের পাপড়ির মতো ছড়ানো বড় বড় পাতলা পাপড়ি। একসময় গাছ থেকে বীজসহ এসব ফুল ঝরে পড়ে। তখন বীজের এক পাশে থাকা পাপড়ির মতো অংশ বাতাসে ঘুরতে ঘুরতে এলোমেলোভাবে দূরদূরান্তে বীজগুলোকে ছড়িয়ে দেয়।
বসন্তের এ সময় শাল-গজারি বনে বিভিন্ন ফুল ফোটে। এগুলোর মধ্যে আছে কনকচাঁপা, জারুল, শিমুল, শেফালি, শিরীষ, মান্দার, কামিনী, অতসী, দাঁতরাঙা, কাঞ্চন, বেলি, শটি, রঙ্গনসহ নানা ফুল।
শাল-গজারি বনের বর্ণিল বিভা বসন্তের সৌন্দর্যে যোগ করে নতুন মাত্রা