টানা দু’বার বিপিএলের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ফরচুন বরিশাল। দু’বারই দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তামিম ইকবাল। বিপিএল জুড়ে তামিম-মাহমুদউল্লাহদের সমর্থন দিতে গ্যালারি ভরা ছিল দর্শক। এমনকি বরিশাল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর আনন্দ উল্লাস হয়েছে রাজধানীতে। এবার বরিশালবাসীকে বিপিএল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আনন্দ বাড়িয়ে দিতে আজ বিপিএলের শিরোপা নিয়ে বরিশালে যান তামিম ইকবালরা।

শোনা যাচ্ছিলো, লঞ্চে চড়ে বরিশাল যাবে বিপিএল ট্রফি। কিন্তু হঠাৎ সিদ্ধান্ত বদলে ফেললেন বরিশাল ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিক মিজানুর রহমান। লঞ্চে নয়, ট্রফি নিয়ে ফ্রাঞ্চাইজি দলটি নামলো বিমানে করে।

গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ফ্রাঞ্চাইজিটির মালিক জানিয়েছিলেন, 'বাংলাদেশ বিমানের একটি চ্যাটার্ড ফ্লাইটে আমরা ঢাকা থেকে বরিশাল যাব দুপুরে, খাবার খাব। এরপর বেলস পার্কে (বরিশালে) একটি অনুষ্ঠান হবে। ঐখানে ব্যান্ড সংগীতও হতে পারে এবং তামিম ভাই দলের সিনিয়র খেলোয়াড়রা সঙ্গে শান্তরাও কিছু বক্তব্য রাখতে পারেন, ফটোসেশন হবে। তারপর আমরা ঢাকায় ফিরে আসবে।'

বরিশাল বিমানবন্দরে নামার সাথে সাথেই তামিম-মুশফিক ও মাহমুদউল্লাদের দেখে হাজারো সমর্থক উল্লাসে মেতে ওঠেন। বিমান বন্দরে ফুলের শুভেচ্ছায় সিক্ত হয়েছেন ফরচুন বরিশাল টিমের খেলোয়াড়রা। পরে সমর্থকরা খেলোয়াড়দের বহনকারী বরিশালের টিম বাসের সাথে বিশাল মোটরসাইকেল বহর নিয়ে নগরীতে আসেন। তারপর বরিশাল শহরের বিভিন্ন স্থানে যান। সেখানে ভক্তরা খেলোয়াড়দের কাছ থেকে দেখার ও ছবি তোলার সুযোগ পেয়েছেন।

প্রিয় দলের জন্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে বরিশালবাসী। শহরের প্রাণকেন্দ্র ঐতিহাসিক বেলস পার্কে হবে বরণ করে নেওয়া হয়েছে বিপিএল চ্যাম্পিয়নদের। হাজার হাজার ভক্ত-সমর্থকের ভালোবাসায় সিক্ত ফরচুন বরিশালের ক্রিকেটাররা। বলা যায় চ্যাম্পিয়নদের দেখতে জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে বেলস পার্ক। বরিশাল নগরীর পুরো বেলস পার্ক মাঠ ‌'ফরচুন-বরিশাল' শ্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠেছে।

ফরচুন বরিশালের সাফল্যে দারুণ উচ্ছ্বাসিত বরিশালের ক্রিকেটপ্রেমীরা। ক্রিকেট ভক্ত এসএম মিজান বলেন, বিপিএলের বেশিরভাগ ম্যাচ ঢাকায় হওয়ায় বরিশালের মাঠে সরাসরি খেলা দেখার সুযোগ হয়নি। তাই এই আয়োজন আমাদের জন্য বিশেষ কিছু।

বরিশালের সমর্থক আদিল আকন বলেন, এটা শুধু ক্রিকেট নয়, বরিশালের গর্ব। টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় আমরা দারুণ গর্বিত। আমরা এখন ফরচুন বরিশালের মালিক মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে হ্যাট্রিক বিজয়ে অপেক্ষায়। আর আগামী বিপিএল'র আসরে বরিশাল স্টেডিয়ামে খেলার আয়োজন করার জন্যও তিনি সংশ্লিষ্টদের কাছে অনুরোধ করেছেন।

বরিশালের এ বিজয় উদযাপন শেষে মুশফিক-শান্তরা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রস্তুতিতে ব্যস্ত হয়ে পড়বেন। চলতি সপ্তাহেই তারা আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট খেলতে দেশ ছাড়বেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব প এল ব লস প র ক ব প এল

এছাড়াও পড়ুন:

জুলাই স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের আত্মপ্রকাশ

জুলাই আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের স্মৃতি সংরক্ষণ, তাদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানো এবং ন্যায়সঙ্গত অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে আত্মপ্রকাশ করেছে ‘জুলাই স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদ’।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাত ৮টায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সংগঠনটির আত্মপ্রকাশ ঘটে।

নবগঠিত কমিটিতে ইউনিটার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী নাহিদ হাসান সজীবকে আহ্বায়ক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী অন্তর সফিউল্লাহকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। এছাড়া মুখপাত্র হিসেবে আছেন চবির ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী সৈয়ব আহমেদ সিয়াম।

আরো পড়ুন:

বিপ্লবী নারী পরিষদের আত্মপ্রকাশ

চবির ভর্তি পরীক্ষায় ২ জুলাই-বিপ্লবীকে নিয়ে প্রশ্ন

সংগঠন থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, এই সংগঠন সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক, স্বেচ্ছাসেবী ও মানবিক ভিত্তিতে পরিচালিত হবে। এর মূল লক্ষ্য শহীদ ও আহতদের নিয়ে গবেষণা, প্রকাশনা ও অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনা করা, তাদের পরিবারের যৌক্তিক দাবিতে তাদের পাশে দাঁড়ানো এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনাকে সাংস্কৃতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে ভূমিকা রাখা।

সংগঠনটির কাঠামোতে থাকবে কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক পরিষদ ও উপদেষ্টা পরিষদ। যার দিকনির্দেশনায় পরিচালিত হবে সংগঠনের সব কার্যক্রম। বিশেষভাবে, শহীদ ও আহতদের পরিবারের মতামতকে অগ্রাধিকার দিয়ে সংগঠনটি তার কর্মকৌশল নির্ধারণ করবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, সংগঠনটির উপদেষ্টা পরিষদে আছেন ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের সহযোগী অধ্যাপক ও বায়োমেডিকেল রিসার্চ ফাউন্ডেশনের (বিআরএফ) নির্বাহী পরিচালক, গবেষক ও লেখক ড. মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেন, বিআরএফের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো  ডা. এস এম ইয়াসির আরাফাত, লেখক মোহাইমিন পাটোয়ারী, ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের শিক্ষক মোনায়েম খান এবং বিআরএফের গবেষক ফারহিন ইসলাম।

ইতোমধ্যে সংগঠনটি শহীদদের নিয়ে প্রামাণ্য সংকলন গ্রন্থ ‘শহীদদের শেষ মুহূর্তগুলো’ (১ম খণ্ড) প্রকাশ করেছে। বইটিতে ২৬ জন শহীদের শেষ মুহূর্তগুলো তুলে ধরা হয়েছে। 

সংগঠনটির মুখপাত্র সৈয়দ আহমেদ সিয়াম বলেন, “জুলাই আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের স্মৃতি সংরক্ষণ ও তাদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে জুলাই স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের যাত্রা শুরু হলো। অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হতে এবং শহীদদের প্রতি সম্মান জানিয়ে দেশের কল্যাণে কাজ করতে করবেন।”

সংগঠনের অস্থায়ী কার্যালয়- হারুন মোল্লা ঈদগাহ মাঠ, পল্লবী মেট্রো স্টেশন সংলগ্ন, মিরপুর ১২, ঢাকা ১২১৬, বাংলাদেশ।

ঢাকা/মিজান/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ