ভারত বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদ ফিরিয়ে আনার অপচেষ্টায় লিপ্ত আছে বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের আমির মাওলানা মামুনুল হক। গতকাল শনিবার রাতে পুরানা পল্টনের দলীয় কার্যালয়ে দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভায় তিনি এ কথা বলেন।

মামুনুল হক অভিযোগ করেন, দেশে বিশৃঙ্খলা তৈরির জন্য ভারত আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে অব্যাহতভাবে পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে। এর নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, ভারত শেখ হাসিনাকে শুধু আশ্রয়ই দেয়নি, বরং তাঁকে আবার বাংলাদেশে পুনর্বাসন করার চক্রান্তে লিপ্ত আছে। তিনি ভারতকে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে সব রকমের অপতৎপরতা পরিহার করার আহ্বান জানান।

গাজীপুরসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের ওপর ফ্যাসিবাদের দোসররা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করেন খেলাফত মজলিশের আমির। তিনি হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচারের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানান। তিনি বলেন, এখন সবার আগে প্রয়োজন সচেতনতা ও সব সহিংসতার বিরুদ্ধে সংঘবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়ানো। চলমান আন্দোলনে অনুপ্রবেশ করে একটি সহিংস পরিবেশ তৈরি করা হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

সংগঠনের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদের পরিচালনায় সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির মাওলানা ইউসুফ আশরাফ, মাওলানা রেজাউল করীম জালালী, মাওলানা আফজালুর রহমান, মাওলানা মহিউদ্দিন রাব্বানী, সাবেক সংসদ সদস্য মাওলানা শাহিনুর পাশা চৌধুরীসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

জুনাইদ আহ্‌মেদ পলকের স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ জব্দের আদেশ

সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলকের স্থাবর সম্পদ জব্দ ও ১৭টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন আজ সোমবার এ আদেশ দেন।

জুনাইদ আহ্‌মেদের স্থাবর সম্পদ ক্রোক ও ১৭টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আবেদন করেন দুদকের সহকারী পরিচালক আল আমিন।

দুদকের তথ্য অনুযায়ী, জুনাইদ আহ্‌মেদের রাজউকের ১০ কাঠার একটি প্লট ক্রোক করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। ক্রোক করার আদেশ হওয়া অন্য ১৬টি জমি নাটোরে রয়েছে। এর বাইরে জুনাইদ আহ্‌মেদ ও তাঁর ছেলে, শাশুড়ির নামে থাকা ১৭টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।

গত ১২ ডিসেম্বর জুনাইদ আহ্‌মেদ ও তাঁর স্ত্রী আরিফা জেসমিনের বিরুদ্ধে দুদক মামলা করে। মামলায় তাঁদের বিরুদ্ধে প্রায় ১৯ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।

মামলার কাগজপত্রের তথ্য অনুযায়ী, জুনাইদ আহ্‌মেদের ২৪টি ব্যাংক হিসাবে ঘুষ, দুর্নীতি ও মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে ৩২ কোটি ৪ লাখ ৯৫ হাজার ৩১৪ টাকা জমা হয়। এর মধ্যে ২৯ কোটি ৮৪ লাখ ৭২ হাজার ৯৫ টাকা তুলে নেওয়া হয়। ২০০৮ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত এই টাকা লেনদেন হয়েছে।

গত ১৫ আগস্ট গ্রেপ্তার হন জুনাইদ আহ্‌মেদ। বিভিন্ন হত্যা ও হত্যাচেষ্টা মামলায় জুনাইদ আহ্‌মেদের এ পর্যন্ত ৬৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

সম্পর্কিত নিবন্ধ