ফাইনালের জন্য বিয়ে পিছিয়েছেন, বাবাকে পাঠিয়েছেন ব্যাচেলর পার্টিতে, তারপর...
Published: 9th, February 2025 GMT
সবকিছু ঠিকঠাক। বিয়ের পাত্রী প্রস্তুত। দুই পরিবারও প্রস্তুত। শুধু পাত্র নেই! পাত্র কোথায়? তিনি খেলছেন এসএ টোয়েন্টির ফাইনাল। তিনি যে বিয়ে করবেন না, তা নয়। তবে ফাইনালের জন্য আসতে দেরি হবে তাঁর।
তাই শনিবারের বিয়ে নিয়ে গেছেন রোববারে। ঘটনাটি দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটার ডেভিড বেডিংহামের। এসব করলেন যে ফাইনালের জন্য, সেটি অবশ্য হেরেই গেছেন। কাল মুম্বাই কেপটাউনের কাছে ফাইনালে ৭৬ রানে হেরে গেছে তাঁর দল সানরাইজার্স ইস্টার্ন কেপ।
এই হারে অবশ্য বেডিংহামের স্ত্রীর খুশি হওয়ার কথা! ফাইনালের জন্য এমনিতেই এক দিন দেরি হয়েছে, সঙ্গে ফাইনালের উদ্যাপনের জন্য যদি আরও দেরি হয় তাহলে তো বিপদ! এমন শঙ্কা কিন্তু তাঁর স্ত্রীর ছিল, সেটা বেডিংহামই জানিয়েছেন। সেই শঙ্কা থেকে ফাইনালে উপস্থিত ছিলেন বেডিংহামের বন্ধু ও তাঁর ভাই। যাদের কাজই ছিল কালক্ষেপণ না করে বেডিংহামে বিয়ের জন্য নিয়ে যাওয়া।
আমার স্ত্রী আসলে চেয়েছিল, আমরা যেন ফাইনালে না উঠি। তারপর যখন ফাইনালে উঠেই গেলাম, সে আমাকে বলল, ঠিক আছে এখন যেহেতু ফাইনালে উঠেছ, আশা করি সেটা জিতবে এবং তারপর বিয়েতেও আসবেডেভিড বেডিংহামবেডিংহামের ভাই আর বন্ধু তাকে নিতে এসেছেন। তাঁর বাবা কী করেছেন, জানেন? ছেলের পরিবর্তে তিনি যোগ দেন ব্যাচেলর পার্টিতে। এই সব তথ্য বেডিংহাম দিয়েছিলেন ফাইনালের আগে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্রডকাস্টিং চ্যানেল সুপারস্পোর্টে।
বেডিংহাম তখন ফাঁস করে দেন, তাঁর হবু স্ত্রী চাইতেনই না তিনি যেন ফাইনালে ওঠেন, ‘আমার স্ত্রী আসলে চেয়েছিল, আমরা যেন ফাইনালে না উঠি। তারপর যখন ফাইনালে উঠেই গেলাম, সে আমাকে বলল, ঠিক আছে এখন যেহেতু ফাইনালে উঠেছ, আশা করি সেটা জিতবে এবং তারপর বিয়েতেও আসবে।’
আরও পড়ুনফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে আম্বানি পরিবার: যেখানেই হাত, সেখানেই সোনা১ ঘণ্টা আগেনিজের বাবার ব্যাচেলর পার্টিতে যোগ দেওয়া নিয়ে বেডিংহাম বলেছেন, ‘আশা করছি ছেলেরা (বেডিংহামের বন্ধুরা) তাঁকে ভালোভাবে গ্রহণ করবে। আশা করছি, তিনি ঠিকভাবে পোশাক-আশাক পরে যাবেন। তবে আমি নিশ্চিত মানিয়ে নেওয়া সহজ হবে না।’
ফাইনাল হেরে মন খারাপের সুযোগ নেই বেডিংহামের.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ত রপর
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের আত্মপ্রকাশ
জুলাই আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের স্মৃতি সংরক্ষণ, তাদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানো এবং ন্যায়সঙ্গত অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে আত্মপ্রকাশ করেছে ‘জুলাই স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদ’।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) রাত ৮টায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সংগঠনটির আত্মপ্রকাশ ঘটে।
নবগঠিত কমিটিতে ইউনিটার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী নাহিদ হাসান সজীবকে আহ্বায়ক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী অন্তর সফিউল্লাহকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। এছাড়া মুখপাত্র হিসেবে আছেন চবির ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থী সৈয়ব আহমেদ সিয়াম।
আরো পড়ুন:
বিপ্লবী নারী পরিষদের আত্মপ্রকাশ
চবির ভর্তি পরীক্ষায় ২ জুলাই-বিপ্লবীকে নিয়ে প্রশ্ন
সংগঠন থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, এই সংগঠন সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক, স্বেচ্ছাসেবী ও মানবিক ভিত্তিতে পরিচালিত হবে। এর মূল লক্ষ্য শহীদ ও আহতদের নিয়ে গবেষণা, প্রকাশনা ও অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনা করা, তাদের পরিবারের যৌক্তিক দাবিতে তাদের পাশে দাঁড়ানো এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানের চেতনাকে সাংস্কৃতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করতে ভূমিকা রাখা।
সংগঠনটির কাঠামোতে থাকবে কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক পরিষদ ও উপদেষ্টা পরিষদ। যার দিকনির্দেশনায় পরিচালিত হবে সংগঠনের সব কার্যক্রম। বিশেষভাবে, শহীদ ও আহতদের পরিবারের মতামতকে অগ্রাধিকার দিয়ে সংগঠনটি তার কর্মকৌশল নির্ধারণ করবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়েছে, সংগঠনটির উপদেষ্টা পরিষদে আছেন ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের সহযোগী অধ্যাপক ও বায়োমেডিকেল রিসার্চ ফাউন্ডেশনের (বিআরএফ) নির্বাহী পরিচালক, গবেষক ও লেখক ড. মোহাম্মদ সরোয়ার হোসেন, বিআরএফের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ডা. এস এম ইয়াসির আরাফাত, লেখক মোহাইমিন পাটোয়ারী, ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের শিক্ষক মোনায়েম খান এবং বিআরএফের গবেষক ফারহিন ইসলাম।
ইতোমধ্যে সংগঠনটি শহীদদের নিয়ে প্রামাণ্য সংকলন গ্রন্থ ‘শহীদদের শেষ মুহূর্তগুলো’ (১ম খণ্ড) প্রকাশ করেছে। বইটিতে ২৬ জন শহীদের শেষ মুহূর্তগুলো তুলে ধরা হয়েছে।
সংগঠনটির মুখপাত্র সৈয়দ আহমেদ সিয়াম বলেন, “জুলাই আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের স্মৃতি সংরক্ষণ ও তাদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে জুলাই স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের যাত্রা শুরু হলো। অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হতে এবং শহীদদের প্রতি সম্মান জানিয়ে দেশের কল্যাণে কাজ করতে করবেন।”
সংগঠনের অস্থায়ী কার্যালয়- হারুন মোল্লা ঈদগাহ মাঠ, পল্লবী মেট্রো স্টেশন সংলগ্ন, মিরপুর ১২, ঢাকা ১২১৬, বাংলাদেশ।
ঢাকা/মিজান/মেহেদী