এসপি অফিসে সেলফি: গ্রেপ্তারের পর যুবদলের পদও হারালেন তিনি
Published: 9th, February 2025 GMT
হত্যা মামলার আসামি হয়েও এসপি অফিসে সেলফি কাণ্ডে ভাইরাল হওয়া যুবদল নেতা আহসান উল্লাহ এবার হারালেন দলীয় পদ। প্রাথমিক সদস্য পদসহ দলের সব পদ থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। যুবদলে কেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নূরুল ইসলাম নয়ন তাকে বহিস্কার করেন। রোববার সকালে যুবদলের সহ-দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূঁইয়া সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা যুবদল যুগ্ম আহ্বায়ক আহসান নাঙ্গলকোট উপজেলার হেসাখাল ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সেলিম হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। ৬ ফেব্রুয়ারি সকালে কুমিল্লা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাজির আহাম্মাদ খানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে যান কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির নবনির্বাচিত সদস্যসচিব আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিমসহ কিছু নেতাকর্মী। তাদের সঙ্গে ছিলেন আহসান উল্লাহও। সেখানে সেলফি তুলে ফেসবুকে পোস্ট দিলে তা ভাইরাল হয়ে যায়। শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গত ১ ফেব্রুয়ারি দুপুরে উপজেলার বাঙ্গড্ডা বাদশাহ মিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজ মাঠে বাঙ্গড্ডা ইউনিয়ন যুবদলের আয়োজনে বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মোবাশ্বের আলম ভূঁইয়ার জনসভা হয়। এ সময় ওই এলাকায় মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা নিয়ে বাঙ্গড্ডা বাজারে যাওয়ার সময় সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল গফুর ভূঁইয়া গ্রুপে সঙ্গে বাঙ্গড্ডা পশ্চিম বাজারে উভয় গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এতে গুরুতর আহত সেলিম ভূঁইয়াকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরদিন নিহত সেলিম ভূঁইয়ার বড় ভাই আব্দুর রহিম বাদী হয়ে নাঙ্গলকোট থানায় হত্যা মামলা দায়ে করেন।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন বিএনপি মেনে নেবে না
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুনবিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে বিএনপি স্থানীয় সরকার নির্বাচন বা অন্য কোনো নির্বাচন মেনে নেবে না।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এক বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে তিনি এ কথা বলেন।
বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে মির্জা ফখরুল বলেন, ড. ইউনূস তাদের আশ্বস্ত করেছেন যে এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা আশা করব, জনগণের যে প্রত্যাশা আছে-নির্বাচনের একটা রোডম্যাপ ঘোষণা করবেন তিনি। সেটার মধ্য দিয়ে ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন সম্পন্ন হবে বলে আমরা প্রত্যাশা করছি।
বিএনপির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ সন্ধ্যা ৬টা ৫ মিনিটে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এ বৈঠক শুরু হয়।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানান।
এর আগে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের প্রতিনিধিদল যমুনায় পৌঁছায়।
প্রতিনিধি দলটিতে আরও রয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ ও হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।
বৈঠকে দেশের বিদ্যমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, ‘পতিত স্বৈরাচারের’ বিভিন্ন ষড়যন্ত্র, আগামী নির্বাচন ও অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা হবে বলে দলটির একটি সূত্র জানিয়েছে।
এএ